ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইবি ক্যাম্পাসজুড়ে আবর্জনা-আগাছা, ভবনের দেওয়ালজুড়ে বটগাছ

প্রকাশিত: ১৩:২৩, ৬ ডিসেম্বর ২০২১

ইবি ক্যাম্পাসজুড়ে আবর্জনা-আগাছা, ভবনের দেওয়ালজুড়ে বটগাছ

ইবি সংবাদদাতা ॥ ইসলামী বিশ্বাবিদ্যালয়ের (ইবি) একাডেমিক ভবন, আবাসিক হলসহ ভবনগুলোতে জন্মেছে বিভিন্ন ধরণের আগাছা। একাধিক ভবনে বটগাছও লক্ষ্য করা গেছে। এতে করে ভবনগুলোর দেওয়ালে ফাটল ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে বড় ধরণের ভূমিকম্প হলে দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বিভিন্ন ভবন ও আবাসিক এলাকাগুলোতে আবর্জনা ও ঝোঁপঝাড় বেড়ে ময়লার ভাগারে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন, রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবন, মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবন, ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ ভবন, ব্যবসায় প্রশাসন ভবন, সাদ্দাম হোসেন হল, টিএসসিসি, কেন্দ্রীয় মসজিদ ও আবাসিক এলাকাগুলোসহ বিভিন্ন ভবনের দেওয়ালজুড়ে শ্যাওলা ধরেছে এবং বিভিন্ন আগাছা জন্মেছে। এছাড়া অনুষদ ভবন, ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ, মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনসহ কয়েকটি ভবনের দেওয়ালে বটগাছ জন্মেছে। দীর্ঘদিন থেকে বেড়ে ওঠা এসব আগাছা বেড়ে ওঠার কারণে বিভিন্ন ভবনের দেয়ালগুলোতে ফাঁটল ধরেছে। ফলে ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে ভবনগগুলো। এদিকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন হল, ভবন ও আবাসিক এলাকাগুলো আগাছা ও আবর্জনায় ভরে উঠেছে। সৌন্দর্য্য বর্ধনকারী লেকটিও পরিপূর্ণ কচুরিপানায়। যার ফলে অতিথি পাখিরাও লেক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়া বিভিন্ন একালায় আবর্জনায় স্তূপ জমে আছে। বিভিন্ন বিভাগের ল্যাবে ব্যবহৃত জিনিসপত্রও বিজ্ঞান ভবনের সামনে ফেলে রাখা হয়েছে। ক্যাম্পাসে যথেষ্ট ডাস্টবিন না থাকা ও সময়মতো ডাস্টবিনগুলো পরিষ্কার না করায় ময়লা উপচে পড়ছে। এসব পরিষ্কারে অভিযোগ করেও কর্তৃপক্ষের নজর নেই বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। ফলে দিন দিন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিণত হয়ে উঠছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। দীর্ঘদিন ধরে এসব ময়লার স্তূপ, ক্যাম্পাস ও হলের আশপাশের ঝোঁপঝাড়, জঙ্গল, ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। ফলে বাড়ছে ডেঙ্গুসহ নানাবিধ মশাবাহিত রোগের আশঙ্কা। এ বিষয়ে স্টেট অফিসের প্রধান টিপু সুলতান বলেন, ‘অপরিষ্কার জায়গাগুলো সম্পর্কে জানলাম। দ্রুত পরিষ্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখতে সকলের সচেতনতা জরুরি।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী শহীদ উদ্দীন মো. তারেক বলেন, ‘লোকবল সংকটের কারণে কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। ভবনগুলোর সমস্যা নিয়ে জরিপ করেছি। আগাছাগুলো কাটার জন্য আমরা ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছি।’
×