ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পার্বত্য শান্তি চুক্তি- প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি

প্রকাশিত: ২১:০৮, ২ ডিসেম্বর ২০২১

পার্বত্য শান্তি চুক্তি- প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি

পার্বত্য চট্টগ্রাম। সর্বত্র সবুজের মেলা। পাহাড়ের পর পাহাড়। দেশের তিনটি পাহাড়ী জেলা- খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানকে নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্তি এই তিন জেলার সঙ্গে। চট্টগ্রাম বিভাগের অধীনে এই তিন জেলার যত কার্যক্রম, ব্রিটিশ শাসন আমলে তৎকালীন পাকিস্তানের এই অংশে এক দশমাংশ এলাকার নামকরণ হয় চিটাগং হিল ট্রাক্টস্্ (সিএইচটি)। আইনকানুনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনায় গঠন করে দেয়া হয় চিটাগং হিল ট্রাক্টস্্ ম্যানুয়েল (সিএইচটিএম)। সেই সিএইচটিএমের অধিকাংশ ধারা-উপধারা নিয়ে চলমান পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রশাসনিক কার্যক্রম। তবে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার পর চলমান প্রশাসনিক কার্যক্রমে নতুন কিছু নিয়ম কানুন যুক্ত হয়েছে। আরোপিত হয়েছে কিছু বিধিনিষেধ। যা পাহাড়ে বসবাসরত পাহাড়ী তথা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর সদস্য ও বাঙালীদের স্বার্থেই হয়েছে। যদিও শান্তি চুক্তির আওতায় আরোপিত নিয়ম-কানুন নিয়ে পাহাড়ী-বাঙালী উভয় জনগোষ্ঠী সদস্যের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তবে এ কথা সত্যি যে, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার কিছু সময় পরই পাহাড়ে ‘শান্তি বাহিনী’র সশস্ত্র সদস্যরা তাদের মর্জি মাফিক দাবি আদায়ে যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটায় তা টানা দু’দশক স্থায়ী হয়। পাহাড়ী নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) জন্ম হয়ে এর গেরিলা উইংয়ের নাম হয় শান্তি বাহিনী। এই শান্তি বাহিনী নির্বিচারে হত্যা করেছে বাঙালী জনগোষ্ঠীর স্থায়ী বাসিন্দা ও সেটেলারদের। হামলা চালিয়েছে সামরিকসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সবকটি সংস্থার সদস্যদের ওপর। এমনকি ক্যাম্প, ঘাঁটি, টহলদান দলের ওপরও। সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান পাওয়া না গেলেও পাহাড়ের সশস্ত্র দুষ্কৃতকারীদের সঙ্গে গহীন অরণ্যে যুদ্ধ চালাতে গিয়ে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদবীর অফিসার ও জওয়ান শহীদ হয়েছেন। এ ছাড়াও তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি), পুলিশ, আনসার, ভিডিপি সদস্যদেরও প্রাণহানি ঘটেছে। জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার মৃত্যুর (প্রচার আছে নিজ সংগঠনের বিরোধী গ্রুপই তাকে হত্যা করেছে) পর সংগঠনের নেতৃত্বে আসেন তার ছোট ভাই জ্যোতিরিন্দ্র বোধি প্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা। দেশ স্বাধীনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পার্বত্য সমস্যার সমাধানে মনোযোগী হওয়ার অব্যবহিত পর ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট তাঁকে সপরিবারে নৃশংস কায়দায় হত্যার ঘটনা ঘটে। এরপরের ইতিহাস উল্টো পথে চলার ইতিহাস। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার সমাধানের বিষয়টি হয়ে যায় তিরোহিত। উল্টো সমস্যা বাড়ানো হয় পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে সেটেলারদের বসতি ঘটিয়ে। ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত দু’দশক চলে সশস্ত্র সংঘাত। সবুজের পাহাড় রক্তে রঞ্জিত হতে থাকে। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের শুরুতেই পার্বত্য সমস্যার সমাধানে আন্তরিক হলে এর পথ খুলে যায়। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তৃতীয় কোন পক্ষের সহযোগিতা ছাড়াই সরকারের সঙ্গে জনসংহতি সমিতির ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ১৯৯৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও এর গেরিলা উইংয়ের প্রধান সন্তু লারমা ১৯৬৮ সদস্য নিয়ে সশস্ত্র আত্মসমর্পণ করেন। সারাবিশ্বে কোন গেরিলা গোষ্ঠীর সশস্ত্র আত্মসমর্পণের এটি ছিল বিরল একটি ঘটনা। যে কারণে পরবর্তীতে শেখ হাসিনার ইউনেস্কো পুরস্কার অর্জন ছিল পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অনন্য অবদানের স্বীকৃতি। শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার পর যে শান্তির আশা করা হয়েছিল, কাক্সিক্ষত সে শান্তি আজ ২৪ বছর পরও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। এর নেপথ্য কারণ জনসংহতি সমিতির অন্তর্দ্বন্দ্ব, গ্রুপিং, চাঁদাবাজির ভাগ-বাটোয়ারা ও নেতৃত্বের লড়াই। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে দু’দশক ধরে শান্তিবাহিনীর সশস্ত্র যে লড়াই সেটা ছিল একটি দিক। শান্তি চুক্তির পর গত ২৪ বছর ধরে যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছে সেটা ভ্রাতৃঘাতী। শান্তি চুক্তির পর এর বিরোধিতা করে জনসংহতি সমিতি থেকে বেরিয়ে প্রসিত খিসা গঠন করে ইউপিডিএফ। বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে আরও পরবর্তীতে জেএসএস এবং ইউপিডিএফ দুই দুই করে চার গ্রুপে খ-িত হয়ে যায়। স্বার্থের দ্বন্দ্ব, অবৈধ চাঁদার অর্থের ভাগ-বাটোয়ারার প্রক্রিয়া নিয়ে কুফল কী হতে পারে এর জ্বলন্ত একটি উদাহরণ জেএসএস ও ইউপিডিএফের গ্রুপিং, শেষ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক দ্বিধাবিভক্তি। ফলশ্রুতিতে গত দুই যুগ ধরে পাহাড়ে নতুন আবহে রক্ত ঝরছে। সেটাই পাহাড়ীদের ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত। এটা পাহাড়বাসী সকলের জন্য দুর্ভাগ্য। সমতলবাসীর জন্য বিস্ময়ের। আর সরকারের জন্য দুঃখজনক। এসবের পরও পাহাড়বাসীর বিভিন্ন খাতে প্রাপ্তির তালিকাটি বেশ দীর্ঘ। পাহাড়ে কি হয়নি এবং কি হচ্ছে না সেটার বিশ্লেষণ করলে বেরিয়ে আসে সমতলের চেয়ে পাহাড়বাসীর প্রাপ্তি অনেক বেশি। প্রকল্পের যেমন শেষ নেই, উন্নয়নেরও শেষ নেই। তবে পাহাড়ী সশস্ত্র চাঁদাবাজদের কারণে কিছু প্রকল্প বন্ধ হয়ে থাকলেও শান্তি চুক্তির পর থেকে গত ২৪ বছরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে এটাই উঠে এসেছে, উন্নয়নে পাল্টে গেছে সবুজের পাহাড়। অস্থিতিশীল পরিবেশ থাকলেও পাহাড় এগিয়ে যাচ্ছে শান্তি ও উন্নয়নের দিকে। সর্বত্র আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে, বদলে গেছে পাহাড়ী মানুষের জীবনযাত্রা। একসময় যে পাহাড়ে পর্যটকদের আসা-যাওয়া ছিল উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার, সেখানে কিছু এলাকা বাদ দিয়ে দেশী-বিদেশী পর্যটকরা অবাধে পাহাড়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পাহাড়ের বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ রয়েছে চাকমা উপজাতি। ব্রিটিশ আমল থেকেই পাহাড়ে তিন সার্কেলের তিন চীফ থাকার প্রবণতা এখনও বিদ্যমান। এগুলো হচ্ছেÑ চাকমা (রাঙ্গামাটি), বোমাং (বান্দরবান) ও মং (খাগড়াছড়ি) সার্কেল। এসব সার্কেলের সদস্যরা সার্কেল চীফদের রাজা হিসেবে অবহিত করে থাকেন। ব্রিটিশ আমলে অর্থাৎ ১৯০০ সালে এসব চীফকে রাজা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয় এবং তাদের মাধ্যমে এলাকার ভূমি করসহ বিভিন্ন রাজস্ব আদায় করা হতো। তবে পাকিস্তান আমলে মূল রাজস্ব আদায় সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। স্বাধীন বাংলাদেশেও একই প্রথা চলমান রয়েছে। পাহাড়ের চাকমা গোষ্ঠীর সদস্যরাই উন্নয়নের দিক থেকে এবং শিক্ষা-দীক্ষায় সর্বাগ্রে রয়েছে। তাদের রাজা প্রয়াত ত্রিদিব রায় ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারত-পাকিস্তান বিভাগের যেমন বিরুদ্ধে ছিলেন, তেমনি দেশ বিভাগের পরও তিনি পাকিস্তানের সমর্থক ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রাজা ত্রিদিব রায় ও তার অনুসারীরা পাক বাহিনীর সহযোগী ছিল। বাঙালীদের সশস্ত্র সংগ্রামে তারা সমর্থন দেয়নি। ফলে, দেশ স্বাধীনের আগেই রাজা ত্রিদিব রায় পাকিস্তানে আশ্রয় নেয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এর আগে পাহাড়ের উপজাতিদের আলাদা মর্যাদা সংরক্ষিত ছিল। ১৮৬৮ সালে গোটা পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির মালিকানা কারও থাকবে না বলে সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়। আর ১৯০০ সালে চাকমা রাজার মাধ্যমে পাহাড়ীদের করের আওতায় আনা হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার পাহাড়ীদের প্রতি সদয় হন তাদের পশ্চাৎপদতার কারণে। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর শেখ হাসিনার সরকার পাহাড় নিয়ে আরও বেশি আন্তরিক হন। জিয়াউর রহমান সরকার পাহাড়ে সেটেলারদের বসতি স্থাপন করে যে সমস্যার জন্ম দেয়, এর নিরসনে শেখ হাসিনার সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে দফায় দফায় বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় আলোচনার মাধ্যমে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়। মূলত বঙ্গবন্ধুই ১৯৭৩ সালে দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাহাড়ী শিক্ষার্থীদের জন্য সুনির্দিষ্ট আসন সংরক্ষণের নির্দেশনা প্রদান করেন। এর আগে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীর উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উপজাতি জনগোষ্ঠীকে দেশের মূলধারার সঙ্গে আনার ঘোষণা প্রদান করে ১৯৭২ সালের ২২ জুন ‘ইন্ডিজেনাস অ্যান্ড ট্রাইবাল পপুলেশনস্্ কনভেনশন ১৯৫৭’-তে অনুস্বাক্ষর করেন। ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত যে, বাঙালীর ইতিহাস ৪ হাজার বছরেরও বেশি সময়ের। বাংলাদেশের কোন নৃ-গোষ্ঠীকে কেউই কখনও ‘এবোরোজিন’ ঘোষণা করেনি। পক্ষান্তরে ভূমিপুত্র হিসেবে বাঙালীদেরই অবহিত করার রেকর্ড রয়েছে। শান্তি চুক্তির পর পাহাড়ীদের পক্ষে চুক্তি সম্পাদনকারী জেএসএস বর্তমানে যেসব দাবি জনসম্মুখে তুলে ধরছে এবং তাদের আরেক গ্রুপ পুরো চুক্তিরই বিরোধিতা করছে, তা গোটা পাহাড়বাসীর জন্য দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছুই নয়। পাহাড়ের বাঙালীরা মনে করেন শান্তি চুক্তির কারণে তারা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত হয়েছেন। এরপরও বাঙালী জাতিগোষ্ঠী পাহাড়ীদের নিয়ে শান্তিতে বসবাসে আগ্রহী। কিন্তু পাহাড়ী আঞ্চলিক দুই সংগঠনের চার গ্রুপ পাহাড়ের পরিবেশকে যে অবস্থায় নিয়ে গেছে, তা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার পাশাপাশি ভয়ঙ্করও বটে। অথচ সরকার পাহাড়ের উন্নয়নে এতই মনোযোগী যে, সমতলের সঙ্গে সমানভাবে পাহাড়ের উন্নয়ন ঘটেই চলেছে। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবানের সর্বত্র আধুনিকতার ছোঁয়ায় ভরপুর। দুর্গম পাহাড়ী এলাকাগুলোতে এখন সড়ক নির্মিত হওয়ায় সহজ চলাচল হাতের মুঠোয়। পাহাড়ীদের বহু নেতা কথায় কথায় সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানান। অথচ দেশের বিভিন্ন স্থানে অর্থাৎ, সমতলে সেনা ক্যান্টনমেন্ট, ক্যাম্প ইত্যাদি রয়েছে। বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্য থেকে পাহাড়ে কেন সেনা ক্যাম্প, ক্যান্টনমেন্ট থাকবে না এর প্রকৃত কোন উত্তর পাহাড়ী নেতাদের কাছে আছে কিনা তা বড় ধরনের প্রশ্ন সাপেক্ষ। সরকারের পক্ষে পাহাড়ে উন্নয়নের বড় অংশীদার সেনা সদস্যরা। দুর্গম এলাকাকে চলাচল উপযোগী করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেনা সদস্যরা বছরের পর বছর পাহাড়জুড়ে কাজ করে যাচ্ছেন। যে কারণে পাহাড়ের উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। শান্তি চুক্তির আলোকে যেসব স্থান থেকে সেনা ক্যাম্প গোটানো হয়েছে, সেখানে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা সবচেয়ে বেশি। এদের কারণে খ্রীস্টান মিশনারি একটি সংস্থা তাদের কৃষি প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারী ঠিকাদার অনেক প্রকল্পের কাজ বন্ধ রেখেছেন। এর নেপথ্যে রয়েছে পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের অপহরণ ও চাঁদাবাজির ঘটনা। এতকিছুর পরও ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৪ বছর পূর্ণ হলো আজ। সরকার একে একে শান্তি চুক্তির অধিকাংশ ধারা বাস্তবায়ন করেছে। অবশিষ্ট ধারা বাস্তবায়ন করার অঙ্গীকার রয়েছে। ফলে, প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির শেষ নেই পাহাড়ে। সমীকরণের হিসেবে বলা যায়, পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা অপকর্মের পথ পরিহার করে সরকারকে আন্তরিক সহযোগিতা প্রদান করলে অচিরেই পাহাড় প্রকৃত অর্থের অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি হিসেবে দেশ-বিদেশে যেমন চিত্রিত হবে, তেমনি পাহাড়বাসীর ভাগ্যের বদল হবে অচিন্তনীয়। লেখক : জয়েন্ট এডিটর, জনকণ্ঠ
×