ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চাঁদাজীর প্রতিবাদে পুরানো ঢাকার নয়াবাজার ব্যবসায়ীদের অনির্দিষ্ট কালে ধর্মঘট

প্রকাশিত: ২০:৪৮, ৮ ডিসেম্বর ২০২১

চাঁদাজীর প্রতিবাদে পুরানো ঢাকার নয়াবাজার ব্যবসায়ীদের অনির্দিষ্ট কালে ধর্মঘট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চাদাঁবাজীর প্রতিবাদে পুরানো ঢাকার নয়াবাজার নওয়াব ইউসুফ মার্কেট ব্যবসায়ীরা দোকান পার্ট বন্ধ করে অনিদিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছে। দু’দিন ধরে দোকানপার্ট বন্ধ রেখে বুধবার দুপুর ব্যবসায়ীরা চাদাঁবাজদের গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করে। প্রতিবাদ মিছিল শেষে ব্যবসায়ীরা নয়াবাজার মাছ-মাংস ও কাঁচাবাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমাবয় সমিতি অফিসে জড়ো হয়। এ সময় ওই সমিতি অফিসে ঢুকে অর্তকিত হামলা চালিয়ে কয়েক ব্যবসায়ী মারধর ও ভাঙ্গচুর চালায় কয়েকজন সশস্ত্র যুবক। হামলায় আতংকে অনেক ব্যবসায়ীরা ভয়ে নিরাপদে আশ্রয় নেয়। এ ব্যাপারে নয়া বাজার মাছ-মাংস ও কাঁচাবাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি সভাপতি আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ মন্টু মিয়া জনকণ্ঠকে জানান, দুপুরে যখন তার সমিতি অফিসে প্রায় শতাধিক ব্যবসায়ীরা বসে আলোচন করছিলেন। এ সময় স্থানীয় ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু সাঈদ ও তার লোকজন অফিস কক্ষে ঢুকে হুমকি ধমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি আমাকে ও নওয়াব ইউসুফ মার্কেট বহুমূখী সমবায় সমিতির সাধারন সম্পাদাক মদন বাবুকে লাঞ্জিত করেন। ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদের মুখে কাউন্সিলর চলে যাওয়ার পরই মূহূর্তে মধ্যে বিএনপি ক্যাডার হেলাল, আসিফ, পারভেজ, লালমিয়াসহ কয়েকজন তার অফিসে ভাঙ্গচুর চালায়। কয়েক ব্যবসায়ীকে মারধর করে। পরে বিষয়টি বংশাল থানা পুলিশকে জানালে তার গড়িমসি করে। হামলা ও ভাঙ্গচুর করার শেষ হলে থানা পুলিশ আসে। তখন আমাদের কয়েক ব্যবসায়ী মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যায়। এ ব্যাপারে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু সাঈদ জনকণ্ঠকে জানান, আমি এ ঘটনায় কিছুই জানি না। এটি ইজারাদারের বিষয়। ওয়ার্ড ক্ষুদ্র মাছ , মাছ ও তারতরকারি ব্যবসায়ীরা জানান, দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন দীর্ঘদিন ধরে আমার দিয়ে আসছি। তারা জানান, দক্ষিন সিটি কপোরেশন কর্তৃপক্ষ ইজারা শর্তে উল্লেখ আছে নির্ধারিত রশিদ এর মাধ্যমে সীমিত আকারে টোল আদায় করা যাবে। কিন্তু আমরা সমিতি কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ীরা ইজারা টোল এর রিসিপ চাইলে ইজারা কর্তৃপক্ষের লোকজন মাছ ও ক্ষুদ্র কাঁচা-মালব্যবসায়ীদের ভয়-ভীতি ও দোকান উচ্ছেদের হুমকি দেয়। তাদের খেয়াল খুশিমত কাঁচা-মালব্যবসায়ীদের থেকে ৩০০ টাকা, মাংস ব্যবসায়ীদের থেকে ৫০০টাকা ও প্রতি মাছব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১,৫০০ টাকা দৈনিক হারে আদায় করে থাকে। এতে বাধা দেয়ায় আজ (বুধবার) কাউন্সিলরসহ কয়েক সমিতির অফিসে এসে হুমকি ধমকি দিয়ে যায়। কয়েকজনকে মারধর করে। এর ভিডিও ফুটেজও তাদের কাছে আছে। সম্প্রতি মাসখানেক আগে এর প্রতিবাদ করতে টোল আদায়ের পালিত ক্যাডাররা সমিতির অফিস হামলা চালায়। পরে তার সভাপতিকে মন্টুকে মারধর করে। থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। সম্পতি টোল আদায়কারীরা দোকান প্রতি ৫০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা এককালিন দাবী করে। এ নিয়ে টোল আদায়কারীদের সঙ্গে তাদের অসন্তোষ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে তারা এর প্রতিবাদ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা থেকে প্রায় তিন শতাধিক ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে অনিদিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করে। বিক্ষোভকারীরা জানান, র্ধমঘটে দ্বিতীয়দিন বুধবার দুপুরে টোল কর্তৃপক্ষে সশস্ত্র ক্যাডাররা তাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা আহত হলেও আন্দোলন থেকে পিছপা হয়নি। আমার দক্ষিনের মেয়রের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই। তিনি আমাদের কথা শুনে ব্যবসা নিক। অথবা নিজে লোক পাঠিয়ে তদন্ত করুক।
×