ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

একি সাধ, সেকি লাজ!

প্রকাশিত: ২২:২০, ২৭ নভেম্বর ২০২১

একি সাধ, সেকি লাজ!

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও ক্রিকেটে পাকিস্তানের সমর্থক। খেলায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তার প্রিয় দলকে উৎসাহ দেয়ার জন্য জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছিল পাকিস্তানী জার্সি গায়ে দিয়ে। চোখে পড়ামাত্রই আচমকা ধাওয়া। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধরা জার্সি খুলে নিয়ে চড়াও হতেই কোনরকমে দৌড় দিয়ে ডোবায় লাফিয়ে পড়ে রক্ষা। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রাম মহানগরীর সাগরিকায়। পাকিস্তান সমর্থক এ যুবক এসেছিল সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ দেখতে। ঢাকার মিরপুরে যেভাবে পাকিস্তানের জার্সি ও পতাকা নিয়ে ঢুকেছিল কিছু সমর্থক, ঠিক সেভাবেই সাগরিকায় প্রবেশের জন্য এসেছিল সে। পাকি জার্সি গায়ে দেয়া এ যুবক দৃষ্টিগোচর হয় সেখানে থাকা মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের সদস্যদের। তারা প্রথমে এসে জানতে চান, বাংলাদেশ না পাকিস্তানের নাগরিক? জবাবে যুবক জানায়, সে বাংলাদেশী। তবে ক্রিকেট খেলায় পাকিস্তানের সমর্থক। খেলাটা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হলেও পাকিস্তানকে সমর্থন কেন, এ প্রশ্নের কোন সদত্তোর দিতে পারেনি সে। ঠিক তখনই মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের সদস্যরা ঝাপটে ধরে জার্সি খুলে নেয়। এরপর আত্মরক্ষায় সে যুবক দৌড়াতে থাকে। তার পিছু ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে ময়লা আবর্জনায় ভর্তি ডোবায় ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজকে রক্ষা করে এই পাকি সমর্থক। মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোঃ হাসান সাংবাদিকদের জানান, কোন পাকিস্তানী নাগরিক যদি জার্সি বা নিজেদের পতাকা নিয়ে মাঠে আসতে চায় তাকে আমরা বাধা দেব না। কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলায় কোন বাংলাদেশী নাগরিক পাকিস্তানের জার্সি বা পতাকা বহন করে তাহলে ছাড় দেয়া হবে না। এ জন্য সকল প্রবেশ পথেই তাদের অবস্থান রয়েছে। তিনি বলেন, এ যুবককে আমরা স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে দিইনি। সেখানে উপস্থিত অনেকেই ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, এ ধরনের কাজ করে যারা তারা দেশদ্রোহী। বাঙালী হয়েও পাকিস্তানের পতাকা যারা ওড়ায়, তারা রাজাকারের বংশধর। বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে প্রতিপক্ষকে সমর্থন করা মেনে নেয়া যায় না। নিজ দেশের প্রতি সম্মান, ভালবাসা নেই তার। এটি দেশবিরোধী কাজ। এ ধরনের কর্মকা- চলতে দেয়া যায় না।
×