ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আজ নালিতাবাড়ী পাক হানাদার মুক্ত দিবস

প্রকাশিত: ১১:১৭, ৭ ডিসেম্বর ২০২১

আজ নালিতাবাড়ী পাক হানাদার মুক্ত দিবস

সংবাদদাতা, নালিতাবাড়ী, শেরপুর ॥ আজ ৭ ডিসেম্বর শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা পাক হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের জীবনকে বাজী রেখে পাকহানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে নালিতাবাড়ীকে দখল মুক্ত করেন। জানা গেছে, শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী গুরুত্বপুর্ণ পাহাড়ি জনপদ নালিতাবাড়ীতে দুইদিন দুইরাত সরাসরি যুদ্ধের পর মুক্তির এই দিনটি এলাকার মানুষের স্মৃতিতে ভাস্বর হয়ে আছে আজও। এদিন পাকহানাদার বাহিনী বর্তমান উপজেলা পরিষদ, রামচন্দ্রকুড়া ফরেষ্ট অফিস, হাতিপাগার বিডিআর ক্যাম্প, তিনআনী ও আহাম্মদ নগরে শক্তিশালী ক্যাম্প স্থাপন করে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে। মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসীরা জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দীর্ঘ ৯ মাসে উপজেলার বিভিন্নস্থানে পাক হানাদার বাহিনী নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। এতে নারী পুরুষসহ অসংখ্য মানুষ দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ হারান। টানা দুইদিন দুইরাত গুলিবর্ষনের পর ৬ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনীর জঙ্গী বিমান দিয়ে বোম্বিং করার পরিকল্পনা করে। এতে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথা চিন্তা করে সে পরিকল্পনা বাদ দেওয়া হয়। এদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের গোলাবারুদ ফুরিয়ে যাওয়ায় তারা আক্রমন শিথিল করে দেয়। এসময় উপজেলা সদরের ক্যাম্পের আলবদর, রাজাকাররা পালিয়ে যায়। সারারাত আর কোন সাড়া শব্দ নেই। আতংকগ্রস্ত এলাকাবাসী অপেক্ষা করতে থাকেন কখন ভোর হবে। অবশেষে ৭ ডিসেম্বর পূর্বদিগন্তে সূর্যের লাল আভা ছড়িয়ে পড়লে মুক্তিযোদ্ধারা ‘জয়বাংলা-জয়বাংলা’ স্লোগানে মুখরিত করতে করতে এলাকায় ঢুকতে থাকে। ক্রমেই স্লোগানের আওয়াজ স্পষ্ট হয়। কেটে যায় শংকা। মুক্তিযোদ্ধাদের কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে মুক্তির উল্লাসে মেতে উঠে সর্বস্তরের মানুষ। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীরা এগিয়ে যায় সামনের দিকে। পিছু হটে হানাদার বাহিনী। শত্রুমুক্ত হয় নালিতাবাড়ী। উড়তে থাকে লাল সবুজের পতাকা। স্বাধীন হয় সোনার বাংলাদেশ। এদিকে দিবসটি পালন উপলক্ষে নানা কর্মসুচী গ্রহণ করা হয়েছে।
×