ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত রায় কার্যকর চান আবরারের মা

প্রকাশিত: ১৬:৩৩, ৮ ডিসেম্বর ২০২১

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত রায় কার্যকর চান আবরারের মা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া ॥ বহুল আলোচিত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বী হত্যা মামলায় দেওয়া আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আবরারের মা রোকেয়া খাতুনসহ পরিবারের সদস্যরা। সেই সাথে রায় দ্রুত কার্যকর চান তিনি। আজ বুধবার দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই এ হত্যা মামলায় ২০ জনকে ফাঁসি এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। দুপুরে আদালতের রায়ের সংবাদ জানতে পারেন আবরারের পরিবার। এসময় কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডের বাসায় আবারের মা রোকেয়া খাতুন ও ছোট ভাই আবরার ফায়াজ ছাড়াও প্রতিবেশিরা উপস্থিত ছিলেন। আবরের মা রোকেয়া খাতুন জানান, রায়ে ২০ জনের ফাঁসি দেয়া হয়েছে আর ৫ জনের যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত। সব আসামির ফাঁসির রায় দেয়া হলে আমরা আরও খুশি হতাম। তবে আদালতের রায় পর্যালোচনা করে দেখবো, পুর্নাঙ্গ রায় থেকে অন্যদের ফাঁসির জন্য আবেদন জানাবো উচ্চ আদালতে। তবে আদালত যে রায় দিয়েছে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি সেই সঙ্গে এ রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি। যে ২০ জনকে আদালত ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন এতে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমি। সেই সঙ্গে অমিত সাহার ফাঁসি চাই। যেদিন এ রায় কার্যকর হবে সেদিন সেদিন আমরা ভাববো আমরা বিচার পেয়েছি। রায় কার্যকর হলেই এমন হৃদয় বিদারক ঘটনা আর ঘটবে না। আবারের ছোট ভাই আবরার ফায়াজও রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে দ্রুত রায় কার্যকর চান। আবরার ফায়াজ বালেন, এ রায়ে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি। সেই সঙ্গে এখনো আমরা রায় পুরোটা দেখিনি। সেটা পর্যালচনা করে পরে জানাতে পারবো যে এ রায় নিয়ে পরবর্তীতে কি পদক্ষেপ আমরা নিবো। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের একটি কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা। ২০১৯ সালের ১৩ নবেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
×