অনলাইন ডেস্ক ॥ বায়ার্ন ৩-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনাকে। বায়ার্ন আরেকবার বীরের বেশেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে উঠল ।
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় বুধবার রাতে ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে ৩-০ গোলে জিতেছে বায়ার্ন আসরে প্রথম দেখায়ও একই স্কোরলাইনে জিতেছিল বায়ার্ন। এই হারে দুই দশক পর শীর্ষ টুর্নামেন্ট থেকে ইউরোপা লিগে নেমে গেলো বার্সেলোনা।
২৭তম মিনিটে ম্যাচের প্রথম নিশ্চিত সুযোগ পায় বায়ার্ন। মুলারের ক্রস ঝাঁপিয়ে পড়া গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেনকে ফাঁকি দিয়ে চলে যায় দূরের পোস্টে গোলমুখে রবের্ত লেভানদোভস্কির পায়ে। তবে আগেই একটু বেশি এগিয়ে যাওয়া পোলিশ ফরোয়ার্ড প্রয়োজনীয় টোকাটা দিতে পারেননি।
৩৪তম মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে জেরার্দ পিকের বাধা এড়িয়ে ছয় গজ বক্সে ক্রস বাড়ান লেভানদোভস্কি। মুলারের নেওয়া হেড অবশ্য ঠেকিয়ে দেন রোনালদো আরাহো। তবে গোললাইন প্রযুক্তিতে দেখা যায়, বল আগেই গোললাইন পেরিয়ে গিয়েছিল।
৪৩তম মিনিটে অনেক দূর থেকে নেওয়া জোরালো শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সানে। গোলটিতে অবশ্য যথেষ্ট দায় আছে টের স্টেগেনের। বল তার নাগালের মধ্যেই ছিল, কিন্তু বলের গতি-প্রকৃতি বুঝতে না পেরে গুলিয়ে ফেলেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে আবারও গোল খেতে বসেছিল বার্সেলোনা। তবে কিংসলে কোমানের ছোট পাস গোলমুখে পেয়ে সানে টোকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সে যাত্রায় বেঁচে যায় সফরকারীরা।
ক্ষণিকের সেই স্বস্তি অবশ্য বার্সেলোনার জন্য কোনো সুখবর বয়ে আনেনি। ৬২তম মিনিটে ঠিকই ব্যবধান আরও বাড়ায় বায়ার্ন। বাঁ দিকের বাইলাইনের ওপর থেকে আলফুঁস ডেভিসের বাড়ানো বল ছয় গজ বক্সে পেয়ে জালে পাঠান মুসিয়ালা।
শেষ দিকে সানে আরেকটি দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন। ডি-বক্সে গোল করার মতো পজিশন থেকে উড়িয়ে মারেন এই জার্মান ফরোয়ার্ড। তাতে ব্যবধান না বাড়লেও বার্সেলোনার ভোগান্তি কমেনি একটুও।
এর আগে সবশেষ বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল ২০০০-০১ আসরে। এসি মিলান ও লিডস ইউনাইটেডের পেছনে থেকে তৃতীয় হয়ে উয়েফা কাপে (এখনকার ইউরোপা লিগ) নেমে গিয়েছিল কাতালান ক্লাবটি।
আর ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতাটিতে তারা সবশেষ খেলেছে ২০০৩-০৪ আসরে। ওই আসরে চতুর্থ রাউন্ডে সেল্টিকের বিপক্ষে হেরে বিদায় নিয়েছিল বার্সেলোনা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ জয়ের কৃতিত্ব দেখাল বায়ার্ন। ২০১৯-২০ আসরেও এই সাফল্য পেয়েছিল তারা। সেবার চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল দলটি।
তাদের মতো দুইবার গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ জয়ের কীর্তি আছে আর কেবল রিয়াল মাদ্রিদের।