স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস॥ খুলনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোঃ এনায়েত হোসেনের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মহানগরীর মহেশ্বরপাশা পশ্চিম পালপাড়া পল্লীতীর্থ সরকারী বিদ্যালয়ের সামনে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তার বড় ছেলে মিরাজুল ইসলাম ও সেজ ছেলে রফিকুল ইসলাম পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। অবশ্য পুলিশ এটিকে দস্যুতার ঘটনা বলছে।
মুখোশধারী ডাকাত বা দস্যুরা দরজা ভেঙ্গে ঘরেঢুকে সবকিছু তচনচ করে। ছুরি নিয়ে সকলকে ভয় দেখিয়ে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, কযেকটি মোবাইল ফোনসহ দামী জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধার মেঝ ছেলে সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে আজ্ঞাতদের আসামি করে দৌলতপুর থানায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মুক্তিযোদ্ধা এনায়েত হোসেনের বড় মেয়ে মার্জিয়া বলেন, তিনি ঢাকায় থাকেন। বাপের বাড়ি বেড়াতে এসেছেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে টিনশেড বাড়ির উত্তর পাশের দরজা ভেঙে মুখোশধারী ডাকাতদল ঘরে ঢোকে। মেজ ভাই সিরাজুল ইসলাম ডাকাত দেখে মোবাইলের টর্চ জ্বালালে ওর ফোন নিয়ে মুখ চেপে ধরে হাত-পা বেঁধে ফেলে। তার গলায় ছুরি ধরে সবকিছু না দিলে মেরে ফেলবে বলে হুমকী দেয়। এ সময় ডাকাতদের সবার হাতে ছুরি ও স্ক্রু ড্রাইভার ছিল।
তিনি আরও বলেন, সেজ ভাই নতুন বিয়ে করেছে। ওর স্ত্রী জাকিয়া ইসলাম মীমের কাছে ডাকাতরা তার গয়না চেয়েছে কিন্তু দিতে না পারায় ওকে মারধর করেছে। মেজ ভাই সিরাজুলের গর্ভবতী স্ত্রীকেও মেরেছে ডাকাতরা। পরে অস্ত্রের মুখে সবার কাছে থাকা স্বর্ণের চেন, কানের দুল ও আংটি মিলে প্রায় এক ভরির স্বর্ণালংকার, ৮টি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ ও ঘরে থাকা নগদ ১৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। ডাকাতের তান্ডবে বৃদ্ধ বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনার পর ভোরে ও সকালে দুই দফা দৌলতপুর থানা পুলিশ পরিদর্শন করেছে।
কেএমপির দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, বীর মুকিযোদ্ধার বাড়িতে দস্যুতার ঘটনা ঘটেছে। তার দুই ছেলে পুলিশে চাকরী করেন। দস্যুরা এক ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ১৫ হাজার টাকাসহ প্রায় এক লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।