ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নড়াইলের লোহাগড়া হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

প্রকাশিত: ১৬:৩৩, ৮ ডিসেম্বর ২০২১

নড়াইলের লোহাগড়া হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, নড়াইল ॥ নড়াইলের লোহাগড়া হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে লোহাগড়াকে হানাদার মুক্ত করে। জয় বাংলা, জয় বাংলা, শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা জনপদ। হানাদার মুক্ত উপলক্ষে আজ লোহাগড়া উপজেলা প্রশাসন থানার মধ্যে শহিদ হাবিবুর রহমানের কবর জেয়ারত করেন। এদিকে ইতনা স্কুল এন্ড কলেজের উদ্বোগে হানাদার মুক্ত দিবস ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামালের শাহাদাৎ বার্ষিকীতে আলোচনা সভা ও শ্রদ্ধাঞ্জলি দেয়া হয় । আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অধক্ষ অনিন্দ্য সরকার। সহকারী অধ্যাপক আমিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বীরপ্রতীক গোলাম আজাদ দ্বারা, শেখ আতাউর রহমান ফিরোজ, আলী আজগার রাজাসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন । নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে লোহাগড়ার উত্তরাঞ্চল পাক-হানাদার মুক্ত হয়। এর পর পাক-হানাদার বাহিনী লোহাগড়া থানায় সশস্ত্র অবস্থান গ্রহন করে। এ অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধারা উপজেলার পূর্বাঞ্চলের মধুমতি নদীর কালনাঘাটে ৭ ডিসেম্বর রাতে এক গোপন বৈঠকে মিলিত হয় এবং বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, ৮ ডিসেম্বর গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে লোহাগড়া থানা আক্রমন করা হবে। মুজিব বাহিনীর প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ খসরুজ্জামানের নেতৃত্বে হাবিবুর রহমান, মোস্তফা কামাল তাজ সহ ৪০/ ৫০জনের একদল সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা ৮ ডিসেম্বর ফজরের আযানের সাথে সাথে পশ্চিম দিক থেকে লোহাগড়া থানা আক্রমন করে। থানা আক্রমনের সময় সম্মুখ যুদ্ধে কোলা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান (২০) ও যশোর সদর উপজেলার জঙ্গল বাঁধাল গ্রামের মোস্তফা কামাল তাজ (২৮)নিহত হয়। নিহত হাবিবুর রহমানকে লোহাগড়া থানার অভ্যন্তরে কবর দেওয়া হয় এবং মোস্তফা কামাল তাজকে ইতনা স্কুল ও কলেজ চত্বরে কবর দেয়া হয়। থানা আক্রমনের সময় বীর মুক্তিযোদ্ধারা ৪২ জন পাক-হানাদার বাহিনীকে আত্মসমর্পনে বাধ্য করে।
×