ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

অভিযোগ পেলেই ডিবি জিজ্ঞাসাবাদ করবে মুরাদকে

প্রকাশিত: ২৩:২৬, ৮ ডিসেম্বর ২০২১

অভিযোগ পেলেই ডিবি জিজ্ঞাসাবাদ করবে মুরাদকে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিতর্কিত মন্তব্য ও অডিও রেকর্ড ফাঁসের নেপথ্যে আলোচিত চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমনের কোন সম্পৃক্ততা আছে কিনা সে রহস্য উদ্ঘাটনে নেমেছে র‌্যাব। এজন্য মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত র‌্যাব সদর দফতরে প্রায় ৫ ঘণ্টা জেরার মুখে পড়েন তিনি। পাশাপাশি দেশে তোলপাড়কারী এ ঘটনায় সদ্য পদত্যাগকারী তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ মুরাদ হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শীঘ্রই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে ডাকা হতে পারে। ইতোমধ্যে ডিবি কিছু ঘটনার ছায়া তদন্ত নেমেছে। মঙ্গলবার রাতে তার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র। এছাড়া নাহিদ নামের এক উপস্থাপককেও খোঁজা হচ্ছে। নাহিদ রেইন্স পিকচার্স নামের একটি ফেসবুক পেজে লাইভ অনুষ্ঠানে আপত্তিকর এই মন্তব্য করেছিলেন তিনি। হনন জানা গেছে, ডাঃ মুরাদ হাসানের সঙ্গে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ফাঁস হওয়া ফোনালাপের বিষয়ে চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র‌্যাব। রাত এগারোটায় এ বিষয়ে র‌্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সাম্প্রতিক অডিও ক্লিপ ফাঁসের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমনকে র‌্যাব সদর দফতরে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত জানানো হবে। তবে আমাদের জানার বিষয় হচ্ছে- ওই ভিডিও কল কিভাবে ফাঁস হলো সেটা খুঁজে বের করা। যদি এতে ইমনের সংশ্লিষ্টতা থাকে তবে তাকে ডিজিটাল আইনের আওতায় আনা হবে। র‌্যাবের আগে সোমবার রাতে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন ঢালিউড তারকা মামনুন ইমন। প্রায় ৩০ মিনিট জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ইমন সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মিন্টো রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান। সেখানে তার ছবির ব্যাপারে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মঙ্গলবার ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ জানান, অভিনেতা ইমন রাতে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তিনি তার ছবি ব্যাপারে কথা বলতে এসেছিলেন। চা খেয়ে চলে গেছেন। সাম্প্রতিক ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে ইমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন কিনা? নায়ক ইমনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ রয়েছে সে নায়িকাদের বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে, প্রতিমন্ত্রীর কাছেও সে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছিল। আপনারা ইমনের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেবেন কিনা জানতে চাইলে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবি যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ জানান, কেবলমাত্র আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ পেলেই বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব। চরিত্রহনন বা ফোনালাপে অশ্লীলতার বিষয়ে এখনও কেউ মামলা করেনি। ডাঃ মুরাদ, চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহির ফোন কল রেকর্ডসহ নানা বিতর্কিত অডিও রেকর্ড পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তবে ছায়া তদন্ত করতে গিয়ে যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসলে তাতে মামলা হতে পারে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। অথবা কেউ মামলা করলে আমরা ডাঃ মুরাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য জানতে চাইব। এদিকে র‌্যাব ও ডিবির মুখোমুখি হন চিত্রনায়ক ইমন। ডিবি পুলিশ জানায়, দেশে ফিরলেই নায়িকা মাহিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। শাহবাগ থানায় অভিযোগ ॥ এদিকে পদত্যাগপত্র জমা দেয়া তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী। এতে তিনি মুরাদের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে তাচ্ছিল্য করা এবং ঢাবির নারী শিক্ষার্থীদের চরিত্রহননের অভিযোগ আনেন। মঙ্গলবার রাতে শাহবাগ থানায় এ অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থী জুলিয়াস সিজার তালুকদার। এ সময় তার সঙ্গে বেশকিছু শিক্ষার্থী ছিলেন। এ বিষয়ে থানার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষার্থীরা একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে এসেছেন। এটি এখনও জিডি বা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়নি। লিখিত অভিযোগে স্বাক্ষরকারী জুলিয়াস সিজার বলেন, আমার অভিযোগটি থানা গ্রহণ করেছে। থানা থেকে আমাকে বলা হয়েছে, অভিযোগটি ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটে পাঠানো হবে তদন্তের জন্য। তদন্ত শেষে মামলা আকারে এটি নেয়া হবে কি না থানার পক্ষ থেকে তা পরে জানানো হবে। লিখিত অভিযোগে জুলিয়াস সিজার বলেন, আমি গত ৫ ডিসেম্বর সলিমুল্লাহ হলের ২৬ নম্বর কক্ষে বসে একটি ভিডিও ক্লিপ দেখতে পাই। ভিডিওতে ডাঃ মুরাদ ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রস্রাব করারও সময় আমার নাই’ বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠকে তাচ্ছিল্য করেছেন। এছাড়া তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহ্যবাহী রোকেয়া হল এবং শামসুন্নাহার হলের নারী শিক্ষার্থীরা ‘হলে না থেকে পাঁচ তারকা হোটেলে রাত কাটায়’ বলে তাদের চরিত্রহনন করেছেন। এ দুটি বিষয় উল্লেখ করে ডাঃ মুরাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন শিক্ষার্থী জুলিয়াস সিজার। এ বিষয়ে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ডাঃ মুরাদ হাসান ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে ঢাবির দুই শিক্ষার্থী রাতে শাহবাগ থানায় দুটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ দুটি আমরা তদন্ত করছি। বিশেষজ্ঞদের মতামত ও তদন্ত শেষে এই দুই অভিযোগের বিষয়ে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ডিবি পাঠাইতেছি তোরে বাইন্দা নিয়ে আসবে ॥ সদ্য ভাইরাল হওয়া একটি ফোনকলে শোনা যায়, চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে যেতে বলেছিলেন সদ্য পদত্যাগপত্র জমা দেয়া তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান। যদি মাহি নিজ ইচ্ছায় সেখানে না যায় তাহলে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে তুলে আনার হুমকি দেন তিনি। ফোনকলে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেসব সংস্থাকে ব্যবহার করার কথা বলেছিলেন তার মধ্যে অন্যতম ছিল মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। আর ডিবির নাম উল্লেখ করায় জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হবেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে ডিবি কার্যালয়ের বাইরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিবির যুগ্ম-কমিশনার হারুন অর রশিদ এসব কথা জানান। ডিবি যুগ্ম-কমিশনার জানান, আমি অন্য কোন বাহিনীর কথা বলব না। যেহেতু তিনি (ডাঃ মুরাদ হাসান) ডিবির কথা উল্লেখ করেছেন। প্রয়োজনে তাকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব। অডিও কলের রেকর্ডটি কীভাবে ফেসবুকে ছড়িয়েছে জানতে চাইলে যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ যদি অভিযোগ দায়ের করে এবং আমাদের ডিবি সাইবার ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ আসে তাহলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। কোন কিছু ভাইরাল হলে আমাদের ডিবির সাইবার ইউনিট দেখভাল করে ও তদন্ত করে। সেদিন মাহি ও মুরাদের ফোনালাপের পরে ওই নায়িকা হোটেলে শ্লীলতাহানির কোন ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিল কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশিদ জানান, এ ধরনের অভিযোগ আমাদের কাছে এখনও আসেনি। আমরা প্রয়োজনে সবার সঙ্গেই কথা বলব। দেশে ফিরলেই নায়িকা মাহিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ॥ ডাঃ মুরাদ হাসানের সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার জের ধরে নায়িকা মাহিয়া মাহিকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মাহি তার স্বামীসহ বর্তমানে ওমরা পালনের জন্য সৌদি আরবে রয়েছেন। সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরার পর মাহিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকবে ডিবি। ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ এ তথ্য জানান। হারুন অর রশিদ জানান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসানের সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার জের ধরে নায়িকা মাহিয়া মাহিকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব। তবে তিনি বিদেশে থাকায় তাকে এ বিষয়ে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি। তিনি দেশে ফিরলেই তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করব। এছাড়া মাহি দেশে না থাকায় অভিনেতা ইমনকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। এ বিষয়ে তার কাছ থেকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। এদিকে এ ঘটনায় নায়ক ইমনকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। মাহি বর্তমানে তার স্বামীসহ ওমরা পালনের জন্য সৌদি আরবে রয়েছেন। সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরার পর মাহিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ডিবির মুখোমুখি হয়ে যা বলেছেন ইমন ॥ সোমবার রাতে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন ঢালিউড তারকা মামনুন ইমন। প্রায় ৩০ মিনিট জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ইমন সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মিন্টু রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান। সেখানে তার ছবির বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মঙ্গলবার ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ জানান, অভিনেতা ইমন রাতে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তিনি তার ছবির বিষয়ে কথা বলতে এসেছিলেন। চা খেয়ে চলে গেছেন। সাম্প্রতিক ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে ইমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন কিনা? নায়ক ইমনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ রয়েছে সে নায়িকাদের বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে, প্রতিমন্ত্রীর কাছেও সে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছিল। আপনারা ইমনের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেবেন কিনা জানতে চাইলে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবি যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, কেবল আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ পেলেই বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব। তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি অডিও ক্লিপ। এটি মূলত একটি ফোনালাপ। যেখানে কথা বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান। অন্য প্রান্তে ছিলেন চিত্রনায়ক ইমন ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। সেই ফোনালাপে অশ্লীল ভাষায় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে দেখা করার জন্য বলেন প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান। চিত্রনায়ক ইমনকে তিনি বলেন, ঘাড় ধরে যেন মাহিকে তার কাছে নিয়ে যান। অডিওটি ভাইরাল হলে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানারকম কটূ মন্তব্যের শিকার হন নায়ক ইমন। অনেকেই তাকে নানাভাবে ট্রল করছেন। চিত্রনায়ক ইমন জানান, সম্প্রতি ডাঃ মুরাদ ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বিষয় নিয়ে নানা ভুল বোঝাবুঝির অবসানের জন্য আইনী পরামর্শ নিতে তিনি নিজে স্বেচ্ছায় মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। তিনি জানান, অডিও প্রকাশের পর আমাকে সবাই ভুল বুঝছে। চলচ্চিত্রের সহকর্মীরাও আমার বিষয়টাকে ভুলভাবে ভাবছেন ও ব্যাখ্যা করছেন। অথচ সবাই কিন্তু ফোনালাপ শুনেছেন এবং বুঝতে পারছেন যে আমি কেবল পরিস্থিতিটা সামাল দিতে চেয়েছিলাম। আমার মনে হয়েছে এসব বিষয় নিয়ে যে ভুল বোঝাবুঝি চলছে তার অবসান হওয়া উচিত। সেই সঙ্গে এই মুহূর্তে আমার করণীয় কি এ বিষয়ে আইনী পরামর্শ নিতে সোমবার রাতে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে যাই। ইমন দুঃখ প্রকাশ করে জানান, অনেকে আমার ডিবি অফিসে যাওয়াটাকেও ভুলভাবে উপস্থাপন করছেন। আমাকে তলব করা হয়নি ডিবির পক্ষ থেকে। আমি নিজেই গিয়েছি আইনী পরামর্শের জন্য, বাধ্য হয়ে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ইমন ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করেন বলে নিশ্চিত করেন ইমন। বেশ কয়েকদিন ধরেই বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আলোচনায়-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ডাঃ মুরাদ হাসান। বিশেষ করে রাষ্ট্রধর্ম, রাজনীতি, খালেদা জিয়ার নাতনি ও সবশেষ ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে ভেতর-বাইরে আলোচনা-সমালোচনায় ছিলেন। তার উল্টাপাল্টা মন্তব্য এবং অস্বাভাবিক আচরণের কারণে দলীয় সহকর্মীদেরও বিব্রত হতে হয়েছে। এসবের জেরে সোমবার রাতে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চিত্রনায়ক ইমনকে র‌্যাব সদর দফতরে পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ ॥ প্রায় টানা পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে চিত্রনায়ক ইমন মঙ্গলবার রাত ১১টা ১৫ মিনিটে কুর্মিটোলায় অবস্থিত র‌্যাব সদর দফতর থেকে বের হয়ে যান। বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সাম্প্রতিক ভাইরাল অডিও ক্লিপ ফাঁসের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব সদর দফতরে চিত্রনায়ক ইমনকে ডেকে নিয়ে আসা হয়। বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত ১১টা ১৫ মিনিটে তিনি র‌্যাব সদর দফতর থেকে চলে যান। তাকে কি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি কিভাবে ফাঁস হলো মূলত সেই বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার পর ইমন র‌্যাব সদর দফতরে গিয়েছিলেন।
×