ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলায় গুলি করে যুবলীগ নেতা হত্যায় গ্রেফতার ১, ১৬ জনকে আসামী করে মামলা

প্রকাশিত: ১৬:৪৯, ২৭ নভেম্বর ২০২১

ভোলায় গুলি করে যুবলীগ নেতা হত্যায় গ্রেফতার ১, ১৬ জনকে আসামী করে মামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা ॥ ভোলায় যাত্রীবাহী ট্রলারে সন্ত্রাসীদের গুলিতে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম টিটু নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ আবুল বাশার নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার রাতে ভোলা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলি বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। যুবলীগ নেতা টিটুর ভাই ভূট্টু বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এদিকে নিহত যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম টিটুর মৃতদেহ শনিবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভোলা মডেল থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, ভোলা সদরের তুলাতুলি বাজার এলাকা থেকে আবুল বাশার কে নামে এক ব্যক্তিকে শুক্রবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে। নিহত টিটুর ভাই ভূট্টু বাদী হয়ে দৌলতখানের মদনপুর ইউনিয়নের পরাজিত স্বতন্ত্র ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী সকেট জামালকে প্রধান করে ১৬ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। উল্লেখ্য, গত ১১ নবেম্বর মদনপুর ইউনিয়নের নির্বাচনে নৌকর চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসির উদ্দিন নান্নু ডাক্তার বিজয়ী হয়। নব নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানের আমন্ত্রনে দাওয়াত খেতে তার নেতাকর্মীসহ লোকজন শুক্রবার মদনপুর চরে যায়। দুপুরে দাওয়াত খেয়ে বিকালে নাসির উদ্দিন নান্নু ডাক্তার তার কর্মীদের নিয়ে এবং প্রায় ৬০/৭০ জন খেয়া ট্রলারে দৌলতখানের মদনপুর থেকে সদরের নাসিরমাঝি ঘাটের উদ্দ্যোশে ট্রলারে ফিরছিলো। নাসির মাছি ঘাটের কাছে একটি স্পীড বোট থেকে অস্ত্রধারীরা গুলি চালায়। এতে মাথায় গুলি বিদ্ধ হয়ে নিহত হয় যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম টিটু। এসময় আবদুল খালেক,হারুনসহ ৩ জন আহত হয়েছে। ছকেট জামাল গ্রুপ এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন টিটুর স্বজনরা। এ ব্যাপারে মদনপুর ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন নান্নু ডাক্তার জানান, ছকেট জামাল চরে ছিলো। তার সাথে দেখা হয়েছে। নাসির উদ্দিন নান্নু ডাক্তারকে মারার জন্য তারা (ছকেট জামাল) পরিকল্পনা করে আমার পিছু নেয়। কিন্তু আল্লাহর রহমতে জনগনের জন্য পারেনি। যখন আমরা নৌকা ছেড়ে মাঝামাঝি আসি। তখন স্প্রীডবোট দিয়ে তারা এসে গুলি ছুরে। তখন নান্নু ডাক্তার ইঞ্জিন চালিত নৌকা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে। এলোপাথারি গুলিতে টিটুর মাথায় লাগে। তাদের একটি স্পীডবোট ডুবে যায়। এক পর্যায়ে অপর আর একটি স্প্রীডবোট যোগে হামলাকারী অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যায়। তবে ব্যাপারে দৌলতখানের মদনপুর ইউনিয়নের পরাজিত স্বতন্ত্র ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী সকেট জামালের মোবাইল বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
×