ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মাগুরায় জমি লিখে না দেয়ায় বাবার হাতের ৪টি আঙ্গুল কেটে দেওয়া বখাটে ছেলে আটক

প্রকাশিত: ২২:০০, ২৯ নভেম্বর ২০২১

মাগুরায় জমি লিখে না দেয়ায় বাবার হাতের ৪টি আঙ্গুল কেটে দেওয়া বখাটে ছেলে আটক

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাগুরা ॥ মাগুরায় জমি লিখে না দেয়ায় ছেলের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বাবা শহীদুল হকের (৭০) বাম হাতের ৪টি আঙ্গুল ও কবজি কেটে দেওয়া ছেলে মো : হানিফ ( ৪২) কে আজ সোমবার ভোর ৫টায় র্যাব-৬ যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার বালিয়া গ্রামের জনৈক রুবেল হোসেনর বাড়ি হতে গ্রেফতার করেছে। দুপুরে র্যাব-৬, সিপিসি -২ ,ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মো: শরিফুল আহসান সাংবাদিক সন্মেলনে জানান, র্যাব গয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রেখে আজ সোমবার ভোর ৫টায় তাকে যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার বালিয়া গ্রামের জনৈক রুবেল হোসেনের বাড়ি হতে গ্রেফতার করেছে। যে ভারতে পালিযে যাওয়ার চেষ্টায় ছিল । য়েখান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় সেটি বর্ডারের কাছে। গ্রেফতারকৃত মো: হানিফ একজন মদকাসক্ত। তাকে মাগুরা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। গত উল্লেখ্য , ২৩ নভেম্বর ২০২১ সকালে মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর ইউনিয়নে উথলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ছেলে পলাতক রয়েছে। শহিদুল হকের বড় ছেলে গোলাম মোস্তফাসহ স্বজনরা জানান, শহীদুল হকের ছোট ছেলে হানিফ মিয়া বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে নিয়ে পরিবার থেকে পৃথক হয়ে যায়। বাবা শহীদুল হক থাকেন বড় ছেলে গোলাম মোস্তফার সাথে। সংসার আলাদা হয়ে যাওয়ায় মাঝে মাঝেই বাবার সম্পত্তি থেকে কিছু জমি লিখে দেয়ার জন্য বাবাকে চাপ প্রয়োগ করে আসছিলেন ছোট ছেলে হানিফ। কিন্তু আচার-আচরণ ভালো না হওয়ার কারণে বাবা তাকে কোন সম্পত্তি লিখে দেন নি। এ কারণইে বাবার উপর ক্ষুদ্ধ ছিলো হানিফ। এ নিয়ে বাবা ছেলের মধ্যে প্রায়ই বিবাদ হতো। সম্পত্তি না পেয়ে অবশেষে ২৩ নবেম্বর ২০২১ সকালে সদর উপজেলার হাজরাপুর ইউনিয়নে উথলি গ্রামে একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন শহিদুল হক । এই সময় ছেলে হানিফ ছুরি দিয়ে বাবা শহীদুলকে উপর্যুপরি আঘাত করে। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার বাম হাতের ৪টি আঙ্গুলসহ কবজি কেটে পড়ে যায়। এছাড়াও মাথায় গুরুতর জখম প্রাপ্ত হয়। শহীদুল হককে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। এব্যাপারে মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
×