ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে তিন মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগে রোডম্যাপ জমি লিজ গ্রহণে সরকারী পর্যায়ে চুক্তি হবে

কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ে জোরদার হবে খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ॥ কৃষি উৎপাদনে আফ্রিকার জমি ইজারা নেয়া হবে

প্রকাশিত: ২২:৫০, ৩০ নভেম্বর ২০২১

কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ে জোরদার হবে খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ॥ কৃষি উৎপাদনে আফ্রিকার জমি ইজারা নেয়া হবে

এম শাহজাহান ॥ দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও বেগবান করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ জন্য দেশের গ-ি পেরিয়ে এবার বিদেশের মাটিতেও কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে কৃষিপণ্য উৎপাদন করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে কৃষিপণ্য উৎপাদনে আফ্রিকার দেশগুলোর অব্যবহৃত জমি ইজারা গ্রহণ করতে যাচ্ছে সরকার। সরাসরি আফ্রিকার দেশগুলোর কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর জমি লিজ গ্রহণ বা ইজারা নেয়ার বিষয়টি গভীরভাবে পর্যালোচনা করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, মসলা ও ফলমূলের মতো কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন করা হবে। এর ফলে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত কৃষিপণ্য রফতানি করে অর্জিত হবে বৈদেশিক মুদ্রা। জমি লিজ গ্রহণে আপাতত সরকার-টু-সরকার পর্যায়ে চুক্তি সম্পাদন করার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। সুদানসহ আরও কয়েকটি দেশে শীঘ্রই পাইলট প্রকল্প চালু করা হবে বলে জানা গেছে। সুদান ও কেনিয়া ইতোমধ্যে জমি ইজারা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ প্রক্রিয়ায় বেসরকারী খাতকে সম্পৃক্ত করতে নীতিগত সহায়তা দেয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া পররাষ্ট্র, বাণিজ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগে একটি রোডম্যাপ তৈরি করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। পূর্বাচলে দুই একর জমির ওপর গড়ে তোলা হবে আন্তর্জাতিক আইএসও স্ট্যান্ডার্ডের একটি ল্যাবরেটরি। আফ্রিকা মহাদেশের পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলোতে বিপুল পরিমাণ অব্যবহৃত কৃষি জমি রয়েছে। কিন্তু দক্ষ জনবল ও অন্যান্য সঙ্কটের মুখে সেখানে কৃষি জমির পুরোপুরি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে বাংলাদেশে জমি কম থাকলেও দক্ষ জনবলের ঘাটতি নেই। গত কয়েক বছর ধরে মাছ ও শাকসবজিসহ বেশকিছু কৃষিপণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। কৃষি খাতে উন্নতমানের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার কারণে উৎপাদন বেড়েছে কয়েকগুণ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। বাংলাদেশের এই অর্জনে উৎপাদন বাড়াতে এবার বিদেশের ভূমিও ব্যবহার করা হবে। আগামী বছরের মধ্যে আফ্রিকার দেশগুলোতে কৃষি জমি লিজ গ্রহণ করে উৎপাদনে যেতে চায় সরকার। এ জন্য কৃষিপ্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে এগিয়ে আসার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হচ্ছে। বিদেশের মাটিতে জমি লিজ গ্রহণ ও শ্রমিক সরবরাহসহ যে সব জটিলতার মুখোমুখি হতে হয় তা দূর করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী বাংলাদেশের অর্ধশত ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী। তারা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আবেদন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে শীঘ্রই এ সংক্রান্ত বৈঠক করতে যাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, আফ্রিকার দেশগুলোতে জমি ইজারা গ্রহণের বিষয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আন্তরিক। আর এ কারণেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ আরও কয়েকটি মন্ত্রণালয় থেকে এর সম্ভাব্যতা ও সমীক্ষা যাচাই-বাছাই করা হবে। সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আফ্রিকা ও পশ্চিম এশিয়া অনুবিভাগ থেকে এক চিঠিতে বলা হয়েছে- আফ্রিকার গাম্বিয়া, তানজানিয়া, ঘানা, সেনেগাল, লাইবেরিয়া, আইভরিকোস্ট এবং কেনিয়াসহ বিভিন্ন দেশের বিপুল পরিমাণ পতিত জমি রয়েছে। কয়েকটি দেশে কিছু সংখ্যক উদ্যোক্তা এগিয়ে এসেছেন। তবে এ ব্যাপারে আরও নীতিগত সহায়তা বাড়ানো প্রয়োজন। এ ছাড়া বাংলাদেশকে আফ্রিকার দেশগুলোর জমি ইজারা দেয়ার প্রস্তাব দ্রুত যাচাইয়ে তিন মন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে পররাষ্ট্র, বাণিজ্য ও কৃষিমন্ত্রীকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দক্ষিণ সুদানসহ আফ্রিকার বেশ কয়েকটা দেশ প্রস্তাব করে বলেছে, তাদের বিপুল অব্যবহৃত জমি রয়েছে। এ সব জমি লিজ দেয়া হবে। সেখানে বাংলাদেশ যদি এগ্রিকালচারাল প্রডাক্ট করতে পারে তবে সেটাকে স্বাগত জানানো হবে। ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র, বাণিজ্য এবং কৃষিমন্ত্রীকে দ্রুত বিষয়টি দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। সুদান ও কেনিয়া জমি দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ॥ সুদান ও কেনিয়া এখনই জমি ইজারা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ সব দেশে প্রাথমিকভাবে পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। এ সব প্রকল্পে সফলতা আসলে ধীরে ধীরে আফ্রিকার সব দেশে জমি ইজারা গ্রহণ করা হবে। বিশেষ করে আফ্রিকা অঞ্চলের দেশ উগান্ডা, জাম্বিয়া, তানজানিয়া, কেনিয়া, সেনেগাল, সিয়েরালিওন, লাইবেরিয়া, আইভরিকোস্ট ও ঘানায় কয়েক লাখ হেক্টর আবাদি জমি লিজ গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। এই জমির অর্থনৈতিক ব্যবহারে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে তা ক্রয়, ইজারা এবং বার্ষিক ভাড়াভিত্তিতে চাষাবাদ কিংবা কৃষিভিত্তিক বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে ওই সব দেশের সরকার। ইতোমধ্যে চীন, ভারত, মিসর, পাকিস্তান, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এই সুযোগ লুফে নিয়ে নিজ দেশের চাহিদা অনুযায়ী সে দেশের কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্পে বিনিয়োগ করেছে। অথচ সুযোগ পেয়েও বাংলাদেশ সিদ্ধান্তহীনতা আর উদ্যোগের অভাবে নষ্ট করেছে ১০টি বছর। তবে দীর্ঘ সময় অপচয় হলেও এ বিষয়ে সরকার এখন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত সেমিনারে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কিছু অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক সমস্যা ছিল। এ কারণে বিদেশের জমিতে চুক্তিভিত্তিক সরকারী-বেসরকারীভাবে চাষাবাদের উদ্যোগটি এতদিন খুব বেশি এগোয়নি। এখন সরকার খাদ্যঝুঁকি প্রতিরোধ ও অধিকতর কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়ে কার্যকর কিছু করার ওপর বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে। ধান, ভুট্টা, পেঁয়াজের পাশাপাশি গম উৎপাদনেও উপযোগী আফ্রিকার মাটি। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের মতো আফ্রিকার দেশগুলোতেও চাকরির বাজার তৈরি করা হবে। তবে এ সব দেশে সরাসরি জনশক্তি রফতানির সুযোগ নেই। সেখানে কৃষি জমি ভাড়া নেয়ার পর বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়ে সে সব জমিতে চাষাবাদ করতে হবে। সরকার এই সুযোগ তৈরির চেষ্টায় কাজ করছে। ইতোমধ্যে সুদান ও কেনিয়া প্রাথমিকভাবে আমাদের জমি দিতে রাজি হয়েছে। জানা গেছে, আফ্রিকার আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুযায়ী সেখানে ফসল পালানো হবে। ধান, গম ও সবজির পাশাপাশি কোকো, কফি ও তুলাসহ বিভিন্ন ধরনের ফল সেখানে চাষ সহজেই করা যেতে পারে। এটি অনেক লাভজনক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশে এখন প্রতিকেজি ধান উৎপাদনে খরচ পড়ে ২৬ থেকে ২৮ টাকা, উগান্ডায় সেই খরচ মাত্র ১২ থেকে ১৪ টাকা। গমে খরচ মাত্র ১০ টাকা। তানজানিয়ায় এক বিঘা জমির বার্ষিক ভাড়া মাত্র ২০ টাকা। বাংলাদেশে সমপরিমাণ কৃষি জমির এই ভাড়া ৫ হাজার টাকার ওপরে। প্রতিবছর এ দেশে যে খরচে চাল ও গম আমদানি করা হয়, তার অর্ধেক দামে আফ্রিকা অঞ্চলের কোন দেশে জমি ভাড়া নিয়ে চাষ করা সম্ভব। বাংলাদেশ সরকারী বা বেসরকারীভাবে অথবা উভয় উদ্যোগে এভাবে ধান, গম চাষ করা যায়। এ প্রসঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন জনকণ্ঠকে বলেন, বাংলাদেশের আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা অনেক বেশি। অন্যদিকে, আফ্রিকার দেশগুলোতে জনসংখ্যা কম। এ কারণে কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়াতে সেখানকার অব্যবহৃত জমি লিজ গ্রহণের সুযোগ তৈরি হওয়া উচিত। সরকারীভাবে এই উদ্যোগ এগিয়ে নেয়া হলে সেখানে বেসরকারী খাতও সম্পৃক্ত হবে। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে উগান্ডা সরকারের প্রস্তাব অনুযায়ী নিটল-নিলয় গ্রুপ সে দেশে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। এ ছাড়া ‘ভাটি বাংলা অ্যাগ্রোটেক’ নামে দেশীয় আরেকটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান তানজানিয়ায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদের প্রস্তাব নিয়ে এগিয়েছিল। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেছে, বিদেশে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের কৃষি খাতে বিনিয়োগের অনুমোদন নেই। তা ছাড়া আফ্রিকার দেশগুলোতে কৃষিশ্রমিক বা অন্য কোন খাতে এ দেশ থেকে জনশক্তি রফতানিরও সুযোগ নেই। মূলত এই দুই কারণে উদ্যোগ দুটি আটকে যায়। এদিকে, স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলাদেশকে প্রায় প্রতিবছর চাল আমদানি করতে হয়। বন্যা, অতিবৃষ্টি ও করোনার প্রভাবে চলতি মৌসুমেও সরকারী- বেসরকারীভাবে প্রায় ২৫ লাখ টন চাল আমদানি করা হয়েছে। অপরদিকে, ঘাটতির কারণে গম আমদানি করতে হয় প্রতিবছর গড়ে ৫০ লাখ টন। প্রায় প্রতিবছর পেঁয়াজে যোগান দিতে গিয়ে সরকার বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছে। অধিকাংশ মসলা জাতীয় পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় বিদেশে জমি লিজ গ্রহণ করে কৃষি পণ্য উৎপাদন বাড়াতে সংশ্লিষ্টরা তাগিদ দিয়েছেন। খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার হবে ॥ কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে। আফ্রিকায় কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ওই মহাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখার পাশাপাশি উভয় অঞ্চলের জন্য এটি লাভজনক হবে বলে মনে করছে সরকার। সম্প্রতি কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের ওপর এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে কিভাবে এটি করা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আফ্রিকান দেশগুলোতে নিয়োজিত বাংলাদেশী শান্তিরক্ষা বাহিনীর মাধ্যমে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের জন্য ওই দেশের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব। তিনি কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের জন্য আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে নিয়োজিত বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী বাহিনীকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশে কৃষি খাতে যে উন্নতি হয়েছে সেটির সঙ্গে আফ্রিকানদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার সুপারিশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ছাড়া বৈঠকে আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের প্রতিনিধি বলেন, আফ্রিকায় কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের অনেক সম্ভাবনা আছে এবং এটিকে আমাদের খুঁজে দেখতে হবে। এ জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করে এগোনোর পরামর্শ দেন তিনি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের এই উদ্যোগে সামিল করার পরামর্শ দিয়েছেন। এ ছাড়া বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের জন্য পররাষ্ট্র, কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করতে পারে। এর জন্য নির্দিষ্ট দেশ বেছে নিয়ে পাইলট প্রকল্প হাতে নেয়ার বিষয়ে মত দেন তিনি। তিনি বলেন, সম্ভাব্য দেশের সঙ্গে এ বিষয়ে আগে একটি কাঠামো চুক্তি করতে হবে। এ ছাড়া আফ্রিকার বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষি খাতের অগ্রগতি তাদের দেখানো সম্ভব।
×