ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের পেসারদের দুর্বলতা জানালেন কোচ বাবুল

প্রকাশিত: ০০:০৮, ৬ ডিসেম্বর ২০২১

দেশের পেসারদের দুর্বলতা জানালেন কোচ বাবুল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মিরপুর টেস্টের প্রথম দিন উইকেট খটখটে শুকনো দেখে ব্যাটিং সহায়কই মনে হয়েছে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের। তাই টস জিতেই ব্যাট হাতে নিয়েছেন। তবে টেস্ট ম্যাচের প্রতিদিনের প্রথম সেশন সাধারণত সবখানেই পেসারদের কিছুটা সহায়তা দিয়ে থাকে। সকালের ভেজা আবহাওয়ায় আর্দ্র উইকেটের সদ্ব্যবহার করতে পারলে সাফল্যও পান পেসাররা। সেই কাজটি চট্টগ্রাম টেস্টে দারুণ সফলতার সঙ্গে করেছেন পাকিস্তানী পেসাররা। পারেননি বাংলাদেশী পেসাররা। মিরপুর টেস্টের প্রথম দিন থেকেই বৃষ্টি আর মেঘে ঢাকা আকাশ। এমন পরিবেশ পেসারদের জন্য আদর্শ। কিন্তু, বাংলাদেশের দুই পেসার এবাদত হোসেন ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ কোন সাফল্য আনতে পারেননি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট উন্নয়ন কার্যক্রমের কোচ ও বর্তমানে জাতীয় দলের অন্তর্বর্তীকালীন ফিল্ডিং কোচ মিজানুর রহমান বাবুল মূল্যায়ন করেছেন এই সিরিজে পেসারদের পারফর্মেন্স। এমনকি দশের মধ্যে নাম্বার দিয়েছেন ৫-৬। চট্টগ্রাম টেস্ট খেলেছেন পেসার এবাদত ও আবু জায়েদ রাহী। শুধু এবাদত ২ উইকেট পান। আর পাক ৩ পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি, হাসান আলী ও ফাহিম আশরাফের দখলে ১৬ উইকেট। সেখানেই পার্থক্যটা পরিষ্কার। বাংলাদেশী পেসারদের মূল্যায়নে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাবুল বলেন,‘ওইভাবে যদি মূল্যায়ন করি, ভাল না আসলে। বলব যে ভাল বোলিং করা হয়নি। দু’জন পেসার খেলিয়েছি, আবহাওয়াও আমাদের অনুকূলে ছিল। কিন্তু ওই অনুযায়ী আমরা পারফর্ম করিনি, এটাই বাস্তবতা।’ মিরপুর টেস্টে ২ দিনই ছিল বৃষ্টি, এর দাপটে মাত্র ৬৩.২ ওভার খেলা হয়েছে। দুই পেসার এবাদত-খালেদ বোলিং করেছেন ১৯.২ ওভার। বৃষ্টি স্নাত ভেজা পরিবেশ ও আর্দ্র উইকেটের সুফল তুলে নিতে পারেননি তারা। পেসারদের কত নাম্বার দেবেন ঘরোয়া ক্রিকেটে পেস বোলিং কোচ বাবুল? তিনি বলেন, ‘আমাদের স্পিনাররা পেসারদের চেয়ে এগিয়ে থাকে উইকেটের জন্য, কন্ডিশনের জন্য। অন্যান্য দেশের সঙ্গে যদি আমাদের পেসারদের তুলনা করেন তাহলে ১০ এর মধ্যে হয়তো ৫-৬ দেব।’ এত কম নাম্বার দেয়ার পেছনে কারণ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বাবুল বললেন, ‘যদি পাকিস্তানের পেসারদের সঙ্গে তুলনা করি, বলতে পারি ওদের পেসাররাই আমাদের ওপরে নিয়ন্ত্রণ করেছে, শুরুর দিকেই উইকেট নিচ্ছে। আমাদের পেসারদের ক্ষেত্রে হয়তো উইকেট নিতে গিয়ে জায়গাগুলো নড়ে যাচ্ছে।’ টেস্ট ম্যাচে পেসারদের ভাল করার অন্যতম উপায় হচ্ছে ধৈর্য নিয়ে ধারাবাহিকভাবে ঠিক লেংন্থে বল করে যাওয়া। কিন্তু সেখানেও ঘাটতি আছে বাংলাদেশী বোলারদের। বাবুল বলেন,‘টেস্ট ম্যাচ ধৈর্যের খেলা। ব্যাটিংয়ের মত বোলিংয়েও ধৈর্য থাকতে হয়। যখন ছেলেরা উইকেট না পায় তখন যদি এটা নাড়াচাড়া করে, তবে যাদের অন্য কর্মক্ষম যারা আছে তারা হয়ত কিছু করতে পারে।’ তবে এরপর নিউজিল্যান্ডে গিয়ে পেস আক্রমণে কিছুটা সুফল আসার সম্ভাবনা দেখছেন বাবুল। এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে গতিময় বোলার তাসকিন আহমেদও থাকবেন। বাবুল বলেন, ‘আমরা সবাই জানি যে নিউজিল্যান্ডে পেসবান্ধব উইকেট থাকে। আর আমাদের সঙ্গে সেরা পেস বোলিং ইউনিটটাই যাচ্ছে তারা এখন নিয়মিত পারফর্ম করছে, জোরে করতে পারে। তাসকিন যাচ্ছে, এবাদত, শহিদুল, শরিফুল আছে। তাসকিন আমাদের সবচেয়ে জোরে বল করে বা ওর খেলার অভিজ্ঞতা বেশি। ও যদি বাড়তি কিছু অসাধারণ বোলিং করতে পারে বা বাড়তি কোন দায়িত্ব তাকে দেয়া হয় যে প্রথমদিকেই উইকেট নেয়ার, অন্যরা যদি বোলিংয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারে ওইখানে আমরা সফল হতে পারি।’
×