ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু ও ’৭৫ পরবর্তী হত্যাকান্ড ॥ চাই তদন্ত কমিশন

প্রকাশিত: ২১:০৯, ২৯ নভেম্বর ২০২১

বঙ্গবন্ধু ও ’৭৫ পরবর্তী হত্যাকান্ড ॥ চাই তদন্ত কমিশন

(গতকালের পর) নেত্রী শেখ হাসিনা সঠিকই বলেছেন, শেরেবাংলা নগরে থাকা কবরটি তার নয়। আমরাও লক্ষ্য করেছি, যারা সেই কবরে মাঝে মাঝে বিলাপের উদ্দেশ্যে গিয়ে হাসাহাসি করেন তাদের মাঝে শোকের কোন মুখচ্ছবি দেখা যায় না। মাঝে মাঝে নিজেরাও কলহে লিপ্ত হন। বঙ্গবন্ধু খুনসহ উপরোক্ত সকল প্রেক্ষাপট যদি বিবেচনা করা হয় তবে এক বাক্যে এটাই বলা যায় যে, বিশ্বাসঘাতক এই খুনী জিয়ার জন্য কোন সমাধি তো নয়ই, বরং অপরাধের শাস্তি হিসেবে ঘৃণাস্তম্ভ করার বিষয়টি এখন জাতি প্রত্যাশা করে। খেতাব প্রত্যাহারের দ্বিধাদ্ব›েদ্ব আমার যেন কেন মনে হয়, কৌশলী অবস্থান কখনই এদের হাত থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ষা করা যাবে না। কারণ, তারা এখন প্রতি বিপ্লবের ভ‚মিকায় রয়েছে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ দাবি করে যে, যে কর্নেল তাহের জিয়াকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেছিল তাকেই ঠান্ড মাথায় খুন করেছে জিয়াউর রহমান। কর্নেল তাহের ও জিয়ার মধ্যে ১৫ আগস্ট ও ২ নবেম্বর নিয়ে কী সমঝোতা হয়েছিল কর্নেল তাহের জীবিত থাকলে তা কী ফাঁস হয়ে যেত? এ কারণেই কি তাহের হত্যাকান্ড? এসব প্রশ্ন মানুষের মনে ঘুরপাক খায়। অনেকে এই পরিষ্কার ধারণাও করেন যে, বঙ্গবন্ধু হতাকান্ডের ব্যাপারে এদের মধ্যে অশুভ আঁতাত ছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পুরস্কৃত করার বিষয়টি উল্লেখ না করলেই নয়। এই পুরস্কারের মধ্যে ছিল কে.এম মহিউদ্দিন আহমেদকে আলজিরিয়ায় দ্বিতীয় সচিব নিয়োগ; লে. কর্নেল শরীফুল হক ডালিমকে চীনে প্রথম সচিব; আজিজ পাশাকে আর্জেন্টিনার প্রথম সচিব; মেজর বজলুল হুদাকে পাকিস্তানে দ্বিতীয় সচিব; মেজর শাহরিয়ার রশীদকে ইন্দোনেশিয়ায়; মেজর রাশেদ চৌধুরীকে সৌদি আরবে; মেজর নূর চৌধুরীকে ইরানে; মেজর শরিফুল হোসেনকে কুয়েতে; কিসমত হাসেমকে আবুধাবি; লে. খায়রুজ্জামানকে মিসর; লে. নাজমুল হোসেনকে কানাডা এবং লে. আবদুল মাজেদকে সেনেগালে নিয়োগ করেন। শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ড পরবর্তী সময়ে সরাসরি জড়িত সামরিক অফিসারদের বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে সচিব পর্যায়ে চাকরিদানের এ বিষয়টি হত্যাকান্ড জিয়াউর রহমানের জড়িত হওয়ার বিষয়টি আরও সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণ করে দেয়। মেজর রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও একজন প্রত্যক্ষদর্শী সামরিক কর্মকর্তার দাবি, মুজিব হত্যার পর উল্লসিত হয়ে জিয়াউর রহমান মেজর ডালিমকে বলেন, ‘তুমি একটা দারুণ অসাধারণ কাজ করেছো। আমাকে চুমু খাও। আমাকে চুমু খাও।’ তারপর জিয়া গভীর আবেগে ডালিমকে জড়িয়ে ধরেন। প্রখ্যাত সাংবাদিক লরেন্স লিফশুজের বলেছিলেন, জিয়া মুজিব হত্যার নেপথ্যচারী ‘প্রধান ছায়ামানব’ (The key shadwo man)। তার মতে, ‘(প্রাপ্ত) তথ্যপ্রমাণ উল্লেখযোগ্যহারে এ ব্যাপারে ইঙ্গিত করে যে, জিয়া ছিলেন এই অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান নক্সাকার এবং তিনি খন্দকার মোশতাক আহমেদের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি ভ‚মিকা পালন করেছিলেন।’ বাহাত্তর-পরবর্তী বামপন্থী শক্তির উত্থানও শেখ মুজিব হত্যার অন্যতম পটভ‚মি সৃষ্টি করেছিল। এক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের বুলি আওড়িয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) আওয়ামী লীগবিরোধী কার্যকলাপ এক্ষেত্রে ন্যক্কারজনক ভ‚মিকা পালন করে। স্বাধীনতার কয়েক মাসের মধ্যে জাসদ গঠন এবং বিপ্লবের নামে সিরাজ সিকদারের উত্থানও পটভ‚মি সৃষ্টির সহায়ক। বলা হয়ে থাকে, ১৯৭২ সালে সংবিধানে সংযোজিত অবাধ গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকারকে অবাধ অপকর্মের সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করেছিল অপশক্তি। গোপনে গঠন করেছিল সশস্ত্র দল ও স্কোয়াড বাহিনী। খুন-হত্যা, রাহাজানি, ডাকাতি জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল তারা। জাসদের বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার সহ-সভাপতি মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে ৪৭টি থানা লুটের ঘটনা ও মুজিব হত্যায় নিজেদের দায় স্বীকার করেন। [ফ্যাক্টস এ্যান্ড ডকুমেন্টস : বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড; অধ্যাপক আবু সাইয়িদ] সুশৃঙ্খল ও নিয়মিত সেনাবাহিনীতে কর্নেল তাহেরের বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যই বা কী ছিল? সে বিষয়টিও উদ্ঘাটন হওয়া উচিত। সব মিলিয়ে কর্নেল আবু তাহেরের নেতৃত্বে জাসদের সশস্ত্র শাখা আওয়ামী লীগবিরোধী অভ্যুত্থানে লিপ্ত হয় বলে ধারণা পাওয়া যায়। এখনও প্রশ্ন জাগে, জাসদ কেন এবং কী উদ্দেশ্যে তৎকালীন ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী সমর সেনকে অপহরণ করেছিল? পরবর্তীতে এভাবেই দেশের আইনশৃঙ্খলায় ভাঙ্গন ধরানো এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পথ সুগম করা হয়। এর বাইরেও পাকিস্তানপন্থী হিসেবে মুসলিম লীগ, ভারতবিরোধী হিসেবে চীনপন্থী এবং স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর অবস্থানও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারে ভাঙ্গন ধরিয়ে খুনী মোশতাক যে পাকিস্তানের সঙ্গে আপোসের প্রাণান্তকর চেষ্টা করেছিলেন সেটা তো সকলের জানা। ষড়যন্ত্রের বীজ তো সেখানেই বপিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সময় মোশতাকের বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে কে এম ওবায়দুর রহমান, শাহ মোয়াজ্জেম, নুরুল ইসলাম মঞ্জুর, তাহের উদ্দিন ঠাকুর, আমলা মাহবুবুল আলম চাষীসহ অনেকের ভ‚মিকাও প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। ১৯৭৫-এর ৩ নবেম্বর অভ্যুত্থানের পর জিয়াউর রহমান ও খুনী মোশতাককে রক্ষার যে প্রত্যক্ষ চেষ্টা জেনারেল ওসমানী ও বিডিআর প্রধান খলিলুর রহমান করেছিলেন তা আজ দেশবাসীর অজানা নয়। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের কুশীলবদের চিহ্নিত করার প্রশ্নে তদন্ত কমিশন গঠনের বিষয়টি সরকারী নীতিনির্ধারণী মহল থেকে বছরের পর বছর ঘোষণা করা হলেও তা এখনও বাস্তব রূপ পায়নি। দীর্ঘ ছেচল্লিশ বছর পরও হয়নি এই কমিশন। অথচ ইতিহাসের কলঙ্কিত ওই হত্যাযজ্ঞের নেপথ্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কারা, কিভাবে জড়িত ছিলেন এই মর্মে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি বারবার উঠেছে। অনেক নীতিনির্ধারণী নেতাও ইতোপূর্বে কমিশন গঠনে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তবে তা এখনও রূপ পায়নি। ২০২০ সালের আগস্ট মাসে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের খলনায়কদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন গঠনে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানান। ওই সময় তিনি বলেন, এই হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত সাবেক সেনা সদস্যদের বিচার হলেও এর পেছনের রাজনীতি এবং ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে তদন্ত হয়নি। মূলত সেটা খুঁজতেই তদন্ত কমিশন হবে। বিবিসিকে দেয়া আইনমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী গত এক বছরেও তদন্ত কমিশনটির উদ্যোগে মাত্র একবার প্রাথমিক আলোচনার সুযোগ পেয়েছে। সর্বশেষ আগস্টে দেয়া আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হকের বক্তব্য অনুযায়ী এই কমিশনের রূপরেখা ও কার্যাবলী কী হবে এবং কাদের দ্বারা এই কমিশন গঠিত হবে এখনও পর্যন্ত সেসব বিষয় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে। কমিশন গঠনে আইনগত ভিত্তি হলো- The Commission of inquiry Act, 1956 (Act No VI of 1956). একদল সেনা কর্মকর্তা এই হত্যাকান্ডে নেতৃত্ব দিলেও এর পেছনে যে দেশী-বিদেশী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ছিল তা তো বারবারই স্পষ্ট হয়েছে। তাহলে এটি গঠনে বাধা কোথায়? জাতির পিতার হত্যার বিচার পেতে কেন আমাদের বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল? যারা এটা রুখতে চেয়েছিলেন তাদেরইবা উদ্দেশ্য কী ছিল? তারা কাদেরকে রক্ষা করতে চান? বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ঘটনার আদ্যোপান্ত জানেন এখনও এমন অনেকে জীবিত আছেন। তথ্য প্রাপ্তির জন্য -Secret Documents of Intelligence Branch on Father of The Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman; মিজানুর রহমান খানের ‘মার্কিন দলিলে মুজিব হত্যাকান্ড’; আবদুল গাফ্্ফার চৌধুরীর ‘ইতিহাসের রক্তপলাশ পনেরোই আগস্ট পঁচাত্তর’; এ. এল. খতিবের হু কিল্ড মুজিব’; অধ্যাপক আবু সাইয়িদের ‘ফ্যাক্টস এ্যান্ড ডকুমেন্টস বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড’; জাহিদ নেওয়াজ খানের ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড: সামরিক ও গোয়েন্দা ব্যর্থতার প্রামাণ্য দলিল’; জগলুল আলমের ‘মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের গোপন দলিল : বাংলাদেশ– ভারত পাকিস্তান’; ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) এম. সাখাওয়াত হোসেনের ‘বাংলাদেশ : রক্তাক্ত অধ্যায় ১৯৭৫-৮১’; মে. জে. মুহাম্মদ খলিলুর রহমানের ‘কাছে থেকে দেখা (১৯৭৩-১৯৭৫)’; লে. কর্নেল (অব) এম এ হামিদ পিএসসির ‘তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা’; মহিউদ্দিন আহমদের ‘৩২ নম্বর পাশের বাড়ি : ২৫ মার্চ ১৫ আগস্ট’; এ্যাডভোকেট সাহিদা বেগমের ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা’; মেজর রফিকুল ইসলাম পিএসসির ‘পঁচাত্তরের রক্তক্ষরণ’ ছাড়াও অগণিত বইয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রেক্ষাপট রচনাসহ আগে-পরের ঘটনাগুলো সন্নিবেশিত আছে। সরকারের গোয়েন্দা বাহিনীকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি এসব গ্রন্থ ঘাঁটলেই হত্যায় রাজনৈতিক দিকসহ নানা প্রেক্ষাপট সবার সামনে ফুটে উঠবে। মুক্তিযুদ্ধের একজন গবেষক মাহমুদুল হাসানের গবেষণালব্ধ প্রতিবেদনও এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা রাখতে পারে। মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলজ ১৯৭৯ সালে লিখিত Bangladesh : The Unfinished Revolution গ্রন্থে বলেছেন, অতি তুচ্ছ আওয়ামী লীগ নেতা কর্তৃক একজন সামরিক কর্মকর্তার স্ত্রী লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়নি। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ দীর্ঘদিন আগেই নানা মাধ্যমে হত্যাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছিল। প্রায় একই বক্তব্য দিয়েছেন অপর মার্কিন নাগরিক ও ঐতিহাসিক Professor Stanley Wolpert ১৯৯৩ সালে তার লিখিত Zulfi Bhutto of Pakistan: His Life and Times Professor Stanley Wolpert বইয়ে বলেন, মুজিব হত্যাকান্ডে বামপন্থী কমরেড আবদুল হকের পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। এদিন ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি, তাঁর সঙ্গে তারা বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। স্বভাবতই মাত্র ৬ জন সামরিক কর্মকর্তার ফাঁসি কার্যকর বিচারের ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। এই ষড়যন্ত্রে কারা মদদ দিয়েছে, কারাইবা হত্যার প্রেক্ষাপট রচনা করেছে, কারা দেশকে পাকিস্তানী ভাবধারায় ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিল, কেনই-বা মাত্র কয়েকজন বাদে বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার প্রায় সকল সদস্য মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছিলেন, দায়িত্ববান হওয়া সত্তে¡ও দায়িত্ব পালন না করে প্রকারন্তরে খুনীদের সহযোগিতা করেছে- এই সবকিছুরই বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। অতি বিলম্ব হলেও এই মুহূর্তে কমিশন এখন ‘অতি জরুরী’ বলে দেশবাসী মনে করে। তা না হলে জাতি হিসেবে আমরা সম্পূর্ণভাবে দায়মুক্ত হতে পারব না। আমরা চাই এ বছরই তদন্ত কমিশন গঠন হোক ও টার্মস অব রেফারেন্স অনুযায়ী কাজ শুরু করুক- এটাই জাতির প্রত্যাশা। (সমাপ্ত) লেখক : বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
×