ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাউফলে জন্ম নিবন্ধনে জেলা প্রশাসক, ইউএনও ও চেয়ারম্যানের বরাদ দিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়

প্রকাশিত: ১৭:১৭, ৭ ডিসেম্বর ২০২১

বাউফলে জন্ম নিবন্ধনে জেলা প্রশাসক, ইউএনও ও চেয়ারম্যানের বরাদ দিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, পটুয়াখালী ॥ বাউফলে ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে জন্ম নিবন্ধন করতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। জেলা প্রশাসক, ইউএনও এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বরাদ দিয়ে ইউনিয়ন সচিবরা এ অর্থ আদায় করচ্ছেন। জানা গেছে, শিশুর জন্ম থেকে ৪৫দিন পর্যন্ত সরকারি নিয়মানুযায়ী জন্ম নিবন্ধনের জন্য কোন ফি নেওয়া হয়না। তবে শিশুর ৫ বছর পর্যন্ত ২৫ টাকা ও ৫ বছরের উপরে সব বয়সীদের জন্য ৫০টাকা ফি নেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু সে নিয়ম উপেক্ষা করে ১শত ৫০ থেকে ২শত টাকা করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদের কর্মরত উদ্যাক্তা। তাদের যোগসাজসে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ সচিবরা। চাহিদাকৃত টাকা না দিলে দিনের পর দিন বিভিন্ন অজুহাতে ঘুরাতে হয় সেবা গ্রহীতাদের। উপজেলা ১৫ ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধনে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, শিশু, কিশোর ও বৃদ্ধরা জন্ম নিবন্ধন করতে গেলে বরাদ্ধকৃত টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। চাহিদাকৃত টাকা না দিলে ফিরে আসতে হচ্ছে তাদের। কালাইয়া এলাকার রুমা বেগম জানান, কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদে তার নবজাতকের জন্মসনদে ২শ টাকা দিতে হয়েছে। টাকা না দিলে বিভিন্ন অজুহাতে মাসের পরে মাস ঘুরতে হয়। প্রায় ৩মাস পরে তিনি জন্মসনদ হাতে পেয়েছেন। কবির ও ইমতিয়াজ হোসেন জানান, প্রথম বার জন্মসনদ করাতে গিয়ে তাদের ২শ টাকা দিতে হয়েছে। সরকার নির্ধারিত ফি দিতে চাইলে পরিষদ সচিব বলেন, এটা এখানের নিয়ম। টাকা না দিলে সনদ হবেনা। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ সচিবের কাছে জানতে চাইলে তিনিসাংবাদিকদের বলেণ, ‘উদ্যাক্তা নিয়োগ দিয়েছেন চেয়ারম্যান ইউএনও এবং ডিসি মহোদয়। তাদের নির্দেশেই উদ্যাক্তার বেতন দেওয়ার জন্য এই টাকা নেওয়া হচ্ছে।’ এবিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ফয়সাল আহম্মেদ মনির মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা আমাদের নলেজে আছে, এই টাকাটা দিয়েই উদ্যাক্তাকে বেতন দেয়া হয়।’ ইউএনও আল আমিনসাংবাদিকদের বলেন, ‘অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কোন সুযোগ নাই। যদি অতিরিক্ত টাকা আদায় করে সে বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নিয়েছে তারা অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’
×