ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা ॥ মামলার ২২ আসামি আদালতে

প্রকাশিত: ১১:৫২, ৮ ডিসেম্বর ২০২১

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা ॥ মামলার ২২ আসামি আদালতে

অনলাইন ডেস্ক ॥ আজ বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। রায় ঘোষণার আগে আসামিদের আদালতের এজলাসে হাজির করা হবে। এ মামলার মোট ২৫ আসামির মধ্যে তিনজন শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন। মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তাদের ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। আজ ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে। ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দুপুর ১২টার দিকে রায় ঘোষণা হতে পারে। রায়ে সব আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেছেন তিনি। এদিকে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বলেছেন, ‘ছেলে হত্যার রায় শুনতে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকায় এসেছি। এক আত্মীয়ের বাসায় উঠেছি। রায় শুনতে আগামীকাল (বুধবার) সকালে আদালতে যাবো। আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে, সবার মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রত্যাশা করছি। এবার যেন আর রায় ঘোষণার তারিখ না পেছানো হয়।’ গত ২৮ নবেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য থাকলেও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক রায়ের জন্য ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। তাই এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হলো। এর আগে গত ১৪ নবেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রায় ঘোষণার জন্য ২৮ নবেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় আবরার ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিত্সক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে তাঁকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পরদিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ হত্যা মামলা করেন। ওই বছরের ১৩ নবেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আদালত ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলার বিচার চলাকালে বিভিন্ন সময়ে মোট ৬০ সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
×