ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর ডাকে সকলে মিলে এদেশ স্বাধীন করেছি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৭:০৫, ২৮ নভেম্বর ২০২১

বঙ্গবন্ধুর ডাকে সকলে মিলে এদেশ স্বাধীন করেছি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি কুচক্রীমহল দেশের সম্প্রীতি পরিবেশ বিনষ্ট করতে চায় বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ‘এদেশে যখন জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস উত্থান হয়েছিল, তখন আমরা সকলে মিলেই জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করেছি।’ রবিবার (২৮ নবেম্বর) ঢাকায় তেজগাঁও চার্চ কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানও বক্তৃতা করেন। বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং, অ্যাডভোকেট ঝর্ণা গ্লোরিয়া সরকার এবং বাংলাদেশের কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’ রোজারিও, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ, দি খ্রিস্টান কো- অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট পঙ্কজ গিলবার্ট কস্তা উপস্থিত ছিলেন। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘হাজার বছর ধরে সকল ধর্মের মানুষের বসবাস এদেশে। সকল ধর্মের মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা সকলে মিলে যুদ্ধ করে এদেশ স্বাধীন করেছি। এদেশে যখন জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস উত্থান হয়েছিল, তখন আমরা সকলে মিলেই জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করেছি।’ অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে দেশের সম্প্রীতি পরিবেশ বিনষ্ট করতে চায় একটি কুচক্রীমহল। কোনোভাবেই তাদের উদ্দেশ্য সফল হতে দেওয়া হবে না।’ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের অসারতা বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি সকল ধর্মের অনুসারীদের জন্য বাসযোগ্য ও নিরাপদ একটি দেশের স্বপ্ন গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে সংবিধানের অন্যতম মূলনীতি হিসেবে ধর্ম নিরপেক্ষতাকে সংযোজন করেছিলেন।’ তিনি বলেন, ‘গত ১২ বছরে ট্রাস্টের এনডাওমেন্ট তহবিলের আয় থেকে ৪৭২টি চার্চ, গির্জা, উপাসনালয় নির্মাণ, সংস্কার, মেরামত ও উন্নয়নের জন্য ২ কোটি ৩৯ লাখ ৭৩ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। ৫৫টি গির্জা ও সেমিট্রিতে ৮১ লাখ ২০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। শুভ বড়দিন-২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ খ্রিস্টাব্দ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল হতে দুই কোটি ৫০ লাখ টাকা ৪০২টি চার্চ, গির্জা, উপাসনালয়ের অনুকূলে অনুদান প্রদান করা হয়েছে।’
×