ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু ॥ ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিত: ১৩:১৩, ৪ ডিসেম্বর ২০২১

কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু ॥ ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক ও লালন শাহ হলের প্রোভোষ্ট ড. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোপূর্বে গঠিত তিন সদস্যের কমিটিতে দুই সদস্য থাকতে অপারগতা প্রকাশ করায় ওই কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। আজ শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে কুয়েটের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,গত ২ ও ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬তম জরুরী সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইইই বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িত অপরাধীদের শনাক্তকরণসহ সংশ্লিষ্ট আনুষাঙ্গিক বিষয়াদি পর্যালোচনা করে সুপারিশসহ রিপোর্ট প্রদান করার জন্য সন্মানিত শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মহিউদ্দিন আহমাদ, সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মোঃ আলহাজ উদ্দীন, সদস্য প্রফেসর ড. খন্দকার মাহবুব হাসান, বহি: সদস্য কেএমপি কমিশনারের মনোনীত একজন প্রতিনিধি (ন্যূনতম সহকারী কমিশনার পদমর্যাদা সম্পন্ন) এবং বহি:সদস্য খুলনা জেলা প্রশাসকের মনোনীত একজন প্রতিনিধি (ন্যূনতম নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদমর্যাদা সম্পন্ন)। কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে উল্লিখিত বিষয়ে তদন্ত করে সুপারিশসহ রিপোর্ট ভাইস-চ্যান্সেলর বরাবর দাখিল করতে অনুরোধ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে পূর্বের স্মারক নং- খুপ্রবি/১৭৮৬/০৩ তাং ৩০/১১/২০২১ গঠিত তদন্ত কমিটি বাতিল করা হয়েছে। এদিকে কুয়েটের ৭৬ তম জরুরী সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশংকার কারণে ৩ ডিসেম্বর (শুক্রবার) থেকে আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কুয়েট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিকেল (৩ ডিসেম্বর) চারটার মধ্যে আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়। এর পর শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ করেন। উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. মোঃ সেলিম হোসেন গত ৩০ নবেম্বর বেলা ৩টায় ইন্তেকাল করেন। এর পর অভিযোগ ওঠে কুয়েট ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান তার লোকজন নিয়ে ওই দিন ড. মোঃ সেলিমের দাফতরিক কক্ষে প্রবেশ করে অশালীন আচরণ ও মানষিক নির্যাতন করেন। তাদের মনোনীত প্রার্থীকে ডাইনিং ম্যানেজার নির্বাচন করার জন্য আগে থেকেই প্রভোষ্ট ড. সেলিম হোসেনকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। আর এই অপমান সহ্য করতে না পেরে তিনি মারা যান।
×