ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিভিন্ন কেন্দ্রে সংঘর্ষে আহত ৩০, স্থগিত ৩ কেন্দ্র

ইউপি নির্বাচন : জামালপুর সংঘর্ষ থামাতে এক কেন্দ্রে পুলিশের ফাঁকাগুলি

প্রকাশিত: ২০:৪৪, ২৮ নভেম্বর ২০২১

ইউপি নির্বাচন : জামালপুর সংঘর্ষ থামাতে এক কেন্দ্রে পুলিশের ফাঁকাগুলি

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর ॥ তৃতীয় ধাপে রবিবার জামালপুরের মেলান্দহ ও ইসলামপুর উপজেলার ১৫টি ইউপি নির্বাচনে কয়েকটি কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত:পক্ষে ৩০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। ইসলামপুর উপজেলার একটি কেন্দ্রে সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছুড়েছে। ব্যালট পেপার ছিনতাই ও সংঘর্ষের জের ধরে মেলান্দহ উপজেলায় তিনটি কেন্দ্র স্থগিত করেছেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ভোট গ্রহণ চলাকালে রবিবার বেলা ১২টার দিকে জেলার মেলান্দহ উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নিয়নের মরজিনা হাফিজিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে ঢুকে জোর করে ব্যালট পেপারে সিল মারাকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৮ জন গুরুতর আহত হন। এ সময় বেশকিছু ব্যালট পেপার খোয়া গেছে। এই কেন্দ্রটির ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। একই উপজেলার চরবানিপাকুরিয়া ইউপির মধ্যেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রকাশ্যে সিল মেরে ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। সেখানে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শাহাদাৎ হোসেনের সমর্থক ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মহিউদ্দিনের আনারস প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার পর কেন্দ্রটি স্থগিত করা হয়েছে। অপরদিকে চারবানিপাকুরিয়া ইউপির ভাবকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হন। এ উপজেলার নয়ানগর ইউপির ভুরুঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। বেলা ১০টার দিকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যানপ্রার্থী মো. শফিউল আলমের সমর্থক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে জোর করে নৌকা প্রতীকে সিল মারার সময় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মির্জা ওয়াহাব জামালের সমর্থকরা বাঁধা দিতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় বেশ কয়েকটি ব্যালট বই ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। ছিনতাই হওয়া ব্যালট পেপার উদ্ধার করতে না পারায় এই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এসব সংঘর্ষে অন্তত:পক্ষে ৩০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৪ জনকে মেলান্দহ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গুরুতর আহত ১১ জনকে জামালপুর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। মেলান্দহ উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার আনোয়ার মাহমুদ কুলিয়া, চরবানিপাকুরিয়া ও নয়ানগর ইউনিয়নের তিনটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। অপরদিকে জেলার ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের সুরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা ১২টার দিকে দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছুঁড়ে। প্রায় এক ঘণ্টা স্থগিত থাকার পর পুনরায় সেখানে ভোট গ্রহণ করা হয়। ইসলামপুর উপজেলা রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন অফিসার হোসনে আরা জনকণ্ঠকে জানান, সুরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গোলযোগ ছাড়া এ উপজেলায় আর কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিকেল ৪টার পর থেকে কেন্দ্রগুলোতে ভোট গণনা চলছে।
×