ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ২১:২৮, ৭ ডিসেম্বর ২০২১

ঢাকার দিনরাত

অগ্রহায়ণ মাসে বৃষ্টি হবে না এমন কোন কথা নেই। তবে নিম্নচাপের কারণে যে কোন দিনই, এমনকি খটখটে জ্যৈষ্ঠ মাসেও বৃষ্টি হতে পারে। যা হোক, রবিবার সারাটা দিনই ঢাকা কম-বেশি ভিজেছে। এমনিতেই ডিসেম্বরের মৃদু শীত রয়েছে। তার ওপর এই বৃষ্টি। যাদের ঘর ছেড়ে বেরুনো লাগে না তাদের জন্য চমৎকার দিন। আর যাদের সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে মহাযানজটে নাকাল হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে ঘরের বাইরে বেরুতেই হয়েছে তারা বৃষ্টিকে বিরক্তিকর ঘটনা হিসেবেই দেখতে পারেন। সতর্ক নাগরিকেরা স্মার্টফোনে এ্যাপ থেকে আগেভাগেই জেনে নিতে পারেন ঢাকায় কখন কত ভাগ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই তারা ছাতা বহন করতেই পারেন। বাদবাকিরা, যাদের সংখ্যাই বেশি, তারা বিলক্ষণ বৃষ্টিতে ভিজতে বাধ্য হবেন। এদের সংখ্যা লাখের নিচে নয় সেটি চোখ বুজে বলে দেয়া যায়। সে যাক, বৃষ্টি অবশ্য একদিক দিয়ে হয়ত টাইগারদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। বৃষ্টির বিঘœতা ঘটায় পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সঙ্গে টেস্ট ম্যাচটি দ্বিতীয় দিন মাঠে গড়াতেই পারেনি। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ লিড নিলে দর্শকরা নড়েচড়ে বসেছিলেন। টাইগাররা ঘুরে দাঁড়াতে পারে এমনটাই ছিল প্রত্যাশা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানই জিতেছিল ম্যাচ। তাই বৃষ্টিকে অনেক ক্রিকেটপ্রেমী আশীর্বাদ হিসেবেই দেখছেন। সড়ক নৈরাজ্য সড়ক নৈরাজ্য দূর করা, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা- এই দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীসহ সড়কে দায়িত্ব পালনরত ট্রাফিক, প্রশাসন এবং সংযুক্ত সব সদস্যের। আর ভুক্তভোগী হলো পাবলিক, দেশের সব শ্রেণী-পেশার মানুষ। ইলিয়াস কাঞ্চন পরিচালিত সংগঠন ‘নিরাপদ সড়ক চাই ছাড়া’ এ নিয়ে আন্দোলন করে কেবল ছাত্রছাত্রীরাই। কেন? কারণ তারা তারুণ্যের প্রতীক। তারাই দেশের সতেজ শক্তি। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিল কারা? ওই শিক্ষার্থীরাই। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের সব গণতান্ত্রিক ও ন্যায্য আন্দোলনে অন্যতম প্রধান ভূমিকা রেখেছে শিক্ষার্থীরাই। আজকের রাজনীতিবিদরাও একসময়ে শিক্ষার্থীই ছিলেন। তারা নিজের অতীতের দিকে তাকালেই বুঝে যাবেন কথাগুলো সত্যি নাকি মিথ্যা। সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও সারা দেশে গণপরিবহনে অর্ধেক ভাড়ার (হাফ পাস) শর্তহীন প্রজ্ঞাপন জারি করাসহ ৯ দফা দাবিতে রবিবার শাহবাগে ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ডাকা প্রতীকী লাশের মিছিল কর্মসূচী পুলিশের ‘সতর্কতার ঘেরাটোপে’ সম্পন্ন হয়েছে। এ কর্মসূচিতে ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। অন্যদিকে কর্মসূচী শুরু হওয়ার আগে থেকে প্রায় শেষ পর্যন্ত শাহবাগ এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল। মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে গিয়ে মিনিট দুয়েক অবস্থান করলে পুলিশ সদস্যরা পুরো মিছিলটিকে ঘিরে রাখেন। পরে মিছিলটি টিএসসি এলাকার দিকে যাত্রা করে। এ সময় শাহবাগ পুলিশ বক্সের সামনে মিছিলের ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গেলে সাংবাদিকদেরও ধাক্কা দেন কর্তব্যরত অতিরিক্ত উপকমিশনার। পরে মিছিল নিয়ে টিএসসি এলাকায় যান শিক্ষার্থীরা। মিছিলে ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘শ্রমিক-ছাত্র ভাই ভাই, নিরাপদ সড়ক চাই’, ‘জাস্টিস, জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘আইন করে হাফ পাস, দিতে হবে দিয়ে দাও’ প্রভৃতি বলে সেøাগান দেয়া হয়। নিরাপদ সড়কের আন্দোলনকে দেশের কল্যাণের জন্য একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবেও দেখা যেতে পারে। আন্দোলন যদি নাও হতো তারপরও সড়ক সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের নিজস্ব উদ্যোগেই সড়ক নিরাপদ রাখার জন্য যা যা করণীয় তা করারই কথা ছিল। শিক্ষার্থীদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আন্দোলন নিয়ে যারা নানা কুকথা ছড়াচ্ছেন তারা আয়নায় নিজের মুখখানি দেখে নিতে পারেন। নিজ নিজ কাজ ঠিকমতো করলে শিক্ষাঙ্গন ছেড়ে শিক্ষার্থীদের সড়কে অবস্থান নিতে হতো না, এটি তারা যত তাড়াতাড়ি বুঝবেন এবং নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে সক্রিয় হবেন ততোই দেশের মঙ্গল। নারীর নাগরিক সুবিধা পাঁচ বছর আগে রাজধানীতে নারীর নাগরিক সুবিধা নিয়ে সামান্য কিছু কথা এ কলামে লিখেছিলাম। পাঁচ বছরে সেগুলোয় কি সামান্যতমও পরিবর্তন আসেনি? একটু ফিরে তাকানো যাক। লিখেছিলাম : এই শহর নারীবান্ধব নয়, এমন তথ্য জোরালো হচ্ছে। অথচ শহরের প্রায় অর্ধেক অধিবাসীই নারী। এক গবেষণায় দেখা গেছে, গণপরিবহন-ব্যবস্থা ভাল না থাকায় ৫৬ শতাংশ নারী বাড়ির বাইরে বেরোতে চান না। পাশাপাশি প্রায় এক-চতুর্থাংশ নারী বলেছেন, বাসের চালক বা সহকারী তাঁদের সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করেছেন। ‘নারী সংবেদনশীল নগর-পরিকল্পনা’ শীর্ষক একটি গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্ব নিরাপদ শহর দিবস উপলক্ষে এ্যাকশনএইড বাংলাদেশ এ গবেষণার ফল প্রকাশ করে। ২০১৬ সালের এপ্রিল-মে মাসে বিভিন্ন বয়সী ও পেশার ২০০ জন নারীর মধ্যে গবেষণাটি চালানো হয়। গবেষণাটি বলছে, এই নারীদের ৯৪ শতাংশ নানা কারণে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করে না। পুরুষ সঙ্গী ছাড়া তাঁরা একা এসব টয়লেট ব্যবহার নিরাপদ মনে করেন না। ৭২ শতাংশ নারী বলেছেন, ফুটপাথগুলো নির্মাণসামগ্রী, হকার ও দোকানদারদের দখলে। এ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির মারাত্মক একটি মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘নগরটি পুরুষতান্ত্রিক হয়ে পড়ছে।’ পাঁচ বছর পরেও নারীকণ্ঠে শুনতে হচ্ছে ‘ঢাকায় বেশিরভাগ স্থানে টয়লেট নেই। যেখানে আছে সেখানে যাওয়া এক দুঃস্বপ্নের মতো। চরম নোংরা সেই টয়লেটের কথা মনে এলে আর যেতে ইচ্ছা করে না।’ রাজধানীতে যেসব নারী কাজের তাগিদে ঘরের বাইরে বের হন, তাঁদের জন্য শৌচাগারের সুবিধা একেবারেই কম। আর এ সুবিধা না থাকায় বা নোংরা শৌচাগারে যাওয়া এড়াতে ৯০ শতাংশ নারী ঘর থেকে বের হওয়ার সময় পানি পান না করেই বের হন। নগরে শৌচাগার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠন ভূমিজ-এর এক জরিপে এ চিত্র উঠে এসেছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, পানি কম পান করা এবং শৌচাগারের অব্যবস্থাপনার জন্য নারীদের ব্যাপক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। ঢাকাকে রাজধানী বলে বড়াই করব, অথচ নাগরিক সুবিধায় অগ্রগতি সাধিত হবে না, এটি তো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। যে সমস্যা বরাবরই উপেক্ষিত ঢাকার রাস্তা এবং আবাসিক এলাকা- দুই জায়গাতেই শব্দদূষণ মারাত্মক হয়ে উঠেছে। আবার তীব্র শব্দসন্ত্রাসের বিষয়টি সামনে চলে আসছে। ঢাকার বুকে নতুন বহুতল ভবন ওঠায় কোন ছেদ পড়ছে না। প্রধান প্রধান কয়েকটি আবাসিক এলাকায় মাসের পর মাস ধরে নতুন ভবন নির্মাণের মহাযজ্ঞ চলে। এ সময় যে বিচিত্র ও বিপুল শব্দ উৎপন্ন হতে থাকে তা এলাকাবাসীর দিনের স্বস্তি রাতের শান্তি হারাম করার জন্য যথেষ্ট। আর রাজপথের বিষয়টি আরও অসহ্য। বেশিরভাগ গাড়ির চালকই সামান্য প্রয়োজনে হর্ন বাজানোর ব্যাপারে থাকেন অকৃপণ। হর্নের শব্দ অতিউচ্চ। শব্দ দূষণের এই প্রতিযোগিতায় মোটরসাইকেলকে এগিয়ে রাখতে হবে এ কারণে যে সব হর্ন ছাপিয়ে এটির হর্নই চড়া ও প্রলম্বিত হয়ে থাকে। বিশেষ করে রাস্তার মোড়ে সিগন্যাল বাতির নির্দেশ উপেক্ষা করে তড়িঘড়ি জায়গাটা পেরুতে গিয়ে একসঙ্গে ৫-৭টি মোটরসাইকেল যখন একযোগে হর্ন বাজাতে শুরু করে। আশঙ্কা হয় শব্দের তীব্রতায় কানের পর্দা ফেটে যাবে না তো! কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, মোটরসাইকেলগুলো বেঁধে দেয়া শব্দমাত্রায় হর্ন বাজাচ্ছে কিনা এ বিষয়ে একটু অনুসন্ধান করুন। এক ঘণ্টাতেই পরিস্থিতি বুঝে যাবেন। এরপর একটা কড়া অভিযান চালিয়ে মাত্র একশ’ চালককে জরিমানা করলেই মোটরসাইকেলঅলাদের খবর হয়ে যাবে। আর হ্যাঁ, এই সঙ্গে ফুটপাথের ওপর মোটরসাইকেল উঠিয়ে দেয়ার জন্যও জরিমানার ব্যবস্থা রাখা জরুরী হয়ে উঠেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বে প্রতি পাঁচজনে একজন কানে কম শোনেন। যাঁরা কানে কম শুনছেন, তাঁদের ৮০ শতাংশ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে বাস করেন। এই সচেতনতার জন্য বিভিন্ন দেশ বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে। আমাদেরও তেমন উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া রোধে বৈশ্বিকভাবে আলোচনা হচ্ছে এবং বিশ্বব্যাপী উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। নীতি প্রয়োগ ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে আমাদের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঢাকার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার সৈয়দ মাহফুজুল হক জানাচ্ছেন : হর্নের জন্য আমাদের ধৈর্য কমে যাচ্ছে। হর্নের অন্যতম প্রধান কারণ হলো যানজট। যানজট নিয়ন্ত্রণ করলে হর্ন দেয়ার প্রবণতা কমবে। অকারণে হর্ন বাজানো প্রাপ্তবয়স্কদের কানে কম শোনার বড় কারণ। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন শব্দদূষণ থেকে বাঁচতে পারে, তার জন্য কাজ করতে হবে। অকারণে হর্ন বাজানো বন্ধে নীতিমালা বাস্তবায়ন ও জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। নিয়মিত শ্রবণশক্তি পরীক্ষা করতে হবে। আশা করি বাংলাদেশ শব্দ দূষণমুক্ত জাতি হিসেবে ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। যবধৎডঐঙ নামে মোবাইলে ব্যবহারের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করেছে। জনসাধারণ এর মাধ্যমে বিনা মূল্যে নিজেরাই কানে শোনার মাত্রা পরীক্ষা করতে পারবে। ঠিকভাবে শুনতে কোন সমস্যা হলে চিকিৎসক দিয়ে কানের পরীক্ষা করার উদ্যোগ নিতে পারবেন। এটা তাঁদের জন্য বেশি প্রযোজ্য যাঁরা কানে শোনার ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন। শহর বাড়ছে ভার-চাপও বাড়ছে দেশের শহুরে জনসংখ্যার ৩২ শতাংশের বসবাস রাজধানী ঢাকায়। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সিংহভাগও ঢাকাকেন্দ্রিক। তাই দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের ৪৬ শতাংশ ঢাকায় ব্যবহৃত হয়। ঢাকা নগরের যে আয়তন ও জনসংখ্যা, তা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের চেয়ে অন্তত ৫০ শতাংশ বেশি। এই পরিস্থিতি উন্নয়ন সহায়ক নয়। এতে দেশের জিডিপির ৬-১০ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতি হচ্ছে। তাই নীতি প্রণেতাদের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া উচিত। বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের হোটেল লেকশোরে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের এক অধিবেশনে এসব কথা বলেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) পরিচালক আহমাদ আহসান। আহমাদ আহসান তাঁর প্রবন্ধে বলেন, ঢাকায় দেশের শহুরে জনসংখ্যার ৩১ দশমিক ৯ শতাংশের বসবাস। সেখানে চীনের বড় শহরগুলোতে এ হার ৩ দশমিক ১ শতাংশ। ভারতে ৬ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৭ দশমিক ৪। শহরে লোক বাড়ছে। শহরও বাড়ানো হচ্ছে, মানে সম্প্রসারিত হয়ে চলেছে। ফলে মানুষের চাপে বিপর্যস্ত অবস্থা। সবখানেই তাই জনজট। এটি সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ নয়। ব্রাত্য রাইসুর কবিতাসন্ধ্যা রবিবার বর্ষণমুখর সন্ধ্যায় বিশ^সাহিত্য কেন্দ্রের বাতিঘরে সময়ের আলোচিত কবি ব্রাত্য রাইসুর একক কবিতাসন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। বিশেষত্ব হলো কবির উপস্থিতিতে তাঁর কবিতা আবৃত্তি করেছেন কবির বন্ধু লেখক-অধ্যাপক মানস চৌধুরী। ‘আকাশে কালিদাসের লগে মেগ দেখতেছি’ ও ‘হালিকের দিন’ বই থেকে এবং আরও কিছু অগ্রন্থিত কবিতা (২০১২-২০২১) আবৃত্তি করেন মানস। অনুষ্ঠানের এক দর্শক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, ‘রাইসুর কবিতা, মানসের আবৃত্তিÑ এই যুগলবন্দী অবশ্যই বিশেষ কিছু হবে, এই ধারণায় এই মেহফিল মিস করতে চাই নাই। বৃষ্টি ও জ্যাম পাড়ি দিয়ে যাওয়া সার্থক হয়েছে। আবৃত্তি শুনে অডিয়েন্স ডুবে গেছে, প্রায়ই তাই কবিতা শেষে হাততালি দেয়ার ‘রেওয়াজ’ ভুলে গেছে। মানস ও রাইসুর বন্ধুত্ব অনেক দিনের। বোঝাপড়া ভাল হবে, আমার এই অনুমান মিথ্যা হয় নাই।’ ০৬ ডিসেম্বর ২০২১ [email protected]
×