ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্মান্ধরা গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ বিএনপিকে অরাজনৈতিক আন্দোলন থেকে সরে আসার আহ্বান

স্বৈরাচার দমন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রাণ দিয়েছেন ডা. মিলন : কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৯:২৪, ২৭ নভেম্বর ২০২১

স্বৈরাচার দমন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রাণ দিয়েছেন ডা. মিলন : কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার॥ কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ধর্মান্ধরা গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এ দেশের মানুষকে বার বার আন্দোলন করহেয়ছে। পাকিস্তান আমলে বার বার গণতন্ত্রের ওপর আঘাত এসেছে। তবে সবচেয়ে দুঃখজনক হলো স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৯০ সালেও স্বৈরাচার দমন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শহীদ ডা. মিলনকে প্রাণ দিতে হয়েছে। শহীদ হয়েছেন নূর হোসেনসহ অনেকে। শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে মিলন চত্বরে শহীদ ডা. মিলন দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ৩১তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) আয়োজিত অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পথ পেরিয়েই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ গণতন্ত্র রক্ষায় আমাদের সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে। ধর্মান্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যেন আর কোনো দিন ক্ষমতায় আসতে না পারে এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। এসময় তিনি সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি নানান অজুহাত ও অরাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে আন্দোলনের নামে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করে বলেন, বিএনপির পায়ের নিচে মাটি নেই। তারা আন্দোলন করে, ধর্মকে ব্যবহার করে ধর্মান্ধদেরকে সাথে নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। তাদেরকে মনে রাখতে হবে ক্ষমতায় আসতে হলে মানুষের কাছে যেতে হবে, মানুষের মন জয় করতে হবে। তিনি বলেন, দেশে জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, চোরাগলি পথে অগণতান্ত্রিকভাবে ও ধর্মকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় আসতে চায় তারা এ গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র লিপ্ত। গণতন্ত্রকে নির্মূল ও নির্বাসনে পাঠাতেই তারা অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, বিএমএর মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক টিটু মিয়া। এসময় জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আক্তার বলেন, ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় গুলিতে নিহত হন ডা. শামসুল আলম খান মিলন। তার রক্তদানের মধ্য দিয়ে আন্দোলনে সেদিন নতুন গতিবেগ সঞ্চারিত হয়। পরে ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সেই সময়ের স্বৈরশাসনের পতন ঘটে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। বিএমএর মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, ডা. মিলন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের তৎকালীন যুগ্ম-মহাসচিব ছিলেন। তিনি ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের একটি সভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ঘাতকদের গুলিতে শহিদ হন। যা বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ মোড় ছিলো। আমরা শহীদ ডা. মিলনের আত্মার শান্তি কামনা করছি। এসময় আওয়ামীলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল বলেন, শহীদ ডা. মিলনের মতো আরও অনেকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৯০ সালে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে। দেশের প্রতিটি গণতন্ত্রকামী মানুষ এসব বীর শহীদের অবদান চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
×