ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সড়ক অবরোধ বিক্ষোভ মানববন্ধন

হাফ ভাড়া ও নিরাপদ সড়কের আন্দোলন অব্যাহত

প্রকাশিত: ২২:০৯, ২৯ নভেম্বর ২০২১

হাফ ভাড়া ও নিরাপদ সড়কের আন্দোলন অব্যাহত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাসে হাফ ভাড়া ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছেই। রবিবারও রাজধানীর কয়েকটি সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। হাফ ভাড়া, নটর ডেম কলেজছাত্র নাঈমের মৃত্যুর বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে বেশ কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন রাজধানীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এ আন্দোলন দিন দিন ফুলে-ফেঁপে উঠলেও এখনও কোন সুরাহা হয়নি। বরং বাস মালিকরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নিতে পারবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে, প্রতিদিন সড়ক অবরোধের ফলে নগরবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবুও আন্দোলনের মাধ্যমেই সমাধান খুঁজছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, সড়কে হরহামেশাই শিক্ষার্থীদের প্রাণ ঝরছে। নিরাপদ সড়কের দাবি ২০১৮ সাল থেকে করা হলেও অজানা কোন কারণে কোন পক্ষই এটি করছে না। তাই ‘বারবার আশ্বাস, আর নয় বিশ্বাস’ এই ¯েøাগানকে ধারণ করে আন্দোলন চালিয়ে যেতে চান তারা। জনদুর্ভোগের স্বীকার নগরীর বাসিন্দারা বলছেন, প্রতিদিনই কোন না কোন পক্ষ বিভিন্ন দাবিতে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছে। এতে করে তারা সঠিক সময়ে অফিসে যেতে পারছেন না, সন্তানদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছাতে বেগ পেতে হচ্ছে। অনেক মুমূর্ষু রোগীর গাড়ি যানজটে আটকা পড়ছে। এভাবে আর চলা যায় না। তারাও চাচ্ছেন এ সব আন্দোলনের সুরাহা হোক। রবিবার দুপুরে ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের মোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছেন হামদর্দ পাবলিক কলেজ, লালমাটিয়া মহিলা কলেজ, মোহাম্মদপুর সরকারী কলেজ, নাখালপাড়ার শহীদ মনু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারী বিজ্ঞান কলেজ ও হলিক্রস কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা এ সময় সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে ¯েøাগান দিতে থাকে প্রতিবাদী শিক্ষার্থীরা। সকালের দিকে প্রথমে ফার্মগেট এলাকায় অবস্থান নিতে চায় শিক্ষার্থীরা। তবে সেখানে তাদের দাঁড়াতে দেয়নি পুলিশ। পরে মিছিল নিয়ে তারা ধানমন্ডি-২৭ এর দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। অবশেষে তাদের একাংশ সেখানে বসে সড়ক অবরোধ করেন। অন্যদিকে, আইডিয়ালসহ অন্যান্য কলেজের শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত, সায়েন্সল্যাব এলাকা থেকে ধানমন্ডির দিকে অগ্রসর হতে চাইলেও তাদের যেতে দেয়নি পুলিশ। পরে দুপুর ১টার দিকে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীদের আরেক অংশ ধানমন্ডি-২৭ এ গিয়ে সেখানে থাকা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিলিত হয় এবং কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। হামদর্দ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী জিসান বলেন, আমাদের নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে হবে। বারবার আমরা এ দাবি করে আসলেও কোন পক্ষই অজানা কোন কারণে আমাদের দাবি পূরণ করছে না। এটি এখন সময়ের দাবি। মোহাম্মদপুর সরকারী কলেজের ছাত্র দীপ্ত বলেন, আমরা সরকারকে সময় দিয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের দাবি মানা হয়নি। তাই আমরা ফের রাস্তায় নেমেছি। সরকারী পরিবহন বিআরটিসি হাফ ভাড়া নেবে, কিন্তু সব রুটে তো বিআরটিসি নেই। বেসরকারী বাসেও হাফ ভাড়া নিশ্চিত করতে হবে। রাপা প্লাজার সামনের প্রধান সড়ক অবরোধ করে একদল বিক্ষোভ করছেন, আরেক দল শিক্ষার্থী বাসের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং চালকের লাইসেন্স দেখে ছেড়ে দিচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যেই সাভার পরিবহন ও ঠিকানা পরিবহনে চালক পায়নি শিক্ষার্থীরা। চালকের অনুপস্থিতিতে হেলপার চালাচ্ছিলেন বাস। পরে ট্রাফিক সার্জেন্ট এসে সাভার পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব-১১-৯৭৯২) বাসটিকে ডাম্পিং করার নির্দেশ দেন আর ঠিকানা পরিবহনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে যখন আন্দোলন করছি, রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছি, তখনও চালকের আসনে হেলপারকে দেখছি। আবার চালক থাকলেও নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। কোন কোন পরিবহনের বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের আন্দোলন চলছে, চলবে। বাসসহ কোন পরিবহন যাতে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া এবং চালকের বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া চলাচল না করে সেটি দেখার জন্য আমরা ট্রাফিক পুলিশকে অনুরোধ জানিয়েছি। ঘটনাস্থলে দেখা যায়, সড়কের প্রতিটি লেনের মুখে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে সন্দেহভাজন যানবাহন বিশেষ করে বাস, মালবাহী কাভার্ডভ্যান আটকে কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখছেন। যে সব পরিবহনে বৈধ কাগজ পাওয়া যাচ্ছে না বা চালকের অনুপস্থিতি কিংবা চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই, এমন পরিবহনগুলোকে রাস্তার পাশে আটকে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া হচ্ছে। চালক ও হেলপারকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করছেন শিক্ষার্থীরা। ধানমন্ডি-২৭ নম্বর এলাকার কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট রিয়াদুল ইসলাম রিয়াদ জানান, শিক্ষার্থীরা পরিবহনের কাগজপত্র দেখছেন, বাসের ফিটনেস সার্টিফিকেটও দেখছেন। ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে বলছেন চালকদের। ঠিকানা পরিবহন, সাভার পরিবহনে আমরা ব্যত্যয় লক্ষ্য করেছি। সাভার পরিবহনে চালকের অনুপস্থিতিতে হেলপার চালাচ্ছিল বাসটি। সে জন্য সেটি ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়েছে। আর ঠিকানা পরিবহনের বাসেও আসল চালক নেই। তিনি বাস চালালেও তার লাইসেন্স নেই। সে জন্য বাসটির বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, ঢাকার সড়ক নিরাপদ নয়, শিক্ষার্থীরা হরহামেশাই মরছে। বিচার নেই, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নেই। তাই আমরা আন্দোলন করছি, নিরাপদ সড়কের দাবিতে। তাদের দাবি, ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময়ের ৯ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে। দ্রæত সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাব। হাফ ভাড়ার দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে বলে জানান তারা। শিক্ষার্থীদের অবস্থানকালে সংশ্লিষ্ট এলাকার থানা পুলিশ, ওই বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা আশপাশে অবস্থান নেন। জানতে চাইলে ধানমন্ডি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, ধানমন্ডি ২৭ নম্বর এলাকার মোড়ে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচী পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের কর্মসূচীর কারণে দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। তবে শিক্ষার্থীরা পুলিশের কথা না শুনে আন্দোলন চালিয়ে যান। পরে বেলা আড়াইটার দিকে নিজ থেকেই অবরোধ স্থগিত করে চলে যান তারা। দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের রাস্তায় অবস্থানের কারণে মিরপুর-নিউমার্কেটগামী সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ওই রুটে যান চলাচল সীমিত করে। মানিক মিয়া এভিনিউ মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের গাড়ি ডাইভারশন করতে দেখা গেছে। ধানমন্ডি-২৭ থেকে সায়েন্সল্যাবের দিকে যাওয়ার রাস্তা পুরো ফাঁকা থাকলেও ২৭ এর দিকে আসার রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া আশপাশের সড়কেও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। নিরাপদ সড়কের দাবিতে কাকরাইল ও শান্তিনগর মোড় অবরোধ করেছে হাবীবুল্লাহ্ বাহার কলেজ, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এ্যান্ড কলেজ ও ভিকারুন নিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। দুপুর দেড়টা থেকে তারা সড়কে অবস্থান করে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এ সময় তারা নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। রিতা নাহার নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ক্লিনারের হাতে কিভাবে গাড়ির চাবি তুলে দেয়া হয়। তাদের কারণে সড়কে মৃত্যু ঘটছে। আমরা আশ্চর্য হয়েছি, মেয়ররা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। রাজিব মাহমুদ নামে অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি আদায় না হবে আমরা রাস্তা ছাড়ব না। আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা আগেও আন্দোলন করেছি। কিন্তু কোন ফল পাইনি। সড়কে একের পর এক হত্যাকান্ড ঘটেই যাচ্ছে। বেলা ১১টার দিকে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে নিরাপদ সড়ক আইন বাস্তবায়ন, নটর ডেম কলেজছাত্র নাঈমের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া দ্রæত কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত মোড়ে সমবেত হন। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে সিটি কলেজের সামনের সড়কে গিয়ে অবস্থান নেন। নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম কাইয়ুম জানান, স্থানীয় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষার্থী নীলক্ষেত থেকে একটি মিছিল নিয়ে সিটি কলেজ পর্যন্ত গিয়েছে। কয়েকদিন যাবত ছাত্ররা যে সব দাবি নিয়ে রাস্তায় অবস্থান করেছিল, সেই সব দাবি নিয়ে তারা সিটি কলেজের সামনে অবস্থান নেয়। এদিকে রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামেন এক সমাবেশ থেকে সব ধরনের গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার বিধান করে রাষ্ট্রীয় প্রজ্ঞাপন জারিসহ ৩ দফা দাবি জানিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট। অন্য দাবিগুলো হলো- নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে এবং জ্বালানির দাম কমানো, বর্ধিত বাস-লঞ্চ ভাড়া প্রত্যাহার করতে হবে। সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা গণপরিবহনে হাফ ভাড়ার দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছে। দীর্ঘদিনের অসন্তোষ এখন স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভে পরিণত হচ্ছে। তিন বছর আগে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে যে দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছিল, তার কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি। বরং সড়ক-মহাসড়কে অব্যবস্থাপনা আর মৃত্যুর মিছিল ক্রমাগত দীর্ঘতর হচ্ছে। আন্দোলনরত এক ছাত্রী ও তার বাবাকে থানায় নিয়েছে পুলিশ ॥ এদিকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে দিনভর ধানমন্ডি ২৭ এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেয়া এক ছাত্রীকে তার বাবাসহ থানায় নিয়েছে তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় তাদের মোহাম্মদপুর থানায় ডাকা হয়। পরে পুলিশের ডাকে থানায় যান ছাত্রী অধরা ও তার বাবা। মোহাম্মদপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, রবিবার ধানমন্ডি ২৭ এলাকায় সকাল থেকে আন্দোলন করছিল একদল শিক্ষার্থী। দুপুরে ছাত্রী অধরা সেখানে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার পরিবেশন করেন। একই সময়ে আরেকটি ছেলেও খাবার বিতরণ করে। তবে সে ছাত্র না। ওই ছেলে ছাত্রী অধরার কাছে বিকাশ নম্বর চায় এবং টাকা পাঠানোর কথা জানায়। বিষয়টি পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারিতে এসেছে। নিরাপদ সড়ক আন্দোলন ঘিরে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা বা লেনদেনের বিষয়টি রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতেই ওই ছাত্রীকে তার বাবাসহ থানায় ডেকে নেয়া হয়েছে। আন্দোলনে অন্য কারও ইন্ধন কিংবা যোগসাজশ রয়েছে কি না- এ ব্যাপারে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরে তারা বাসায় চলে যাচ্ছেন বলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জানিয়েছেন ওসি। গত শনিবার ওখানে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারীদের পক্ষে ৯ দফা দাবি উত্থাপন, বক্তব্য ও বিবৃতি পাঠিয়েছিল ছাত্রী অধরা। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনেকেই তাদের নাম ও প্রতিষ্ঠানের নাম বলতে চাচ্ছিলেন না। তারা বলছেন, সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তাদের হুমকি দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, আন্দোলনের নামে সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে টিসি দেয়ার কথাও বলেছেন কোন কোন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। তবে কোন কোন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা তাদের তাদের এমন হুমকি দিয়েছেন, তা নিয়ে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি সরকার জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করার পর বাস ভাড়া পুনর্র্নিধারণ করা হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা বেশ কিছুদিন ধরে হাফ ভাড়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেন। এর মধ্যে সড়কে নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার পর আবারও সরব হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীরা। এর আগেও আন্দোলন করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। তাদের এ আন্দোলন যেন চলছেই।
×