ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী

অনেক উদারতা দেখিয়েছি, আর কত?

প্রকাশিত: ২৩:০৭, ৯ ডিসেম্বর ২০২১

অনেক উদারতা দেখিয়েছি, আর কত?

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি নেতাদের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, আমাদের স্বজন হারানোর বেদনায় আরও বেশি আঘাত দিতে খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট মিথ্যা জন্মদিন পালন করেন, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়-পুরস্কৃত, ১৫ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছেন। তাদের এই কাজ করার সকল উদ্দেশ্যটাই হচ্ছে আমাদের আরও আঘাত দেয়া। কত বড় হীনম্মন্যতা, অমানবিকতা-সেটাই দেশের মানুষকে জানতে হবে। এরপরও মানবিক দিক বিবেচনা করে নিজের নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে যতটুকু সম্ভব তা দিয়ে খালেদা জিয়াকে বাসায় থাকা এবং চিকিৎসার সুযোগ করে দিয়েছি। এটাই কী যথেষ্ট নয়? অনেক বড় উদারতা দেখিয়েছি, আর কত? এরা (বিএনপি) আমাদের কাছ থেকে আর কত আশা করে? বুধবার আওয়ামী যুবলীগের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারুণ্যের শক্তির প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্য নিয়ে। বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার তারুণ্যের শক্তিটাকেই গুরুত্ব দিয়েছে। তরুণ সমাজ যেন সেই পথে এগিয়ে যেতে পারে সেজন্য শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সঙ্কটে-সংগ্রামে-মানবিকতায় যুবলীগের ৪৯ বছর শীর্ষক একটি প্রমাণ্যচিত্র অনুষ্ঠানে প্রদর্শন করা হয়। এ সময় গণভবন প্রান্তরে আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক এবং প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ উপস্থিত ছিলেন। খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে বিএনপি নেতাদের দাবির প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করেই নিজের নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে যতটুকু সম্ভব তা দিয়ে খালেদা জিয়াকে বাসায় থাকা এবং চিকিৎসার সুযোগ করে দিয়েছেন। খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে পুঁজি করে বিএনপি আন্দোলন করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যাই হোক তবুও বিএনপি এতদিন পরে একটা সুযোগ পেয়েছে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার, এই দাবিতে তারা আন্দোলন করছে। খুব ভাল তারা আন্দোলন করুক। কিন্তু আমার যতটুকু করার ছিল, সেটা কিন্তু করেছি। এরা (বিএনপি) আমাদের কাছ থেকে আর কি আশা করে? আমরা যতটুকু দিয়েছি, তাকে (খালেদা জিয়া) যে বাসায় থাকতে দিয়েছি, ইচ্ছামতো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে- এটাই কী যথেষ্ট না? এটাই কি অনেক বড় উদারতা আমরা দেখাইনি। উদারতা দেখিয়েছি, আর কত? এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বড় বোন আর তার ভাই আমার কাছে এসেছে। বোন-বোনের স্বামী, ভাই এরা সবাই এসেছিলেন। তারা আমার কাছে এলো শেখ রেহানাও আমার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। তখন খুব স্বাভাবিকভাবে মানবিক দিক থেকে আমি তাকে (খালেদা জিয়া) কারাগার থেকে বাড়িতে থাকার আমার এক্সিকিউটিভ পাওয়ারে আমি যতটুকু করতে পারি, নির্বাহী যে ক্ষমতা আমার আছে, ছিল- সেটার মাধ্যমে আমি তার সাজাটা স্থগিত করে তাকে তার বাসায় থাকার অনুমতি এবং চিকিৎসার অনুমতি দিয়েছি।’ তিনি বলেন, আজকের বাংলাদেশে সব থেকে দামী যে হাসপাতাল, যে হাসপাতাল সব থেকে ব্যয়বহুল-সেখানেই কিন্তু তার চিকিৎসা হচ্ছে। তার (খালেদা জিয়া) ছেলের বউতো ডাক্তার। তারেকের বউ ডাক্তার, শুনেছি সে নাকি অনলাইনে শাশুড়িকে দেখে, কিন্তু কই তার ছেলে-ছেলের বউতো কোনদিন দেখতে এলো না। অবশ্য কোকোর বউ এসেছে। তারাতো আসেনি। খালেদা জিয়া তার সরকার আমলে এইচএম এরশাদ, রওশন এরশাদ, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাসহ অনেককে কারাবন্দী রেখে চিকিৎসার সুযোগ দেয়নি জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে এদেশে কী অবস্থা ছিল? আজকে তার চিকিৎসার জন্য এত চেঁচামেচি করে বেড়াচ্ছে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে আমাদের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান, তিনি যখন অসুস্থ তাকে সিএমএইচএ পর্যন্ত চিকিৎসা নিতে দেয়া হয়নি। এমনকি সে যখন আইসিইউতে ভর্তি তাকে স্ট্রেচারে করে কোর্টে নিয়ে হাজির করেছে। আর এরশাদকে কারাগারে বন্দী করে রেখেছিল তাকে চিকিৎসার জন্য কোনদিন সুযোগ দেয়নি। রওশন এরশাদকে দেয়নি।’ জিয়াউর রহমানের সময়কার কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আবার জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় তখন আমাদের সাজেদা চৌধুরীর (সংসদ উপনেতা) অপারেশন হয়েছিল, ঘা শুকায়নি। সেই ব্যান্ডেজ অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করে জেলে ভরেছিল জিয়াউর রহমান। ঠিক একই অবস্থা মতিয়া চৌধুরীর, তাকেও তখন জলে দিয়েছিল। মতিয়ার চৌধুরীর তখন টিবি হয়েছিল, অসুস্থ ছিল, তাকেও জেলে দিয়েছিল। খালেদা জিয়ার শাসনামলে এ রকম বহু অন্যায় অবিচারের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দলের অনেক নেতাকে গ্রেফতার করে যে অকথ্য অত্যাচার করেছে, বাহাউদ্দিন নাছিম থেকে শুরু করে মহিউদ্দিন খান আলমগীর, সাবের হোসেন চৌধুরী, শেখ সেলিমসহ বহু নেতাকে গ্রেফতার করে তাদের ওপর অকথ্য অত্যাচার করেছে, নির্যাতন করেছে। বাহাউদ্দিন নাছিমকে তো এমন অত্যাচার করেছিল যে, তাকে মৃত মনে করে তাড়াতাড়ি কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। যা হোক সে বেঁচে গেছে। এভাবে দিনের পর দিন তারা আমাদের ওপর অত্যাচার করেছে। আবার সেই অত্যাচারের ভিডিও নিয়ে খালেদা জিয়া-তারেক জিয়া দেখে উৎফুল্ল হয়েছে! এই ধরনের তাদের হিং¯্র একটা চরিত্র আমরা দেখেছি। বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বিএনপি নেতাদের জিজ্ঞাসা করি- তারা যে সহানুভূতি দেখাতে বলে, তারা যে সহযোগিতা চায়- কিন্তু খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে আমাদের সঙ্গে কী আচরণ করেছে? ২১ আগস্ট যে গ্রেনেড হামলা তার আগে খালেদা জিয়ার কি বক্তব্য ছিল? তিনি বলেছিলেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা, কোনদিন বিরোধী দলের নেতাও হতে পারবে না। এই বক্তৃতাই তো খালেদা জিয়া দিয়েছিল এবং বলেছিল আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় যেতে পারবে না। কিন্তু মহান আল্লাহ’র খেলা এটাতো বোঝা ভার। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীও হতে পারেনি, বিরোধী দলীয় নেতাও হতে পারেনি। এটা তার ওপরই ফলে গেছে।’ খালেদা জিয়ার প্রশ্নে অনেকের দ্বৈত মানসিকতা কেন? প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এসব কথা আর বলতে চাই না। আমি বললাম ইচ্ছে করেই তার কারণ, আমাদের যুবলীগের নেতাকর্মীদের জানতে হবে। কারণ নানা ধরনের কথা আসে, এ দেশের মানুষ একটা অদ্ভুত চরিত্রের। তারা দেখি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলবে, আবার দুর্নীতিবাজের জন্য কান্নাকাটিও করবে। তাকে বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসাও করতে হবে। যে দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত, তার প্রশ্নে এই ধরনের দ্বৈত মানসিকতা কেন?’ প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, এতিমের সম্পদ আত্মসাত করোনা, এটা পবিত্র কোরান শরীফের নির্দেশ। নবী করিম (স.) বলে গেছেন। আর এতিমের অর্থই আত্মসাত করেছে। এতিমের জন্য আসা টাকা এতিমরা পায়নি, তারা (খালেদা জিয়া) খেয়ে ফেলেছেন। কাজেই সে সাজা পেয়েছে এবং সেই সাজা সে ভোগ করছে।’ স্বজন হারানোর বেদনায় আরও বেশি আঘাত দিতে খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করে মন্তব্য করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘জন্মদিনের চার পাঁচটা তারিখ (জন্মদিন) হয় কি কিভাবে? কোথাও ৫ সেপ্টেম্বর, কোথাও ১৯ আগস্ট; আবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে হয়ে গেল ১৫ আগস্ট! এ রকম ১৫ আগস্ট জন্মদিন করে, কেক কেটে উৎসব করার অর্থটা কি? কারণ ঐদিন আমরা যারা বাবা-মা, ভাই হারিয়েছি। আমাদের মনে আঘাত করা, আমাদের কষ্ট দেয়া, এটাই তো! এই কষ্টটা দেবার জন্যই তো খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট তার জন্মদিবস পালন করে। আমার কাছ থেকে আর কত আশা করে তারা? কিভাবে আশা করে? সেটাই আমার প্রশ্ন।’ বঙ্গবন্ধুর হত্যার তদন্ত করতে না দেয়া, বিচার বন্ধ এবং খুনীদের জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়া বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করার কথা যুব সমাজের সামনে তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তাদের (প্রধানমন্ত্রীসহ ১৫ আগস্টে স্বজন হারানোর পরিবার) আরও আঘাত দিতে জিয়া-খালেদা জিয়ারা খুনীদের লালন-পালন ও পুরস্কৃত করে উল্লেখ করে আবেগজড়িতকণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কতটা জঘন্য মনোবৃত্তি, সেটাই মানুষকে জানতে হবে। কত হীনম্মন্যতায় ভোগে যে, শুধু খুনীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় বা পুরস্কৃতই শুধু না- তাদের (জিয়া-খালেদা) এই কাজ করার সকল উদ্দেশ্যটাই হচ্ছে আমাদের আরও আঘাত দেয়া। একে তো আমরা সর্বহারা ছিলাম, তারপর বিদেশে থাকতে হয়েছে, জিয়াউর রহমান আমাদের আসতে দেয়নি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিল, এতে কোন সন্দেহ নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুনী মোশতাক বেইমানি করে সাড়ে তিন মাসও টিকে থাকতে পারেনি, তেমনি অতীতে মীরজাফরও বেইমানি করে তিন মাসের মধ্যে পতন ঘটেছে। কিন্তু নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীরাই টিকে থেকেছে। আর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত ছিল এতে কোন সন্দেহ নেই। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে এই জিয়া ইনডেমনিটি দিয়ে খুনীদের বিচার করার পথ বন্ধ করে দিয়েছিল, আমরা যারা স্বজন হারিয়েছি তাদের বিচার চাওয়ার অধিকারটুকু ছিল না। তিনি বলেন, শুধু ইনডেমনিটি নয়, বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে জিয়া খুনীদের পুরস্কৃত করে। কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দিয়ে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করে, সাত খুনের আসামিকেও ছেড়ে দেয়, যারা একাত্তরে হানাদারবাহিনীর দোসর ছিল তারা যখন কার্যত ক্ষমতায়। একের পর এক ক্যু’র ঘটনার পর জিয়া হাজার হাজার সামরিক বাহিনীর অফিসার-সৈন্যকে হত্যা করে। জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে এরশাদও বঙ্গবন্ধুর খুনী ফারুককে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেয়। ভোট চুরির অপরাধে খালেদা জিয়াকে গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হতে হয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বামীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়াও ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনের একতরফা নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর খুনী রশীদ ও হুদাকে এমপি বানিয়ে সংসদে আনে, খুনী রশীদকে বিরোধী দলের আসনে বসায়। কিন্তু ওই প্রহসনের নির্বাচনে ভোটচুরির অপরাধে একমাসও ক্ষমতায় থাকতে পারেননি খালেদা জিয়া। গণআন্দোলনের মুখে খালেদা জিয়া পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন, এটা দেশবাসীর মনে রাখা উচিত। যুব সমাজের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমাদের লক্ষ্য এটাই যে যুব সমাজ দেশে-বিদেশে যেখানেই যাক, কাজ করবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর সেই কারণেই আমরা আমাদের যে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছি ২০১৮ সালে, সেখানে কিন্তু যুব সমাজকেই উৎসর্গ করেছি- তারুণ্যের উন্নতি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে বর্তমান যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের বক্তব্যের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে গড়ে তোলা, অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা বলি, বিজ্ঞানভিত্তিক প্রগতিশীল ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠন। আমি মনে করি, এই লক্ষ্যগুলো সামনে নিয়ে যদি সত্যিই যুবলীগ গড়ে উঠে, তাহলে এদেশের ভবিষ্যত অনেক উজ্জ্বল। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য যুবলীগের প্রতি আহ্বান জানানোর পাশাপাশি মুজিববর্ষে বৃক্ষরোপণ অভিযান, করোনায় কৃষকদের ধান কেটে দেয়া, অক্সিজেন ও খাদ্য পৌঁছে দেয়া, গৃহহীনদের ঘর করে দিতে সহযোগিতার জন্য যুবলীগের প্রশংসাও করেন। তিনি বলেন, যুবলীগ আজকে প্রায় ৬১টি পরিবারকে ঘর তৈরি করে দেয়া নেয়া প্রকল্প সত্যিই প্রশংসনীয়। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আরও এগিয়ে যাবে। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ধরে রেখেই আমাদের উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব ইনশাল্লাহ।
×