ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সিঙ্গাপুরের গবেষণা

অতটা গুরুতর নয় ওমিক্রন

প্রকাশিত: ২৩:২৯, ৫ ডিসেম্বর ২০২১

অতটা গুরুতর নয় ওমিক্রন

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ করোনার অন্যান্য ধরনের চেয়ে ওমিক্রন অতটা গুরুতর নয় বলে সিঙ্গাপুরের এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে। শুক্রবার সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়। তবে এ বিষয়ক আরও তথ্য প্রয়োজন বলে মনে করছে দেশটি। সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদ চ্যানেল নিউজ এশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওমিক্রন ধরনে সংক্রমিত আরও দুজন সিঙ্গাপুর হয়ে মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ করেছে। শুক্রবার সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ওমিক্রন ধরনটি ডেল্টার চেয়ে বেশি সংক্রামক। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তার শুরু“ করবে। এটি সিঙ্গাপুরে ছড়িয়ে পড়া এখন সময়ের ব্যাপার। বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্ত, ২৬ কোটি ৫৩ লাখ ২০ হাজার ৮৬৪ জন। মৃত্যু ৫২ লাখ ৬১ হাজার ২২৯জন। সুস্থ হয়েছে, ২৩ কোটি ৯১ লাখ ৩৯ হাজার ৩৬৬জন। খবর আলজাজিরা, বিবিসি ও ওয়াল্ডোমিটার্সের। ওমিক্রন সম্ভবত সাধারণ ঠাণ্ডার জন্য দায়ী অন্য একটি ভাইরাসের জেনেটিক উপাদানের অংশকে সঙ্গে নিয়ে অন্তত একবার নিজের জিন বিন্যাসের পরিবর্তন ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছেন অপর একদল গবেষক। কোন দেহের আক্রান্ত কোষে দুটি ভাইরাসের সংমিশ্রণের ফলে এটা হতে পারে, বলছেন তারা। গবেষকদের ভাষ্য, ওমিক্রনের যে জেনেটিক বিন্যাস, তা করোনাভাইরাস নামে পরিচিতি সার্স-সিওভি-২-এর আগের সংস্করণগুলোতে দেখা যায়নি; কিন্তু এই বৈশিষ্ট্য অন্য অনেক ভাইরাসেই দেখা যায়, যেসব ভাইরাসের কারণে সাধারণ ঠাণ্ডা জ্বর দেখা যায়। সুনির্দিষ্ট এই জেনেটিক উপাদান নিজের মধ্যে ঢুকিয়ে ওমিক্রন সম্ভবত নিজেকে আরও বেশি মানুষের উপযোগী করে গড়ে তুলেছে, যা তাকে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ফাঁকি দিতেও সাহায্য করছে, বলেছেন কেমব্রিজ, ম্যাসাচুসেটসভিত্তিক ডাটা এ্যানালেটিক্স ফার্মের গবেষক ভেঙ্কি সৌনদরারাজন। তিনি বৃহস্পতিবার প্রকাশিত গবেষণার নেতৃত্ব দেন। জিন বিন্যাসে সাধারণ ঠাণ্ডার ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য থাকার ফলেই হয়তো ওমিক্রন মৃদু উপসর্গ বা কোন কোন ক্ষেত্রে উপসর্গ ছাড়াই সহজে ছড়াতে পারছে। এখনও মৃত্যুর রিপোর্ট পাওয়া যায়নি ॥ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শুক্রবার বলেছে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের ৩৯ দেশে শনাক্ত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। ওমিক্রন সংক্রমণে দক্ষিণ আফ্রিকায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, এই নতুন ধরন কতটা শক্তিশালী তা নিরূপণে কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে। এটি গুরুতর অসুস্থতার কারণ কিনা এবং এর বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর চিকিৎসা ও টিকা রয়েছে সেটি যাচাই করে দেখা হবে। ডব্লিউএইচও’র জরুরী পরিচালক মাইকেল রায়ান বলেছেন, ‘আমরা এর ফল পেতে যাচ্ছি, যা প্রত্যেকেরই জানা উচিত।’ ডব্লিউএইচও শুক্রবার বলেছে, এখনও ওমিক্রন সম্পর্কিত মৃত্যুর কোন রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। তবে এই নতুন ধরনের বিস্তারের বিষয়ে সতর্ক করে বলা হয়েছে আগামী কয়েক মাসে এর সংক্রমণ ইউরোপে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যার অর্ধেক ছাড়িয়ে যেতে পারে।
×