ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মার্কিন বিনিয়োগকারীদের দেশে বিনিয়োগ করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান

প্রকাশিত: ১৫:০০, ২ ডিসেম্বর ২০২১

মার্কিন বিনিয়োগকারীদের দেশে বিনিয়োগ করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান

অনলাইন ডেস্ক ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জায়গা। আমেরিকান বিনিয়োগকারীরা টাকা বানাতে আসতে পারে। আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেক পার্কগুলোতে বিনিয়োগ করতে পারে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ নিশ্চিত হওয়া ১০টি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ বন্ধ করেছে। এতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ ছিল। যুক্তরাষ্ট্র এখন এ ক্ষেত্রে পরিবেশ বান্ধব শক্তি উৎপাদনে বিনিয়োগ করতে পারে। এটা এখন একটি সুযোগ হিসেবে এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি। আজ বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ এক দশমিক এক মিলিয়ন রোহিঙ্গার বোঝা বহন করে চলছে। এটা ক্রমেই কঠিন হয়ে ওঠছে। যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই এই কঠিন দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশের পাশে থেকেছে। জোর গলায় রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি তুলেছে। রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার বাহিনীর অমানবিক নির্যাতনের প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯-এর কঠিন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র তার বন্ধুত্বের হাত বাংলাদেশের দিকে বাড়িয়ে দিয়েছে। এটা সত্যিই খুব জটিল ও কঠিন সময় ছিল। যখন আমরা ভ্যাকসিনের জন্য হন্যে হয়ে দেশে দেশে হাত পাতছিলাম, তখন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের মিলিয়ন মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। এ বছর আমরা আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছর পালন করছি। আর আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ২৫ বছর পালন করছে। এটা আমাদের বন্ধুত্বের শক্ত অবস্থান প্রমাণ করে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা আমেরিকা থেকে তুলা আমদানি করি। সেই আমদানিতে অনেক ট্যাক্স। ফলে সেই তুলার উৎপাদিত পণ্য আমেরিকান বাজারেও যায়। কিন্ত তাতেও অনেক ট্যাক্স। আমেরিকা কিন্তু এই ট্যাক্সটা তুলে নিতে পারে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আর বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রধান। আমাদের নর্দান জোনের নদী ভাঙন এই সমস্যার অন্যতম কারণ। এই সমস্যার সমাধান আছে আমাদের ডেল্টাপ্লানে। যুক্তরাষ্ট্র নদী ভাঙন রোধে নদী খনন ও স্থায়ী বাধ নির্মাণে বিনিয়োগ করতে পারে। এর ফলে উদ্ধার করা জমি শিল্পাঞ্চল, নগর ও পুনব্যবহার করা শক্তি উৎপাদনে ব্যবহার করতে পারি। যুক্তরাষ্ট্র এ কাজে বিনিয়োগ করলে দুই দেশই লাভবান হবে।
×