ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মুক্তিযুদ্ধের টেলিফিল্ম ‘শ্বাপদ’

প্রকাশিত: ২৩:৫৬, ৩ ডিসেম্বর ২০২১

মুক্তিযুদ্ধের টেলিফিল্ম ‘শ্বাপদ’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সালটা ১৯৭১। ওয়াজিউল্লাহ চৌধুরী পাকিস্তান রেলওয়তে বিটি গার্ড হিসেবে কর্মরত। স্ত্রী দুই ছেলে দুই মেয়ে এবং মাকে নিয়ে তার পরিবার। বড় ছেলে আবুল কাসেমের বয়স তখন ২১। মুক্তিযোদ্ধাদের দলে যোগ দেয়ার জন্য ছেলে ছটফট করে। ওয়াজিউল্লাহর কড়া শাসন। রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পাকিস্তানের সরকারী চাকুরে। ওয়াজিউল্লাহ তখনও চাকরি করে যাচ্ছেন। যদি কোনভাবে জানতে পারেন ছেলে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে, তাহলে সবার জীবন বিপন্ন। বদর বাহিনীর এক ছেলে এক পাক আর্মি নিয়ে বাড়িতে হাজির হয়। ওয়াজিউল্লাহর স্ত্রী ছেলেমেয়েরা ভয় পায়। তাকে নিয়ে যায়, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক ক্যাপ্টেনের কাছে। ক্যাপ্টেন লতিফ তাকে হুকুম করেন, ট্রেনে একটা খালি বগি জুড়তে হবে। কুমিল্লার বাইরে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় ট্রেন থামাতে হবে। সেই বগিতে কিছু মাল তোলা হবে। একটা নির্দিষ্ট জায়গায় সেই মাল রাতের মধ্যেই ডেলিভারি দিতে হবে। যুদ্ধকালীন একটা অপারেশন হিসেবে বিবেচনা করতে হবে এটিকে। কেউ যেন জানতে না পারে। মাল লোড আনলোড করতে তোমার স্টাফদেরও সহযোগিতা লাগবে। ক্যাপ্টেনের আদেশ অমান্য করবার উপায় নেই। ওয়াজিউল্লাহ বাড়ি থেকে বিদায় নিয়ে স্টেশনে যায়। দুজন স্টাফকে ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলে। গাড়িতে কি মাল ওঠানো হবে ওয়াজিউল্লাহ তখনও জানে না। গাড়ি নিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় থামে। গাড়ি থেকে নেমে দেখতে পায় কয়েকজন পাক আর্মির সঙ্গে দুজন বাঙালী দাঁড়িয়ে আছে। তাদের পাশে ত্রিপল দিয়ে ঢাকা একটা স্তূপ। ত্রিপল সরাতেই ওয়াজিউল্লাহ চমকে ওঠে। কয়েক শ’ মানুষের লাশ। এভাবেই এগিয়ে যায় ‘শ্বাপদ’ টেলিফিল্মের গল্প। এর চিত্রনাট্য লিখেছেন মাসুম আর পরিচালনা করেছেন শাহরিয়ার। টেলিফিল্মটি প্রযোজনা করেছেন পিকলু চৌধুরী। এতে অভিনয় করেছেন শবনম ফারিয়া, এফ এস নাইম, তারিক আনাম খান, শম্পা রেজা, শতাব্দি ওয়াদুদ প্রমুখ।
×