ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

টালবাহানার শেষ নেই আলেশা মার্টের

প্রকাশিত: ২৩:১০, ২৬ নভেম্বর ২০২১

টালবাহানার শেষ নেই আলেশা মার্টের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পাওনা টাকার দাবিতে প্রতিদিনই আলেশা মার্টের দুটি অফিসে অবস্থান নিচ্ছেন গ্রাহকরা। কিন্তু প্রতিদিনই গ্রাহকদের ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ফেসবুক লাইভে এসে বার বার আশ্বাস দিলেও চেক বা নগদ টাকা জুটছে না গ্রাহকদের ভাগ্যে। গ্রাহকরা জানান, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের কথা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার অনেকেই টাকা নিতে এসেছিলেন। তবে গ্রাহকদের সঙ্গে দেখা না করেই চলে যান উর্ধতন কর্মকর্তারা। ছয়-সাত মাস ধরে টাকার জন্য ঘুরছেন আলেশা মার্টের এসব গ্রাহক। এর আগে গত বুধবার পাওনা টাকার দাবিতে আলেশা মার্টের অফিসে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। সকাল থেকে বিভিন্ন কথা বলে তাদের ঘোরাতে থাকে আলেশা মার্ট কর্তৃপক্ষ। এদিকে বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর আলম শিকদার বলেছেন, এসএমএস ছাড়া কোন গ্রাহক যাতে অফিসে না আসে। এসএমএস দেখে টাকা ফেরতের নিশ্চয়তা দিয়ে বলেছেন, জানুয়ারির মধ্যেই সব টাকা পাবে গ্রাহক। বৃহস্পতিবার দুপুরে বনানীতে প্রতিষ্ঠানটির অফিসে গিয়ে দেখা যায়, পাওনা টাকার দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন গ্রাহকরা। তারা বলছেন, দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর পণ্য না পেয়ে চেক বা নগদ টাকার জন্য তারা এসেছেন। তেজগাঁওয়ের আরেকটি অফিসেও একই অবস্থা। সাদমান নামের এক গ্রাহক বলেন, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের কথা অনুযায়ী গতকাল কয়েকজন টাকা নিতে এসেছিল। তবে তিনি গ্রাহকদের সঙ্গে দেখা না করেই চলে যান। রাতে অফিসে তালা মেরে চলে যান প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা। গত জুন মাসে মোটরসাইকেল অর্ডার করে এখনও পাননি বেসকারী প্রতিষ্ঠানের এই কর্মী। ছয়-সাত মাস ধরে টাকার জন্য তিনি আলেশা মার্টে আসছেন বলে জানান। আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম শিকদারের দেয়া কথা অনুযায়ী গত বুধবার সকালে টাকা ফেরত নিতে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে সকাল থেকে বিভিন্ন কথা বলে তাদের ঘোরাতে থাকে আলেশা মার্ট কর্তৃপক্ষ। একপর্যায়ে টাকা না দেয়ায় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিলে তাদেরকে ধাক্কা দেন ওই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মীরা। ঢাবি শিক্ষার্থী রিদওয়ান উল্লাহ বলেন, আলেশা মার্ট আমার প্রোডাক্ট ডেলিভারি দেয়ার কথা বলে ৩ বার ডেট দিয়ে ৬ মাস ধরে ঘোরাচ্ছে। এর মাঝে আমার অর্ডার ফেরত চাইলেও তারা ফেরত দিচ্ছে না। ৬-৭ বার অফিসে এসেও সমাধান পাইনি। এরপর চেয়ারম্যান নিজে আমাদেরকে কথা দিয়েছেন টাকা দেবেন। কিন্তু উনি সারাদিন ঘুরিয়ে টাকা না দিয়েই অফিস ত্যাগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ শিক্ষার্থী আলেশা মার্টের বনানী অফিসে অবস্থান নিয়েছি। এর আগে আমরা গত সোমবার ৩০ জনই আলেশার অফিসে গিয়েছিলাম। তখন আলেশার চেয়ারম্যান নিজেই আমাদেরকে আজকে টাকা নিতে আসতে বলেন। এমনকি অফিসে ঢুকতে গিয়ে সিকিউরিটি গার্ডদের সঙ্গে ছাত্রদের হাতাহাতি হয়। আমরা সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা টাকা পাওয়ার আগ পর্যন্ত অফিসে অবস্থান করব। এখানে যে কোন সময় অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
×