ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এর প্রভাবে দুই কোটি টাকার শুটকী নষ্ট

প্রকাশিত: ১৩:২১, ৭ ডিসেম্বর ২০২১

ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এর প্রভাবে দুই কোটি টাকার শুটকী নষ্ট

সটাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এর প্রভাবে গত তিন দিনের লাগাতার বৃষ্টির সাথে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে বাগেরহাটসহ গোটা সমুদ্র উপকূলে। বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে সুন্দরবনের চারটি চরের প্রায় দুই কোটি টাকার শুটকী। মৌসুমের শুরুতে এ ক্ষতি হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জেলে ও শুটকী ব্যবসায়ীরা। এ বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ক্ষতির পরিমান আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন। সুন্দরবনের আলোরকোল, মাঝের চর, নারকেল বাড়িয়া ও শেওলার চর এলাকায় প্রায় ১৫ হাজার জেলে শুটকী আহরণ করছেন। বৃষ্টি ও বৈরি আবহাওয়ায় গেল ৩ দিন ধরে সাগর উত্তাল থাকায় জেলেরা মাছ ধরতে পারছেন না। পাশাপাশি টানা বৃষ্টির ফলে শুটকী পল্লীতে জেলে ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন জনকণ্ঠকে বলেন, প্রায় এক হাজার মহাজনের অধীনে প্রায় ১৫ হাজার জেলে শুটকী পল্লীতে যুক্ত আছেন। তাঁর ভাষায়, এ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা দুষ্কর।” জেলেপল্লী দুবলা ফরেষ্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রহলাদ চন্দ্র রায় মুঠোফোনে জানান, জলোচ্ছাসে দুবলার আলোরকোল, মাঝেরকেল্লা, নারিকেলবাড়ীয়া ও শ্যালারচর তিনফুটের বেশী পানির নীচে ডুবে যায় । ফলে জেলেদের বিপুল পরিমাণ শুঁটকি মাছ সাগরে ভেসে যায় এবং অনেক মাছ ভিজে নষ্ট হয়েছে। প্রাথমিক হিসেবে জেলেদের দুইকোটি টাকার বেশী ক্ষতি হয়েছে বলে জানাগেছে। সাগর উত্তাল থাকায় অনেক ফিশিংবোট ও জেলে নৌকা সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে বলে তিনি জানান। সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, বৃষ্টিতে সুন্দরবনের বিভিন্ন চরে রবিবার থেকে তিনফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্য প্রাণি ও গাছগাছালির ক্ষতি না হলেও শুটকী পল্লীর বেশ ক্ষতি হয়েছে। জেলেদের তথ্য অনুযায়ী টানা বর্ষণে প্রায় দুই কোটি টাকার শুটকীর ক্ষতি হয়েছে চর গুলোতে। এর ফলে রাজস্ব কমে আসবে শুটকী পল্লী থেকে। তবে মৌসুমের বাকি সময়গুলো আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন জেলেরা।
×