ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

অধ্যায় : নবম (বর্তনী ও চলবিদ্যুৎ) লেখক : মোঃ শাহজাহান

অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান

প্রকাশিত: ০০:১৩, ৩ ডিসেম্বর ২০২১

অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান

সিনিয়র শিক্ষক চাঁদপুর গভঃ টেকনিক্যাল হাই স্কুল প্রশ্ন : ১। তড়িৎ প্রবাহ কী? ব্যাখ্যা কর। উত্তর : কোনো পরিবাহীর যে কোনো প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে একক সময়ে যে পরিমাণ আধান প্রবাহিত হয় তাকেই তড়িৎ প্রবাহ বলে। ব্যাখ্যা : যদি কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য ঠ এবং এর ভিতর দিয়ে প্রবাই তড়িৎ রোধ জ হয় তবে তড়িৎ প্রবাহ, তড়িৎ প্রবাহের একক অ্যাম্পিয়ার। প্রশ্ন-২ : বিভব পার্থক্য বলতে কি বোঝায়? উত্তর : প্রতি একক ধনাত্মক আধানকে তড়িৎ ক্ষেত্রের এক বিন্দু থেকে অন্য বিন্দুতে স্থানান্তর করতে সম্পন্ন কাজের পরিমাণকে এই দুই বিন্দুর বিভব পার্থক্য বলে। চিত্রে অ বিন্দুর বিভব ঠঅ এবং ই বিন্দুর বিভব ঠই যেখানে ঠঅ > ঠই বিভব পার্থক্য : ঠ = ঠঅ-ঠই বিভব পার্থক্যের একক ভোল্ট। প্রশ্ন : ৩। রোধ কী? ব্যাখ্যা কর। উত্তর : পরিবাহীর যে ধর্মের জন্য এর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ চলাচল বাধাগ্রস্ত হয় তাকেই রোধ বলে। রোধ, এখানে, জ = রোধ ঠ = বিভব পার্থক্য ও = তড়িৎ প্রবাহ রোধের একক ও’ম প্রশ্ন-৪ ঃ ও’ম কি? তড়িৎ রোধের এস, আই একক ও’ম। কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য ১ ভোল্ট এবং এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহ ১ অ্যাম্পিয়ার হলে, ঐ পরিবাহীর রোধ হবে ১ ও’ম। প্রশ্ন : ৫। অপর্যায় বৃত্ত প্রবাহ কী? চিত্রসহ বর্ণনা কর। উত্তর : অপর্যায়বৃত্ত প্রবাহ : যখন সময়ের সাথে সাথে তড়িৎ প্রবাহের দিকের কোন পরিবর্তন হয় না, অর্থাৎ যে তড়িৎ প্রবাহ সব সময় একই দিকে প্রবাহিত হয়, সেই প্রবাহকে অপর্যায়বৃত্ত প্রবাহ বলে। ছক কাগজের ী-অক্ষে সময় এবং ু-অক্ষে তড়িৎ প্রবাহ নিয়ে লেখ আঁকা হলে দেখা যায় যে তড়িৎ প্রবাহ কোন দিক পরিবর্তন না করে একই দিকে প্রবাহিত হয়। সাধারণত তড়িৎ কোষ বা ব্যাটারি, ডিসি জেনারেটরে অপর্যায়বৃত্ত প্রবাহ উৎপন্ন হয়। প্রশ্ন : ৬। পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ কী? চিত্রসহ বর্ণনা কর। উত্তর : পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ : যখন নির্দিষ্ট সময় পর পর তড়িৎ প্রবাহের দিক পরিবর্তিত হয়, সেই তড়িৎ প্রবাহকে পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ বলে। ছক কাগজের ী-অক্ষে সময় এবং ু-অক্ষে তড়িৎ প্রবাহ নিয়ে লেখ আঁকলে দেখা যায় যে সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে তড়িৎ প্রবাহের ও দিক পরিবর্তন হয়। পর্যায়বৃত্ত প্রবাহের উৎস জেনারেটর বা ডায়নামো। প্রশ্ন- ৭ : ও’মের সূত্রটি লিখ এবং গাণিতিক ব্যাখ্যা কর। উত্তর : ও’মের সূত্র : ‘তাপমাত্রা স্থির থাকলে কোন নির্দিষ্ট পরিবাহীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহের মান পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের মানের সমানুপাতিক।’ কোন পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য ঠ, রোধ জ এবং তড়িৎ প্রবাহ ও হলে, তড়িৎ প্রবাহ [কেনো নির্দিষ্ট পরিবাহীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহ পরিবাহীর নিজস্ব রোধের ব্যস্তানুপাতিক।] ও’মের সূত্রের লেখচিত্র। প্রশ্ন-৮ : তড়িৎ বর্তনী কী? চিত্রসহ বর্ণনা দাও। উত্তর : তড়িৎ বর্তনী : তড়িৎ প্রবাহ চলার সম্পূর্ণ পথকে তড়িৎ বর্তনী বলে। চিত্রে তড়িৎ উৎস বা ব্যাটারির ঋণাত্মক প্রান্ত থেকে পরিবাহী তার অ মিটারের ঋণাত্মক প্রান্তের সাথে, অ মিটারের ধনাত্মক প্রান্তের সাথে পরিবাহীর তার বাল্বের সাথে যুক্ত করে অতপর বাল্ব থেকে পরিবাহী তার দ্বারা চাবি ক এর সাথে যুক্ত করা হয়। চাবি ক থেকে ব্যাটারির ধনাত্মক প্রান্তের সাথে যুক্ত করা হয়। এখন চাবি অন করার সাথে সাথে বাল্বটি জ্বলে ওঠে। তবে উক্ত ব্যবস্থাটি দ্বারা তড়িৎ বর্তনী তৈরি হলো। প্রশ্ন : ৯। চিত্রসহ শ্রেণি সংযোগ বর্তনীর বর্ণনা দাও। উত্তর : শ্রেণি সংযোগ বর্তনী : কোনো বর্তনীতে যদি রোধ, তড়িৎ যন্ত্র এমনভাবে যুক্ত হয় যেন প্রথমটির এক প্রান্তের সাথে দ্বিতীয়টির অন্য প্রান্ত, দ্বিতীয়টির অপর প্রান্তের সাথে তৃতীয়টির এক প্রান্ত এবং এ রূপে সব কয়টি পর্যায়ক্রমে সাজানো থাকে, তবে সেই সংযোগকে শ্রেণি সংযোগ বলে। চিত্রে বাল্ব ঠ১, ঠ২ অ্যামিটার অ এবং চাবি ক কে শ্রেণি সংযুক্ত করে বর্তনী সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রশ্ন-১০ : চিত্রসহ সমান্তরাল সংযোগ বর্তনীর বর্ণনা দাও। উত্তর : সমান্তরাল সংযোগ বর্তনী : কোন বর্তনীতে দুই বা ততোধিক রোধ, তড়িৎ যন্ত্র যদি এমনভাবে সংযুক্ত থাকে যে সব কয়টির এক প্রান্ত একটি সাধারণ বিন্দুতে এবং অপর প্রান্তগুলো অপর একটি সাধারণ বিন্দুতে সংযুক্ত হয় তবে সেই সংযোগকে সমান্তরাল সংযোগ বলে। চিত্রে : সমান্তরাল বর্তনী চিত্রে ঠ১, ঠ২, ঠ৩ বাল্ব এবং ভোল্ট মিটার ঠ পরস্পরের সাথে সমান্তরাল সংযুক্ত করা হয়েছে। প্রশ্ন-১১। বৈদ্যুতিক ফিউজ কী? এর প্রয়োজনীয়তা লিখ। উত্তর : ফিউজ ফিউজ সাধারণত টিন ও সীসার একটি সংকর ধাতুর তৈরি ছোট সরু তার। এটি একটি চিনামাটির কাঠামোর ওপর দিয়ে আটকানো থাকে। তারটি সরু এবং গলনাঙ্ক কম থাকায় নির্দিষ্ট মাত্রার অতিরিক্ত তড়িৎ প্রবাহিত হলে এটি অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে গলে যায়। ফলে তড়িৎ বর্তনী বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফিউজের প্রয়োজনীয়তা : র) তড়িৎ প্রবাহ বন্ধ করে দিয়ে ফিউজ বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি রক্ষা করে। রর) নির্দিষ্ট মাত্রার অতিরিক্ত তড়িৎ প্রবাহিত পারে না। ররর) কম্পিউটার, টেলিভিশন, ফ্রিজসহ বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি পুড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। রা) বাতি, পাখা, টিভি ইত্যাদিতে ৫ অ্যাম্পিয়ার ফিউজ ব্যবহার করতে হয়। া) ইলেকট্রিক কেটলি, ইস্ত্রির জন্য ১৫ অ্যাম্পিয়ার ফিউজ ব্যবহার করতে হয়।
×