ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ফেনী নদীতে চলছে মুহুরী সেতু নির্মাণ কাজ

প্রকাশিত: ১৩:১৪, ৮ ডিসেম্বর ২০২১

ফেনী নদীতে চলছে মুহুরী সেতু নির্মাণ কাজ

নিজস্ব সংবাদদাতা, মীরসরাই, চট্টগ্রাম ॥চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থেকে নোয়াখালী সোনাপুর এবং ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার যোগাযোগের সুবিধার্থে ৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ফেনী নদীতে মুহুরী সেতু নির্মাণ করছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। সেতুটি নির্মাণ কাজ শেষ হলে চট্টগ্রামের সাথে বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা, লক্ষীপুর জেলা ও ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার বাসিন্দাদের আন্তঃ মহাসড়কে যোগাযোগে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। এছাড়াও চট্টগ্রাম থেকে বৃহত্তর নোয়াখালী ও লক্ষীপুর জেলার প্রায় ৫২ কিলোমিটার এবং ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়ক যোগাযোগে দুরত্ব কমে ২ ঘন্টা সময় কমে পৌঁছাবে যাত্রীরা। ফলে বাঁচবে কর্মঘন্টা। সেতুটি নির্মাণের মধ্য দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহৃত হবে জোরারগঞ্জ- সোনাপুর সড়কটি। এতে করে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের সাথে সম্প্রসারিত হবে সোনাপুর উপজেলা ও সোনাগাজী উপজেলার ব্যবসা-বাণিজ্য। এছাড়া সোনাগাজী অর্থনৈতিক অঞ্চল ও কক্সবাজার থেকে আসা মেরিন ড্রাইভে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে সেতুটি। সওজ ফেনী জেলা সূত্রে জানা গেছে, মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ-মুহুরী প্রজেক্ট সড়ক ও ফেনী জেলার সোনাগাজী সড়কের সাথে সংযোগ করে ফেনী নদীর উপর মুহুরী সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সড়ক ও জনপদ বিভাগ। ৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ করছে হাসান টেকনো বিল্ডার্স নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৩৯১ মিটার, প্রস্থ ১০.২৫ মিটার, ৯টি স্প্যানে ৮টি পিলার, ২টি এ্যাপার্টমেন্ট হবে। মোট ফাইলিং হবে ১২৮টি। প্রতিটি ফাইলিং ৩৮ মিটার থেকে ৪৮ মিটার পর্যন্ত গভীর করা হয়েছে। প্রতি স্প্যানে ৫টি করে মোট ৪৫টি গার্ডার বসানো হবে। সেতুর কাজ শুরু হয় চলতি বছরের জানুয়ারিতে। নির্মাণ সময় ধরা হয়েছে ১৮ মাস। সরেজমিনে মুহুরী সেতুর নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে দেখা যায়, ইতিমধ্যে সেতুর ফাইলিংয়ের কাজ ৯০ভাগ ও সার্বিক কাজ ৪২ ভাগ কাজ সম্পন্ন করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) ফেনী জেলার উপ-সহকারি প্রকৌশলী এবং মুহুরী সেতুর প্রকল্প পরিচালক মাজহারুল হক বলেন, মুহুরী সেতুর ফাইলিংয়ের কাজ ৯০% আর সেতুর সার্বিক অগ্রগতি ৪২%। এখনো ১০ টি ফাইলিংয়ের কাজ বাকী রয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে প্রায় ৭৫% কাজ শেষ হবে। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সেতুটি দিয়ে গাড়ী চলাচল করবে বলে আশা করা যায়। এছাড়া সোনাপুর-জোরারগঞ্জ দুই লেইন বিশিষ্ট সড়কটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার হবে। সড়কটি ভবিষ্যতে চার লেইন করার পরিকল্পনা রয়েছে সওজের। নোয়াখালী জেলার চৌরাস্তা পর্যন্ত চার লেইনের কাজ চলছে।
×