ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঐতিহাসিক অর্জন, বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রার মহান মাইলফলক ॥ অর্থমন্ত্রী প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য পাঁচ বছর সময় এলডিসি থেকে উত্তরণে দেশের ভাবমূর্তি বিশ্ব দরবারে উজ্জ্বল হবে

উন্নয়নশীলের মর্যাদা ॥ জাতিসংঘের চূড়ান্ত অনুমোদন

প্রকাশিত: ২৩:০৫, ২৬ নভেম্বর ২০২১

উন্নয়নশীলের মর্যাদা ॥ জাতিসংঘের চূড়ান্ত অনুমোদন

এম শাহজাহান ॥ মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে লাল-সবুজের বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উত্তরণের সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। পরিষদের ৭৬তম বৈঠকের ৪০তম প্লেনারি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের মধ্য দিয়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে এখন চূড়ান্তভাবে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটল বাংলাদেশের। স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশ থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে পাঁচ বছর প্রস্তুতির সময় পাওয়া যাবে। সাধারণত প্রস্তুতির জন্য তিন বছর সময় দেয়া হলেও মহামারী করোনার কারণে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই বাড়তি সময় দেয়া হলো। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এটিকে ‘ঐতিহাসিক অর্জন’ বলে মন্তব্য করেছেন। একে তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রার এক মহান মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশই একমাত্র দেশ, যে দেশ জাতিসংঘ নির্ধারিত তিনটি মানদ- পূরণের মাধ্যমে এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের এ অর্জন বিশ্ব দরবারে এ দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে এবং আরও অধিকতর উন্নয়নের যাত্রা ত্বরান্বিত করবে। প্রস্তুতিকালে বাংলাদেশ এলডিসি হিসেবে যেসব সুযোগ-সুবিধা এতদিন পেয়ে আসছিল, সেগুলো অব্যাহত থাকবে। তাছাড়া বর্তমান নিয়মে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে বাংলাদেশ ২০২৬ সালের পর আরও তিন বছর অর্থাৎ ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা ভোগ করতে পারবে। জাতিসংঘের ৪০তম প্লেনারি সভাটি গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বুধবার গভীর রাতে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পাশাপাশি নেপাল ও লাওসের ক্ষেত্রেও একই সুপারিশ করা হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় দ্বিতীয়বারের মতো এলডিসি থেকে উত্তরণের মানদ- পূরণের সুপারিশ লাভ করে বাংলাদেশ। সিডিপি একই সঙ্গে বাংলাদেশকে ২০২১ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর প্রস্তুতিকালীন সুযোগ দেয়ার সুপারিশ করেছিল। উল্লেখ্য, উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে যেসব দেশ তুলনামূলক দুর্বল, সেসব দেশকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৭১ সালে প্রথম স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা করা হয়। বাংলাদেশ ১৯৭৫ সালে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আরও বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, বাংলাদেশের জাতির পিতা, মহান স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে এই অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় গত এক দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের যে অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন যাত্রা- এটি তারই একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এই সাফল্যের অংশীদার এই দেশের সব শ্রেণী-পেশার মানুষ। বাংলাদেশ এমন একটি সময়ে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছে যখন সমগ্র দেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন করছে। স্বল্পোন্নত দেশ হতে প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধাগুলো অব্যাহত রাখাসহ মসৃণ ও টেকসই উত্তরণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নেতৃত্বে বেসরকারী খাত ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় নীতিকৌশল ও পদক্ষেপ প্রণয়ন করছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি ॥ এলডিসি উত্তরণে পণ্য রফতানিসহ ব্যবসা-বাণিজ্যে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী খাত থেকে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। প্রস্তুতিকালীন চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলা করা হবে। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৩টি ক্ষেত্রে সুপারিশমালা দিয়ে এলডিসি উত্তরণে ‘এ্যাকশন প্লান’ তৈরি করেছে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ। কোন মন্ত্রণালয়, সংস্থা বা অধিদফতর সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করবে সেটিও নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। জানা গেছে, এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য রফতানিতে শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা হারানোর ঝুঁকি রয়েছে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে জাতিসংঘ স্বীকৃত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে বার্ষিক চাঁদা বেশি দিতে হবে বাংলাদেশকে। এছাড়া বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ ইস্যুতে ওষুধ শিল্পে নতুন চ্যালেঞ্জ যুক্ত হবে। বেড়ে যাবে ওষুধের দাম এবং এতে রফতানি বাজারও কিছুটা সঙ্কুচিত হয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ এবং এডিবিসহ উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সহজ শর্তের ঋণ ও অনুদান সহায়তা কঠিন হয়ে পড়তে পারে। রফতানি পণ্য ও শিল্পে ভর্তুকি প্রদানের সুবিধা হ্রাস করতে হবে। তবে কিছু কৌশল গ্রহণ করা গেলে সহজেই এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে দেশের সামনে। তবে দেশের প্রধান রফতানিপণ্য তৈরি পোশাক রফতানিতে জিএসপি প্লাস এবং স্ট্যান্ডার্ড জিএসপি পাওয়া যেতে পারে। তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সেক্ষেত্রে শ্রম অধিকার, কারখানার কর্ম পরিবেশ এবং মানবাধিকার ইস্যুতে ২৭টি শর্ত পরিপালনের শর্ত দিয়েছে ইইউ। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এসব শর্ত পালনে বেশ কিছু কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। জানা গেছে, এলডিসি উত্তরণের ‘পলিসি মোট্রিক্স ফর কপিং আপ উইথ এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন’ নামে একটি সুপারিশমালা দিয়েছে জিইডি। এর মধ্যে রাজস্ব নীতি, মুদ্রা নীতি, শিল্প ও বাণিজ্য নীতি, অবকাঠামো খাত উন্নয়ন, সরকারী- বেসরকারী অংশীদারিত্ব (পিপিপি) এবং শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মতো কর্মসূচী রয়েছে। এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম জানান, এলডিসি উত্তরণের পর কিছু বিষয়ে চ্যালেঞ্জ আসবে। কিছু ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি হলেও সুযোগও তৈরি হবে অনেক। সেই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পরিকল্পিতভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যেই পলিসি মোট্রিক্স ফর কপিং আপ উইথ এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন শীর্ষক একটি সুপারিশমালা তৈরি করা হয়েছে। বহির্বিশ্বে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে ॥ এলডিসি উত্তরণের ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়বে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক সক্ষমতার বহির্প্রকাশ ঘটবে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে বেশি সুদে হলেও ঋণ নিয়ে অবকাঠামো ও মানবসম্পদ উন্নয়নে অধিক খরচ করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক রেটিং এজেন্সিগুলোর দেয়া রেটিং বাড়বে, যা বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়ক হবে। এই অর্জন বড় ভূমিকা রাখবে দেশের ব্র্যান্ডিংয়ে। এ প্রসঙ্গে গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর জনকণ্ঠকে বলেন, এলডিসি থেকে আগেই বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটেছে। এখন চূড়ান্তভাবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিল জাতিসংঘ। তবে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ঘটনা অবশ্যই বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন। তবে এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক রয়েছে। গরিব দেশগুলোকে সহজ শর্ত ও কম সুদে ঋণ দেয় উন্নয়ন সহযোগীরা। এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে বাংলাদেশ। অবশ্য এখন আর বাংলাদেশকে গরিব দেশ হিসেবে দেখে না দাতারা। ২০১৬ সাল থেকে মিশ্রিত দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে নমনীয় ঋণ এবং কিছু ক্ষেত্র বাজারভিত্তিক ঋণ দেয় তারা। তিনি বলেন, ঋণ পরিশোধে আন্তর্জাতিক মানদ- অনুযায়ী যে ধরনের সক্ষমতা থাকা দরকার, বাংলাদেশের তা আছে বলে মন্তব্য করেন আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ফলে এলডিসি থেকে উত্তরণের ফলে সস্তা ঋণ সুবিধা বাতিল হলেও তেমন অসুবিধা হবে না। সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ-এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ফলে বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়াবে। দেশের ভাবমূর্তি ব্র্যান্ডিংয়ে বড় ভূমিকা রাখবে। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে এটি দেশের জন্য বড় অর্জন মন্তব্য করে তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, প্রবাসে যারা ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন তাদের জন্যও এ অর্জন সহায়ক হবে। এ ছাড়া সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ বা এফডিআই পেতে যে ক্রেডিট রেটিংয়ের প্রয়োজন সেক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। এ প্রসঙ্গে এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন জনকণ্ঠকে বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে এটা বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন। যে কোন ব্যবসার ক্ষেত্রে অনেকগুলো উপাদান থাকে। ব্যবসার পরিবেশকে উপযুক্ত করার জন্য সরকারের অনেক নীতি থাকে। প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে হলে এসব নীতি বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিতে হবে। তবে এলডিসি থেকে উত্তরণে অনেকগুলো সমস্যা তৈরি হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এগুলো সমাধানে ভূমিকা নিতে হবে। রফতানি বাড়াতে অগ্রাধিকার বাণিজ্যসহ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিভিন্ন দেশের অগ্রাধিকার ও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হবে ॥ এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম গতিশীল ও রফতানি বাড়াতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) করার প্রস্তুতিতে রয়েছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে ১১টি দেশের সঙ্গে এ সংক্রান্ত সম্ভাব্যতা ও সমীক্ষা যাচাই করা হয়। ভুটানের পর এবার নেপালের সঙ্গে পিটিএ করা হবে। এরপর ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের সঙ্গে পিটিএ করা হবে। শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা নিশ্চিত করতে পিটিএ, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এফটিএ এবং বৃহৎ অংশীদারিত্ব বাণিজ্য চুক্তির (সিপা) মতো বড় বড় চুক্তির দিকে এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে রফতানিতে জিএসপি প্লাস সুবিধা নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) জুয়েনা আজিজ বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণ প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি পর্যালোচনা করছেন। এ লক্ষ্যে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সঙ্গে দর কষাকষি করা হচ্ছে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরও যাতে অন্তত ১২ বছর স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে রফতানি-আমদানি বাণিজ্যে সুযোগ সুবিধা বহাল রাখা হয় সেজন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইউ) এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দফতর ইউএসটিআরে আবেদন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ও এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।
×