ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কষ্টার্জিত জয়ে শেষ আটে বসুন্ধরা কিংস

প্রকাশিত: ০০:৫৩, ৫ ডিসেম্বর ২০২১

কষ্টার্জিত জয়ে শেষ আটে বসুন্ধরা কিংস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রথম ম্যাচে হাফ ডজন গোল করে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল দলটি। দ্বিতীয় ম্যাচেও জিতল দলটি। কিন্তু গোল করল মাত্র একটি। ফলে কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে খেলা উপভোগ করতে আসা দলটির সমর্থকদের ঠিকমতো মন ভরেনি। তবে তাতে কোন ক্ষতি হয়নি বসুন্ধরা কিংসের। কেননা কষ্টার্জিত এই জয়েও তারা স্বাধীনতা কাপ ফুটবলে সবার আগে কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লেখাল। শনিবার ডি-গ্রুপের এই ম্যাচে এই আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাবকে হারায় ১-০ গোলে। ম্যাচের ১৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে বিজয়ী দলের রবসন রবিনহো জয়সূচক গোলটি করেন। ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ডি-গ্রুপের শীর্ষস্থানটি ধরে রেখেছে ‘দ্য কিংস’ খ্যাত বসুন্ধরা। সমান ম্যাচে ১ পয়েন্ট পুলিশের। তাদের শেষ আটে যাবার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। টুর্নামেন্টে নৌবাহিনীর বিপক্ষে ৬-০ গোলের বড় জয়ে শুরু করে কিংস। দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়ের লক্ষ্য নিয়েই খেলতে নামে অস্কার ব্রুজোনের শিষ্যরা। তবে শনিবার প্রথার্ধের শুরুর দিকটা কিংসের সঙ্গে দারুণ লড়াই করে পুলিশ। ৬ মিনিটে কিংসের ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফার্নান্দেজের নিচু কর্নার কিক বক্সে পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি তারিক কাজী। পরের মিনিটে আবারো ফার্নান্দেজের কর্নার সরাসরি গ্রিপে নেন পুলিশের গোলরক্ষক নেহাল। ১৪ মিনিটে পুলিশের আফগান ফরোয়ার্ড আমীর উদ্দিন শরীফি বল নিয়ে বক্সে ঢুকে গেলেও দারুণ দক্ষতায় বিপন্মুক্ত করেন মিডফিল্ডার মাসুক মিয়া জনি। ১৬ মিনিটে ম্যাচে লিড নেয় কিংস। পুলিশের ডিফেন্ডার ঈসা ফয়সাল নিজেদের বক্সে ফাউল করে ফেলে দেন বল নিয়ে ঢুকে পড়া ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার জোনাথন ফার্নান্দেজকে। রেফারি সাগর পেনাল্টির বাঁশি বাজান। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবসন রবিনহো গোল করতে কোন ভুল করেননি (১-০)। ২৬ মিনিটে ইনজুরিতে পড়া কিংস সেন্টারব্যাক তারিক কাজীকে তুলে নিয়ে মাঠে নামানো হয় ফরোয়ার্ড রিমন হোসেনকে। তারিকের পজিশনে চলে যান বিশ^নাথ ঘোষ। ৩১ মিনিটে বক্সের বা প্রান্ত থেকে রাজুর বা পায়ের শট কিংসের রক্ষণে বাধা পেয়ে ফিরে আসলে হেড নেন ম্যাথুস বাবলু। কিন্তু এবারও পরাস্ত করা যায়নি জিকোকে। ইনজুরি টাইমে অফসাইডের ফাঁদে পড়ে প্রথমবার কিংসের জালে বল পাঠিয়েও গোল পাননি ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানিলো। ৪৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে জোনাথনের ক্রসে দারুণ হেড করেন বসনিয়ান মিডফিল্ডার স্টোয়ান ভ্রানিজেস। কিন্তু বল ফিস্ট করে দলকে বিপন্মুক্ত করেন নেহাল। ৭৩ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে শরীফির বাড়িয়ে দেয়া বল পেয়ে পোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন আদিল কুসকুস। বল বারে লাগলে হাত দিয়ে সরিয়ে দেন জিকো। ৮৯ মিনিটে বক্সের খুব কাছেই ফ্রি কিক পায় বসুন্ধরা। এ সময় বক্সে দাঁড়ানো নিয়ে দু’দলের ফুটবলারদের মধ্যে বাগবিত-া হয়। হলুদ কার্ড দেখেন ইব্রাহিম। রেফারি খেলা শেষের বাঁশি বাজালে শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয়েই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয় বসুন্ধরার।
×