ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাগেরহাট পৌর মেয়রের নামে দুদকের ২ মামলা

প্রকাশিত: ২১:৪৫, ২৫ নভেম্বর ২০২১

বাগেরহাট পৌর মেয়রের নামে দুদকের ২ মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানের নামে ২টি মামলা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অর্থ আত্মসাৎ, ক্ষমতার অপব্যবহার, অসদাচারণ, বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে দুদক খুলনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন। সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট পৌরসভায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে ১৭ জনকে নিয়োগ দিয়ে সরকারি কোষাগার থেকে এক কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮০০ টাকা আত্মসাতের অপরাধে মেয়রসহ ১৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন, পাম্প অপারেটর দিপু দাস, বাজার শাখার আদায়কারী আসাদুজ্জামান, সহকারী লাইসেন্স পরিদর্শক জ্যোতি দেবনাথ, সহকারী কর আদায়কারী মারুফ বিল্লাহ, সহকারী কর আদায়কারী শহিদুল ইসলাম, বিল ক্লার্ক শারমিন আক্তার বনানী, ট্রাক চালক হাসান মাঝি, সুইপার সুপারভাইজার হাসনা আক্তার, সুইপার সুপারভাইজার মো. জিলানী, এমএলএসএস তানিয়া, পাম্প চালক অর্পূব কুমার রায়, সহকারী পাম্প চালক মেহেদী হাসান, সহকারী কর আদায়কারী সৌদি করিম, সহকারী কর আদায়কারী পারভিন আক্তার, কর আদায়কারী সাব্বির মাহমুদ ও সহকারী হেলপার সেতু পাল। এরা সবাই বাগেরহাট পৌরসভার সাবেক কর্মী ছিলেন। নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো বিধিবিধান ও বাছাই প্রক্রিয়া ছাড়া বিভিন্ন সময় এই ১৭ জনকে নিয়োগ দেন পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান। পরস্পর যোগসাজশে এরা এক কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। অন্যদিকে, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ বাগেরহাটে আবাহনী ক্লাবের কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ এবং বাগেরহাট ডায়েবেটিক হাসপাতাল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ না করে এক কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান এবং বাগেরহাট পৌরসভার সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিমকে আসামি করে আরও একটি মামলা করা হয়। বাগেরহাট ডায়াবেটিকস হাসপাতাল এবং আবাহনী ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণসহ কয়েকটি উন্নয়ন কাজের জন্য দুই কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান এই প্রকল্পের বরাদ্দের দুই কোটি টাকার মধ্য থেকে এক কোটি টাকা উত্তোলন করেন। কিন্তু কোনো কাজ না করে পৌর মেয়র এককোটি আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ করা হয়। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নাজমুল আহসান বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধান পূর্বক অর্থ আত্মসাৎ, ক্ষমতার অপব্যবহার, অসদাচারণ, বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার অপরাধে বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়। কমিশনের অনুমতিক্রমে মামলার তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এর আগে, ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানের দুর্নীতি অনুসন্ধানে নামে দুদক, খুলনা কার্যালয়। তবে মেয়র খান হাবিবুর রহমান নিজেকে নির্দোষ বলে দাবী করেছেন।
×