ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বেগম রোকেয়া ছিলেন নারী শিক্ষা ও জাগরণের অগ্রদূত ॥ হুইপ আতিক

প্রকাশিত: ১৬:২২, ৯ ডিসেম্বর ২০২১

বেগম রোকেয়া ছিলেন নারী শিক্ষা ও জাগরণের অগ্রদূত ॥ হুইপ আতিক

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে শেরপুরে জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও জয়িতা সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষ রজনীগন্ধায় আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক এমপি। ওইসময় তিনি বলেন, বেগম রোকেয়া ছিলেন নারী শিক্ষা ও জাগরণের অগ্রদূত। অন্ধকার যুগ থেকে নারীদের আবদ্ধ অবস্থা থেকে বের করে তাদের অধিকার আদায়ে তিনিই প্রথম সোচ্চার হয়েছিলেন। তিনিই গড়ে তুলেছিলেন নারী জাগরণ ও সমঅধিকার আন্দোলন। তাই নারীমুক্তি, নারীর অগ্রযাত্রা ও নারী শিক্ষা প্রবর্তনে ত্যাগের মহিমায় তিনি হয়ে উঠেছিলেন মহিয়সী। তারই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বের রোল মডেল। জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশিদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুকতাদিরুল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি, পৌর মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান নাসরিন বেগম ফাতেমা, সদর উপজেলার মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলা ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ছানোয়ার হোসেন ছানু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. লুৎফুল কবীর। পরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় জেলার শ্রেষ্ঠ ৫ জন ও সদর উপজেলার ৫ জনসহ মোট ১০ জন নারী জয়িতাকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। এরা হচ্ছেন জেলা পর্যায়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী নারী আফরোজা আক্তার সুমি, শিক্ষা ও চাকুরিক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী শ্যামা রাকসাম, সফল জননী নারী ফরিদা বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা আবিদা সুলতানা আল্পনা ও সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখায় তৃতীয় লিঙ্গের নিশি সরকার। আর সদর উপজেলার জয়িতারা হচ্ছেন অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী নারী আরমিনা বেগম, শিক্ষা ও চাকুরিক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী শরিফুন নাহার শম্পা, সফল জননী নারী ফরিদা বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা কাজলি বেগম ও সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখায় তৃতীয় লিঙ্গের নিশি সরকার। এছাড়া পৌরসভা মুক্তমঞ্চে নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগের আয়োজনে ৭ জন জয়িতাকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় সম্মাননা প্রদান করা হয়।
×