ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জরিমানা ৭ লাখ ৪০ হাজার দিরহাম ॥ এটাই চ‚ড়ান্ত রায়

কুয়েতে পাপুলের সাত বছরের কারাদন্ড

প্রকাশিত: ২১:২৬, ২৯ নভেম্বর ২০২১

কুয়েতে পাপুলের সাত বছরের কারাদন্ড

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কুয়েতে আবারও কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে লক্ষীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে। এবার মানবপাচার মামলায় তাকে ৭ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন কুয়েতের একটি আদালত। এর আগে কুয়েতের বহুল আলোচিত অর্থ ও ঘুষের মামলায় তাকে চার বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। দেশে বিদেশে তোলপাড়কারী এই কান্ডে পাপুলকে হারাতে হয়েছে সংসদ সদস্যপদ। যে কারণে তিনি এখন সাবেক সাংসদ হিসেবে পরিচিত। প্রথমবার একটি হাইপ্রোফাইল মানবপাচার মামলায় সাবেক এই বাংলাদেশী এমপিকে সাত বছরের কারাদন্ড এবং ২৭ লাখ কুয়েতি দিনার জরিমানা প্রদানের আদেশ দিয়েছেন কুয়েতের শীর্ষ আপীল আদালত। পাপুল ছাড়াও কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডারসেক্রেটারি মেজর জেনারেল মাজেন আল-জাররাহ, জনশক্তি পরিচালক হাসান আল খিদরকেও ৭ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া কুয়েতের ওই সরকারী কর্মকর্তাদের ঘুষের মামলায় নিজ নিজ পদ থেকে বহিষ্কারেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কুয়েতের সাবেক এমপি সালাহ খুরশিদকেও সাত বছরের কারাদন্ড এবং প্রায় সাড়ে সাত লাখ কুয়েতি দিনার জরিমানা করা হয়েছে। জানা গেছে, পাপুল নিজে এক জনশক্তি রফতানিকারক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। আদম ব্যবসায় তিনি রাতারাতি হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাবার পর টাকার জোরে মনোনয়ন নিয়ে সাংসদ হবারও সৌভাগ্য অর্জন করেন। এ অবস্থায় হঠাৎ কুয়েতে মানবপাচারের অভিযোগ ফাঁস হয়ে যায়। জানা গেছে, কুয়েতে বসবাস করা অবস্থাতেই সেখানকার মিডিয়ায় তার নামে মানবপাচার ও সরকারী কর্মচারীদের ঘুষ প্রদানের কাহিনী ফাঁস হয়। এরপর গত ৬ জুন কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগ পাপুলকে গ্রেফতার করে। সে সময় গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাপুলের বিরুদ্ধে কুয়েতের সরকারী কৌঁসুলিরা তিনটি অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগগুলো হলো- মানবপাচার, অবৈধ মুদ্রাপাচার এবং স্বদেশী কর্মীদের কাছে রেসিডেন্ট পারমিট বিক্রি। পাঁচ বাংলাদেশী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার পর পাপুলকে গ্রেফতার করা হয়। পাপুল তাদের কুয়েতে পাঠানোর জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে সোয়া আট লাখেরও বেশি করে টাকা নিয়েছেন। এছাড়া রেসিডেন্সি ভিসা নবায়নের জন্য প্রতিবছর পাপুলকে নতুন করে অর্থ প্রদান করতে হতো তাদের। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে, তিনি কুয়েতে সরকারী কর্মকর্তাদের ঘুষ হিসেবে পাঁচটি বিলাসবহুল গাড়ি সরবরাহ করেছিলেন, যাতে তিনি সেখানে যে সংস্থাটি চালাচ্ছিলেন তার চুক্তি পেতে পারেন। এসব অভিযোগে ঢাকায়ও দুদকের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তার স্ত্রী, শ্যালিকা ও বোনকে।
×