জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ শহরের খানপুরের ৩০০ শয্যা হাসপাতাল ৫০০ শয্যা করে পূর্ণাঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হবে। সেই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল হবে ‘বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ রেহানার নামে।’
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আরিফা জহুরার বিদায় ও নবগত ইউএনওর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার বিকেলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, বছর দুয়েক আগে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত কথা বলেছিলাম। উনি বলেছেন, ‘তুমি কি চাও। অনেক রাজনীতিবিদ, অনেক কিছুই চায়’। আমি বলেছিলাম, ‘আমি কিছু চাই না। আমি জনগণের জন্য ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড চাই, বঙ্গবন্ধুর নামে নারায়ণগঞ্জে ইউনিভার্সিটি চাই, পঞ্চবটি ফ্লাইওভার চাই, ডিএনডি প্রকল্প চাই, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের উন্নয়ন চাই, মেডিক্যাল কলেজ-ইউনিভার্সিটি চাই’। আলহামদুলিল্লাহ, আমার সব প্রকল্পের কাজই চলছে। শুধু একটি বাকি ছিল, সেটি হলো মেডিক্যাল কলেজ।
শামীম ওসমান আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নামে কিছু হলে অনুমতি নিতে হয়। শেখ রেহানা অনুমতি দেয় না বলে সারা বাংলাদেশের কোথাও কিছু করা হয়নি। উনি হিমালয় পর্বতের মতোই শোক ও কষ্ট বুকে চাপা দিয়ে বসে আছেন। কোন কিছু করার অনুমতি দেন না।
প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘তুমি শেখ রেহানার কাছ থেকে অনুমতি নিতে পারলে আমি করে দেব’। কিছুক্ষণ পূর্বে একটি মেসেজ আসছে- আলহামদুলিল্লাহ সেটিও হয়ে গেছে। খানপুরের ৩০০ শয্যা হাসপাতাল ৫০০ শয্যা করে পূর্ণাঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হবে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল হবে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ রেহানার নামেই।
