ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বিজয়ের গৌরবগাথা ॥ গণহত্যার বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া

প্রকাশিত: ২২:২৬, ৫ ডিসেম্বর ২০২১

বিজয়ের গৌরবগাথা ॥ গণহত্যার বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই দেশের সকল এলাকায় স্বতঃস্ফূর্ত অভ্যুত্থান ঘটে যায়। অভ্যুত্থানে অংশ নেয় সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক কর্মী, ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, পেশাজীবী নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষ। পাকবাহিনীর আক্রমণ ও গণহত্যা মোকাবেলার জন্য গড়ে ওঠা প্রতিরোধ প্রাথমিক পর্যায়ে ক্ষণস্থায়ী হয়। শত্রু সেনারা সংখ্যায় অনেক ও তারা ছিল অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত। মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে চলে যায়। দেশের বিভিন্ন অংশে বিচ্ছিন্ন মুক্তি সংগ্রামীদের একটি একক কমান্ডের অধীনে আনা হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বাঙালীকে নয়, সারা বিশ্বের সৃজনশীল মানুষকে টেনেছিল। নিরস্ত্র জনগণের ওপর এই হামলা ও নির্বিচারে গণহত্যা বিশ্বের সংবাদমাধ্যমগুলোকে নাড়া দেয়। ২৭ মার্চ নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, টাইম পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী লোকসভায় ভাষণদানকালে বলেন, পূর্ববঙ্গের সমগ্র জনগণ এক বাক্যে গণতান্ত্রিক কর্মপন্থা গ্রহণ করেছে। একে আমরা অভিনন্দন জানাই। ভারত সরকার পূর্ববঙ্গের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে সজাগ রয়েছে এবং যথাসময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। ভারতের লোকসভা ও রাজ্যসভায় গৃহীত প্রধানমন্ত্রী ইন্দ্রিরা গান্ধীর প্রস্তাবিত রেজুলিউশনে বলা হয়- ‘পূর্ববঙ্গে সৃষ্ট সাম্প্রতিক অবস্থায় এই হাউস গভীর ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করছে। ডিসেম্বর ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষ তাদের ইচ্ছা প্রকাশ করলেও সেটাকে সম্মান দেখানোর পরিবর্তে পাকিস্তান সরকার জনগণের ম্যান্ডেটের সঙ্গে বিদ্রƒপ করছে। তারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অস্বীকার করেছে। বিনা কারণে বাতিল করেছে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের ন্যায়সঙ্গত এবং সার্বভৌম ভূমিকা রাখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পূর্ব বাংলার জনগণের ওপর চলছে শক্তির নগ্ন ব্যবহার। বেয়নেটের খোঁচায়, মেশিনগান, ট্যাঙ্ক, কামান ও বিমান দিয়ে তাদের দমন করা হচ্ছে। এই হাউস আমাদের সীমান্তের কাছে ঘটতে থাকা কর্মকা- নিয়ে উদাসীন থাকতে পারে না। পূর্ব বাংলার জনগণের গণতান্ত্রিক জীবন সংগ্রামের সঙ্গে এই হাউস গভীর মমত্ব ও সংহতি প্রকাশ করছে। পৃথিবীর সব দেশ ও তার জনগণের কাছে এমন একটি গঠনমূলক পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করছে, যাতে তারা পাকিস্তান সরকারকে গণহত্যা বন্ধ করার ব্যাপারটি বোঝাতে সক্ষম হন। এই হাউস গভীরভাবে বিশ্বাস করে, পূর্ব বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষের গণভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক বিজয় হবে। হাউস তাদের আশ্বাস দিচ্ছে যে, তাদের সংগ্রাম ও উৎসর্গের পথে ভারতের জনগণের সহানুভূতি ও সমর্থন থাকবে।’ সন্ধ্যায় রেডিও অস্ট্রেলিয়ার বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন এবং তিনি চট্টগ্রাম রয়েছেন। বিবিসি সংবাদে আরও বলা হয়, ‘পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষের হুলিয়া সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সমর্থকরা এখনও যশোর, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা নিয়ন্ত্রণ করছে।’ অন্যদিকে রেডিও পাকিস্তান কয়েকদিন ধরেই বলে চলেছে শেখ সাহেবকে ২৬ মার্চ তাঁর বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তান নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ‘দ্য গার্ডিয়ান’, ‘দ্য টাইমস’, ‘দি ইয়োমিউরি’ ও ‘দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ’, অস্ট্রেলিয়ার ‘দ্য এজ’ পত্রিকায় বাংলাদেশের ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের নিন্দা জানিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে। এছাড়াও প্রায় সকল ব্রিটিশ পত্রিকা ব্যাপকভাবে পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্কট নিয়ে প্রতিবেদন করে। বেশিরভাগ সংবাদপত্র শেখ মুজিবুর রহমানের পূর্ব বাংলার স্বাধীনতার ঘোষণার ওপরে রিপোর্ট করে। গার্ডিয়ানের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, গত রাতে পাক হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভের সময় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন মুখপাত্র বলেছেন, বিক্ষোভের কারণ এক্সহিলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা উদ্্যাপন। এখানে পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় ১০০ ছাত্র সারারাত উৎসব পালন করে। এছাড়া ‘গার্ডিয়ান’ রিপোর্ট করে যে, বেঙ্গল স্টুডেন্টস এ্যাকশন কমিটির একটি প্রতিনিধি দল আজ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিথের কাছে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার ব্যাপারে কথা বলার জন্য সাক্ষাতের আবেদন করেছে। গার্ডিয়ান আরও জানায়, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেডক্রস জানিয়েছে যে, তারা পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। ‘টাইম ম্যাগাজিন’ এক প্রতিবেদনে লেখা হয়- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নামক দেশটির রক্তিম জন্মলগ্নে রাজনৈতিক স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো পাকিস্তানের পক্ষ নিলেও বিশ্বনন্দিত গণমাধ্যম ও নিয়োজিত সাংবাদিকরা সরব ছিলেন মানবতার পক্ষে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে। ২৫ মার্চের কালরাতে শুরু হয় অপারেশন সার্চলাইট নামের সেই ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ। হতাশ, মুষড়ে পড়া স্বদেশীদের চাঙ্গা করতেই মানুষের কানে কানে পৌঁছানো হয় সেই অমোঘ মন্ত্রটি, ‘দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে।’ ব্রিটিশ পার্লামেন্ট প্রতিদিন বাংলাদেশ বিষয় নিয়ে একটি এজেন্ডায় আলোচনা করা হয়। ব্রিটেনের বর্তমান রানী এলিজাবেথ সে সময় ব্যক্তিগত উদ্যোগে পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধুর সংবাদ জেনে তাঁকে জীবিত রাখা ও তাঁর স্বাস্থ্যোর প্রতি যতœ নেয়ার জন্য পাক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়াকে এক সতর্কবার্তা পাঠান। সিরিয়ার ‘আল-তাউরা’ পত্রিকায় এক সম্পাদকীয় নিবন্ধে বলা হয়েছে, পূর্ব বাংলায় সামরিক অভিযান শুরু হওয়ায় এ কথা প্রমাণ হচ্ছে যে, পাকিস্তানের মিলিটারি শাসকগোষ্ঠী দেশে সুষ্ঠু রাজনৈতিক অবস্থা ফিরে আসুক এটা চায়নি। তারা এটাও চায়নি যে, দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হোক রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর মাধ্যমে। ২৮ মার্চ আন্তর্জাতিকভাবে বাঙালীর স্বাধীনতা আন্দোলনের বড় ঘটনা ঘটে লন্ডনে। লন্ডনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিক্ষোভ সারাবিশ্বে পৌঁছে দেয় যুদ্ধের বার্তা। গণহত্যার বদলা নেয়ার প্রত্যয়ে বিশাল সমাবেশ ও বিক্ষোভ করে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাঙালী। এতে অংশ নেন বিদেশীরাও। লন্ডন ‘অবজারভার’ লেখেন- ঝযবরশয ঈধষষং ভড়ৎ ঐবষঢ়ৃ ধং ভৎবব ধং ইধহমষধফবংয ঃযব হধসব ঃযব (ঝযবরশয গঁলরন) মধাব ঃড় ঊধংঃ চধশরংঃধহ যিবহ যব ফবপষধৎবফ রঃ রহফবঢ়বহফবহঃ ড়হ ঋৎরফধু. সানডে টাইমস, দি অবজারভার, তুরস্কের দৈনিক জমহুরিয়াত গণহত্যার সংবাদ গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করে। ২৯ মার্চ লন্ডনের হাউস অব কমন্স সভায় ব্রিটিশ পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ বিষয়ক সচিব স্যার এ্যালেস ডগলাস হিউম তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালীদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালানোয় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং পাকিস্তানকে তাদের সামরিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করার আহ্বান জানান। ডগলাস হিউম বলেন, ‘আমি আশা করব, কমনওয়েলথের একটি সদস্য দেশ পাকিস্তানে প্রাণহানিতে পুরো হাউসই আমার সঙ্গে শোক প্রকাশে যোগ দেবে।’ ক্যানবেরার ‘দ্য এজ’ পত্রিকা ‘পাকিস্তান ট্র্যাজেডি’ শিরোনামে সম্পাদকীয় নিবন্ধে লিখেছে, পাকিস্তানের সাংবিধানিক সঙ্কটের একদিন আগে গৃহযুদ্ধ শুরু হলো। যেখানে ছিল আশা, যা তিক্তভাবে বিভক্ত হলো। শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে দুই জাতি একত্রে অবস্থান করতে পারত। সে আশা গত কয়েকদিনের ট্র্যাজিক ঘটনায় শেষ হয়ে যায়। ৩০ মার্চ ‘দ্য গার্ডিয়ান’ লেখে, সামরিক সরকার ‘এক পাকিস্তান’-এর নামে বিশাল এক জনগোষ্ঠীর ওপর নিষ্ঠুর আক্রমণ চালিয়ে এক পাকিস্তান যে কখনও সম্ভব নয় সেটাই নিশ্চিত করেছে। লন্ডনের দ্য টাইমস পত্রিকায় গণহত্যার খবর প্রকাশিত হয়। খবরে বলা হয়- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পুড়ে যাওয়া লাশ এখনও তাদের বিছানার ওপর পড়ে আছে। এক বিশাল গণকবর খুব দ্রুত ভর্তি হয়েছে...। কাঠমা-ুর দ্য নিউ হেরাল্ড পত্রিকা ‘পূর্ব পাকিস্তান’ শিরোনামে সম্পাদকীয় নিবন্ধে লেখে, ‘আমরা আশা করি আমাদের পাকিস্তানী বন্ধুরা এখন পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালী ও পশ্চিম পাকিস্তানীদের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশের বিষয়টি উপলব্ধি করবে। এটা অনস্বীকার্য যে, পশ্চিম পাকিস্তানী সেনা কর্তৃক পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ জনগণের ওপর সংঘটিত নিষ্ঠুরতা সমগ্র বিশ্বকে আন্দোলিত করেছে। ৩১ মার্চ ব্রিটিশ কমন্সসভার সদস্য রাসেল জনস্টোন বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত শঙ্কার সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তানে রাজনৈতিক সঙ্কটের বিস্তার পর্যবেক্ষণ করছি।’ স্পষ্ট ও বিস্তারিত প্রতিবেদন না পেলেও সংবাদগুলো অনেক সময় পরস্পরবিরোধী দুটি বিষয় অনস্বীকার্য। প্রথমত, এটা খুব স্পষ্ট যে, সংখ্যাগরিষ্ঠের দাবি পূর্ব পাকিস্তানের জন্য স্বাধীনতা। দ্বিতীয়ত, এই স্বাধীনতার দাবিকে দমাতে পশ্চিম পাকিস্তান সরকার তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে সেনাবাহনীকে অত্যাচার আর নির্যাতনে নিয়োজিত করে। লন্ডনের ‘দ্য গার্ডিয়ান’ ‘পাকিস্তানে হত্যাকা-’ শিরোনামে প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে লেখে, ‘এখন আমরা খুব ভালভাবেই বুঝতে পারছি পাকিস্তান কিভাবে এক ভয়াল ত্রাসকে লালন করছে। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান প্রবলভাবে এসবের মদদ দিয়ে যাচ্ছেন। ১ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশের সমর্থনে এ্যাকশন বাংলাদেশের উদ্যোগে লন্ডনের ট্রাফালগার স্কয়ারে অনুষ্ঠিত হয় বাঙালীর বিশাল জনসমাবেশ। সমাবেশের আগে মিছিল করে পার্লামেন্ট ভবন, প্রধানমন্ত্রীর অফিস ও বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করা হয়। মিছিল এবং সভা ৪ ঘণ্টা ধরে চলে। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্বজনমত গঠনের উদ্দেশ্যে আয়োজিত সমাবেশে যোগ দিতে এসেছিলেন তারা। ট্রাফালগার স্কয়ারের সামনের দেয়ালে টানানো হয় স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র, যার দুই পাশে ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুটি বড় ছবি। সামনে আরেকটি ব্যানারে লেখা- ‘স্টপ জেনোসাইড, রিকগনাইজ বাংলাদেশ।’ সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন প্রবাসী সরকারের ভ্রাম্যমাণ দূত বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী, জন স্টোন হাউজ, প্রেনটিস, এডওয়ার্ডস, রেভা রাইট, লেডি গিফোরড, পল কনেট প্রমুখ। বক্তারা বাংলাদেশে গণহত্যা বন্ধ, বাংলাদেশ সরকারকে স্বীকৃতি দেয়া, পাকিস্তানকে সকল প্রকার সাহায্য বন্ধ করার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে দাবি জানানো হয় শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি। এসব দাবিযুক্ত স্মারকলিপি দেয়া হয় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরাবর। সমাবেশে ১৩০ জন ব্রিটিশ এমপির স্বাক্ষরিত একটি আবেদন পাঠ করে শোনানো হয়। তারা পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগার থেকে শেখ মুজিবের মুক্তি দাবি করেন। সমাবেশে লন্ডনের পাকিস্তান হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব মহিউদ্দিন আহমদ পদত্যাগ করে বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। লেখক : গবেষক [email protected]
×