ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আইনী পরামর্শ দেয়ায় জাবি ছাত্রকে মারধর

প্রকাশিত: ১৭:২৪, ২৭ নভেম্বর ২০২১

আইনী পরামর্শ দেয়ায় জাবি ছাত্রকে মারধর

জাবি সংবাদদাতা ॥ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরির প্রলোভনে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ভুক্তভোগীকে আইনী পরামর্শ দেওয়ায় আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থী আশুলিয়া থানায় একটি এফআইআর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর অভিযোগ পত্র দিয়েছে। মারধরের শিকার শিক্ষার্থীর নাম আব্দুল্লাহ বিন মাসুদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। মারধরকারী শিক্ষার্থীর নাম ফরহাদ হোসেন আবীর। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৪৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী। অভিযোগ পত্র সূত্রে জানা যায়, মীর মোশাররফ হোসেন হলের সাবেক হেড গার্ড মো. আব্দুল জলিলের মেয়কে চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিরাপত্তা শাখার হিসাবরক্ষক মো. হাসান ইমাম ১১ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন। পরবর্তীতে চাকুরী দিতে না পারায় দেড় লক্ষ টাকা ফেরৎ দিলেও সাড়ে নয় লক্ষ টাকা তিনি ফেরৎ দেননি। টাকা ফেরতের জন্য ভুক্তভোগীর ছেলে মো. মামুন- আইনী পরামর্শ চায় মাসুদের কাছে। এর জের ধরেই হাসান ইমাম ১৫ নবেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গেরুয়া বাজারে ফরহাদ হোসেন আবীরকে দিয়ে মাসুদকে হুমকি প্রদান এবং মারধর করে। মাসুদ বলেন, “গত ১৫ নবেম্বর রাতে নৃবিজ্ঞান ৪৪ ব্যাচের মো. সাব্বির হোসেন নাহিদ রাত ৮ টায় আমাকে ফোন দিয়ে আমার পরিচয় জিজ্ঞাসা করে। সেসময় আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী গেরুয়া বাজারের অবস্থান করছিলাম। কিছুক্ষণ পরে ফরহাদ হোসেন আবীর গেরুয়া বাজারে এসে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে।” মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে সাব্বির হোসেন নাহিদ জানিয়েছেন, নিরাপত্তা শাখার গার্ড সামছুল হক তাকে ওনার বিষয়ে খোঁজ নেয়ার জন্য বলেছিলেন। বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সামছুল হক। তবে সামছুল হকের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত হাসান ইমাম বলেন, “যারা মারধর করেছে তাদের কাউকে আমি চিনিনা। একদিন রাতে তারা ৩০-৩৫ জন আমার বাসায় এসেছিল। আমি বিষয়টি ভাতিজা সামছুলকে(নিরাপত্তা শাখার গার্ড) জানিয়েলিাম।” তবে চাকরি দেয়ার নামে টাকা নেয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার কলে বলেছেন, “আমি বরং তাদের উপকার করতে চেয়েছিলাম।” মারধরের ঘটনার বিষয়ে ফরহাদ হোসেন আবির বলেন, “তাকে মারা হয় নাই, কথা বলার সময় শুধু টানাটানি করা হয়েছিল।” তবে গেরুয়া বাজারে প্রত্যক্ষদর্শীরা মারধরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ. স. ম. ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, “ইতোমধ্যে আমরা উভয় পক্ষের সাথে কথা বলেছি। প্রাথমিক প্রতিবেদন শেষে বিষয়টি শৃঙ্খখলা কমটিতে উত্থাপন করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনানুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যববস্থা নেওয়া হবে।” এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, “এ বিষয়টি সম্বন্ধে এখনও জানিনা। আমি বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিব।”
×