নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, পটুয়াখালী ॥ বাউফলে আমন ধানের ক্ষেতে সানালী রং আসতেই শীষ কাটা লেদা পোকা আর ফলস স্মার্ট রোগের অক্রমন দেখা দিয়েছে। এতে কৃষক হয়ে পড়ছেন দিশেহারা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ৩৪ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে।
এরমধ্যে বি আর- ১১, বি আর- ২২, বি আর- ২৩, বি আর- ২৫, ব্রি ধান- ৩০, ব্রি ধান- ৩৪, ব্রি ধান- ৩২, ব্রি ধান- ৪০, ব্রি ধান- ৪১, ব্রি ধান- ৫১, ব্রি ধান- ৫২, ব্রি ধান- ৫৪, ব্রি ধান- ৭২, বাম্বু ইরি, বিণা- ৭, বিণা- ১১, বিণা-২০, বিণা- ১৭, টেপু ও স্বর্ণা মিলে উচ্চ ফলনশীল জাতের ১৭ হাজার ১১৩ হেক্টর এবং কাজল শাইল, শাইল গিরমী, সাদা চিকন, লাল চিকন, রাজা শাইল, মোথামোটা, লাল মোটা, কুটি অগ্রাণী, কালজিরা, কালাকোরা, স্বাক্ষরখোরা, চিনিগুড়া ও গন্ধ কস্তরী মিলে স্থানীয় জাতের আছে ১৭ হাজার ৫৪৩ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে । এছাড়াও ১৪ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। বীজতলা তৈরী থেকে এবার তুলনামূলক অনুকুল আবহাওয়া বিরাজ করায় বাউফলের চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন আমন ধানে চোখ জুড়ানো সোনালী-হলুদাভাব এসেছে। আর মাত্র কয়েক দিন পরেই ক্ষেতে ধান কাটার ধুম পড়বে । কিন্তু এই মুহুর্তে শীষকাটা লেদা পোকা আর ফলস স্মার্ট রোগের আক্রমনে দিশেহারা হয়ে পরেছেন অনেক কৃষক।
নাজিরপুর ইউনিয়নের সুলতানাবাদ গ্রামের ইউনুচ মৃধা, মাহবুব দেওয়ান, হারুন দেওয়ান, সেরাজ মাতবর, ধানদী গ্রামের আবদুর রহিম, শাহজাহান মাতবর, ভরিপাশা গ্রামের আলমগীর গাজীসহ অনেক কৃষক জানান, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ও বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে আমন ধান পাকার এই মুহুর্তে শীষকাটা লেদা পোকা আর ফলস স্মার্ট রোগের আক্রমন দেখা দিয়েছে। তাই এই মুহুর্তে গাছের গোড়ার দিকে লুকানো লেদা পোকা ধানের শীষ কেটে সর্বনাশ করছে। দিনের বেলায় পোকা গাছের গোড়ায় লুকিয়ে থাকে আর রাতে শীষ কাটে। ধান খায় না। তবে শীষ ও শীষের কানা কেটে ধান ঝড়িয়ে বিনস্ট করছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘চন্দ্রদ্বীপ, ধুলিয়া, নাজিরপুর এলাকায় লেদা পোকার আক্রমনের কথা জানা গেলেও তা আগের বছরের মতো বড় ধরণের কোন সমস্যা সৃষ্টি করবে না। কৃষকের ক্ষেতের ৮০ শতাংশ ধান পেকে গেছে। পাকা ধান কেটে নেয়াসহ আমরা সার্বক্ষনিক নজর রেখে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি। ফলস স্মার্ট সম্পর্কে কৃষকদের ভ্রান্ত ধারণা আর প্রতিকারে বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।’