ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গাজীপুরে এসএসসি শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত: ১৬:২৪, ৯ ডিসেম্বর ২০২১

গাজীপুরে এসএসসি শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ ২০২১ সালের মতো আগামী বছরেও শর্টসিলেবাসে (৩০%) তিন বিষয়ে পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেছে ২০২২সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার গাজীপুর শহরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। এসময় আন্দোলনরত পরীক্ষার্থীরা শিক্ষামন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করেছে। জানাগেছে, বৃহষ্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২০২২ সালের কয়েকশ এসএসসি পরীক্ষার্থী শিববাড়ি মোড় এলাকায় জড়ো হয়। পরে তারা ব্যানার ফেস্টুনসহ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের গেইটের সামনে এসে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন শুরু করে। এসময় তারা ২০২১সালের মতো সংক্ষিপ্ত ৩০শতাংশ সিলেবাসে গ্রুপ ভিত্তিক তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা নেয়ার দাবীতে বিক্ষোভ করতে থাকে। একপর্যায়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ভাওয়াল রাজবাড়ি সড়কে শুয়ে ও বসে থেকে সড়ক অবরোধ করে। এতে ওই সড়ে র উভয়দিকে যানবাহন আটকা পড়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত তারা এ কর্মসূচী পালন করে। পরে তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করে। খবর পেয়ে জিএমপি’র উপ পুলিশ কমিশনার রেদোয়ান আহমেদ, জেলা শিক্ষা অফিসার রেবেকা সুলতানা ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াসিউজ্জামান ঘটনাস্থলে যান। তারা শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়া নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দিলে আন্দোলনরতরা তাদের কর্মসূচী স্থগিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। বিএআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের আসিফ আহমেদসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, কোভিড ১৯ এর কারনে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কোচিং সেন্টার গুলো বন্ধ থাকায় ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা তাদের সিলেবাস শেষ করতে পারে নাই। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের ক্লাসের পড়াশুনার উপর নির্ভরশীল। তাই আমাদের দাবি বিশেষ বিবেচনায় ২০২১সালের মতো আগামি ২০২২সালের এসএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত ৩০শতাংশ সিলেবাসে গ্রুপ ভিত্তিক তিন বিষয়ে নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। গাজীপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা এ ব্যাপারে জানান, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়ার বিষয়ে আমার নিজস্ব কোন বক্তব্য নেই। শিক্ষার্থীরা মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী বরাবর আবেদন করে থাকলে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব এবং সর্বোপরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।
×