ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সেন্টমার্টিন নেওয়ার কথা বলে ৪ স্কুলছাত্রকে অপহরণ

প্রকাশিত: ১৮:০০, ৯ ডিসেম্বর ২০২১

সেন্টমার্টিন নেওয়ার কথা বলে ৪ স্কুলছাত্রকে অপহরণ

অনলাইন রিপোর্টার ॥ সেন্টমার্টিন বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কক্সবাজারের রামু উপজেলার চার স্কুল শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে রোহিঙ্গারা। গত মঙ্গলবার (০৭ ডিসেম্বর) রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেঁচারদ্বীপ মাঙ্গালা পাড়ার একটি রিসোর্ট থেকে ওই স্কুল শিক্ষার্থীদের অপহরণ করা হয়। অপহৃতরা হলেন- ওই এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে মোহাম্মদ কায়সার (১৪), মোহাম্মদ আলমের ছেলে মিজানুর রহমান নয়ন (১৪), আব্দুস সালামের ছেলে জাহেদুল ইসলাম (১৫) ও ফরিদুল আলমের ছেলে মিজানুর রহমান (১৪)। এদের মধ্যে জাহেদুল সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাকিরা অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। তাদের প্রতিবেশী হাজি আবদুস শুক্কুর বলেন, এলাকার বাতিঘর রিসোর্টের কর্মচারী রোহিঙ্গা জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহীমের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সে সম্পর্কের সূত্র ধরেই তাদের মধ্যে সেন্টমার্টিন বেড়াতে যাওয়ার কথা হয়। সন্তানদের জীবিত ফিরে পেতে অভিভাবকরা রামু থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে বাতিঘর কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীম চার স্কুল শিক্ষার্থীকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় নিয়ে যান। এরপর থেকে ওই চারজনের খোঁজ মিলছে না। নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর ৮ ডিসেম্বর (বুধবার) দুপুরে স্বজনদের কাছে বিভিন্ন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। এ সময় সন্তানদের জীবিত ফেরত পেতে মুক্তিপণ হিসাবে ২০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২৬ নং ব্লকের মোহাম্মদ কাছিমের ছেলে। তার সহযোগী ইব্রাহীমের বাড়িও সেখানে। তারা দুজনই বাতিঘর কটেজে বয় হিসেবে কাজ করতেন। নিখোঁজ জাহেদুলের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আমাদের সন্তানদের অপহরণ করা হয়েছে। কখন বাড়ি ফিরছে খোঁজ নিতে ফোন দিলে তাদের নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। বন্ধ ছিল জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীমের নম্বরও। পরে বুধবার দুপুরে ‘রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী’ পরিচয়ে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করে তারা। অপহৃত কায়সারের চাচা মো. তাহের বলেন, জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীম চার স্কুল শিক্ষার্থীকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে যান। পরে তাদের মোবাইল ব্যবহার করে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে। ২০ লাখ টাকা আমরা কোথা থেকে দেবো? মুক্তিপণ চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামু খুনিয়াপালং ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. সোহেলও। এ বিষয়ে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরুপ কুমার চৌধুরী বলেন, যেহেতু ঘটনাটি টেকনাফ থানা এলাকায় হয়েছে, আমরা তাদের সহযোগিতায় বিষয়টি তদন্ত করবো। নিজেদের জায়গা থেকে যতটুকু পারা যায়, ততটুকুই চেষ্টা করবে পুলিশ।
×