ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, ৪১ বছর পূর্তির আয়োজন

প্রকাশিত: ২১:৩০, ২৯ নভেম্বর ২০২১

গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, ৪১ বছর পূর্তির আয়োজন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মঞ্চশিল্পীদের শ্রমেঘামে ধীরে ধীরে বিকশিত হয়েছে থিয়েটার চর্চা। মূলত স্বাধীনতাপরবর্তী সময় থেকেই মঞ্চনাটকের বেড়ে ওঠা। পরবর্তীতে বিস্তৃত হয়েছে মঞ্চনাটকের পরিধি। বর্তমানে দেশব্যাপী ছড়িয়ে গেছে এই শিল্পমাধ্যমটি। জেলাপর্যায় পেরিয়ে গ্রামাঞ্চলেও পরিবেশিত হচ্ছে গ্রাম থিয়েটার। আর রাজধানীসহ দেশব্যাপী থিয়েটার চর্চার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন। দেশের মঞ্চনাট্য দলগুলোর প্ল্যাটফর্ম এই ফেডারেশন। দেশের নাট্য আন্দোলনকে বেগবান করার লক্ষ্যে ১৯৮০ সালের ২৯ নবেম্বর প্রতিষ্ঠিত মঞ্চশিল্পীদের সম্মিলিত করার এই প্ল্যাটফর্মটি। সময়ের স্রোতধারায় এ বছর প্রতিষ্ঠার ৪১ বছরে পদার্পণ করেছে গ্রæপ থিয়েটার ফেডারেশন। এ উপলক্ষে আজ সোমবার ফেডারেশনের ৪১ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। হেমন্ত সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে হবে এ অনুষ্ঠান। আলোচনার সঙ্গে করোনাকালে প্রয়াত নাট্যজনদের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হবে এ আয়োজনে। আয়োজনে গ্রুপ থিয়েটার চর্চার ৫০ বছর শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। স্মরণ করা হবে করোনাকালে প্রয়াত নাট্যজনদের। স্মরণ করা হবে বরেণ্য অভিনয়শিল্পী থেকে নাট্যকার ও নাট্যকলার শিক্ষককে। তাদের মধ্যে রয়েছেন আলী যাকের, ড. ইনামুল হক, এস এম মহসিন, আবদুল কাদের, মান্নান হীরা, কে এস ফিরোজ, ড. আফসার আহমেদ, তরিকুল ইসলাম বাবু ও মাহমুদ সাজ্জাদকে। গ্রুপ থিয়েটার চর্চার ৫০ বছরবিষয়ক আলোচনায় মুখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখবেন নাট্যজন মামুনুর রশীদ। এছাড়া আলোচনায় অংশ নেবেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, আতাউর রহমান, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মফিদুল হক ও সংস্কৃতিজন গোলাম কুদ্দুছ। এর বাইরে ফেডারেশনের সভাপতিমন্ডলীর সদস্যরা বক্তব্য রাখবেন। স্বাগত বক্তব্য দেবেন ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজীদ। সভাপতিত্ব করবেন ফেডারেশনের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকী। জাতীয় ভাস্কর্য প্রদর্শনীর উদ্বোধন আজ ॥ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত পঞ্চম জাতীয় ভাস্কর্য প্রদর্শনীর উদ্বোধন আজ সোমবার। একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে বিকাল ৪টায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ । বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি সচিব মোঃ আবুল মনসুর, বরেণ্য ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান, শিল্পী অলক রায়। সভাপতিত্ব করবেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। স্বাগত বক্তব্য দেবেন সৈয়দা মাহবুবা করিম (মিনি করিম)। প্রদর্শনীর বিস্তারিত তুলে ধরতে রবিবার জাতীয় চিত্রশালা সেমিনার কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে প্রদর্শনীর বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। উপস্থিত ছিলেন একাডেমির সচিব মোঃ আছাদুজ্জামান, চারুকলা বিভাগের পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিম ও উপপরিচালক মোস্তাক আহমেদসহ অন্য কর্মকর্তাবৃন্দ। এ বছর পঞ্চম বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় ভাস্কর্য প্রদর্শনী। এবারের প্রদর্শনীতে সারাদেশ থেকে ২১ বা তদুর্ধ বয়সী ১৩৫ শিল্পীর মোট ২৫৪ টি শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর জন্য জমা পড়ে। নির্বাচকমন্ডলী বাছাই করে ১০৭ শিল্পীর মোট ১১৪ টি শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচন করেন। এছাড়া ১৬ জন আমন্ত্রিত এবং প্রয়াত ৫ জন পথিকৃৎ ভাস্করের একটি করে ভাস্কর্যও এই প্রদর্শনীতে উপস্থাপিত হবে। ৫ জন পথিকৃৎ ভাস্কর হলেন- ভাস্কর আব্দুর রাজ্জাক, ভাস্কর আনোয়ার জাহান, ভাস্কর নিতুন কুন্ডু, ভাস্কর সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। এ বছর ১৩ শিল্পীকে পুরস্কৃত করা হবে। পুরস্কার হিসেবে থাকবে ৫ম জাতীয় ভাস্কর্য পুরস্কার-২০২১ শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ১টি যার মূল্যমান ২ লাখ টাকা, ২য় পুরস্কার ১টি যার মূল্যমান ১লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৩য় পুরস্কার ১টি যার মূল্যমান ১ লাখ টাকা। এছাড়াও ১০টি সম্মানসূচক পুরস্কার যার প্রতিটির মূল্যমান ৫০ হাজার টাকা। এছাড়াও পুরস্কার প্রাপ্ত প্রত্যেককে একটি ক্রেস্ট ও একটি সনদপত্র প্রদান করা হবে। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার গ্যালারিতে প্রদর্শনী চলবে ২৯ নবেম্বর থেকে ২৮ ডিসেম্বর প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। রাধারমণ লোকসঙ্গীত উৎসবের সমাপ্তি ॥ টানা তিনদিন ধরে শহর ঢাকায় বয়ে গেল সুরের মূর্ছনা। সেই সুরভ্রমণে সঙ্গী হলো ভাটি বাংলার লোকসঙ্গীত। সেই সুবাদে শোনা হলো ফকির লালন সাঁইয়ের সুরাশ্রিত মানবতার মর্মবাণী। সন্ধ্যা থেকে শুরু রাত অবধি কেটেছে সঙ্গীতপ্রেমীদের সুন্দরতম সময়। শিকড়ের গানের টানে উৎসব আঙিনায় সমবেত হয়েছে শহরের নানা প্রান্তের হাজার হাজার মানুষ। বাউল সাধকের সৃষ্টির ঐশ্বর্য সজ্জিত সেই সঙ্গীতাসরে পরিবেশিত হলো রাধারমণ দত্ত থেকে শুরু করে হাছন রাজা, শাহ আবদুল করিম, উকিল মুন্সী, দুরবীন শাহ, জালাল খাঁসহ মরমি কবিদের রচিত অবিনাশী সঙ্গীত।
×