ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কসোভোর মাধ্যমে রফতানির সুযোগ নিতে পারে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২১:২৩, ২৬ নভেম্বর ২০২১

কসোভোর মাধ্যমে রফতানির সুযোগ নিতে পারে বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বাংলাদেশ এখন বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিম-লে উন্নয়নের বিস্ময়। অপরদিকে, কসোভো সেন্ট্রাল এবং ইস্টার্ন ইউরোপের মধ্যবর্তী দেশ, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্য বিশেষ করে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, চামড়া ও চামড়াজাত, পাট ও পাটজাত, ওষুধ ইত্যাদি ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্টের আওতায় পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে রফতানির সদ্ব্যবহার করতে পারে। সম্ভাবনাময় বিভিন্ন খাত নিয়ে যৌথভাবে কাজ করলে উভয় দেশই লাভবান হতে পারে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলমের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় কথাগুলো বলেন ঢাকায় নিযুক্ত কসোভো রাষ্ট্রদূত গুনের উরেয়া। আলোচনায় তিনি বেসরকারী খাতকে উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি মন্তব্য করে এ খাতের বিকাশে দূতাবাসের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন এবং উভয়দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে পারস্পরিক তথ্য আদান প্রদান ও প্রতিনিধিদল প্রেরণ করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় চেম্বার সেক্রেটারি ইনচার্জ প্রকৌশলী মোঃ ফারুক এবং দূতাবাস ও চেম্বার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভাশেষে রাষ্ট্রদূত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের পার্মানেন্ট এক্সিবিশন হল পরিদর্শন করেন। চসিক মেয়রের সঙ্গে মতবিনিময় ॥ বাংলাদেশে নিয়োজিত কসোভোর রাষ্ট্রদূত গুণে উরেয়া একইদিনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গেও সৌজন্য বৈঠক করেন। এ সময় তিনি বলেন, কসোভো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র হলেও বাংলাদেশের মতোই ধর্মনিরপেক্ষ। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধতা প্রকাশ করে বলেন, এখানে এসে চিত্তসুখ উপভোগ করেছি। চট্টগ্রামের প্রতি আমার প্রাণের টান বেড়েছে। ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি কসোভা প্রজাতন্ত্রকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশ। এজন্য আমরা এ দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমাদের দেশটিতে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হলেও আমাদের দেশে বিভিন্ন সম্প্রদায় ও জাতি গোষ্ঠীর মানুষ সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে। দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রেখে আমরা উন্নয়ন ও অগ্রগতি পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। চট্টগ্রামের যে অর্থনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে তার যথার্থ ব্যবহার শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্বের জন্যই যথেষ্ঠ অর্থবহ বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম পৃথিবীর অন্যতম প্রধান প্রাকৃতিক সমুদ্র বন্দর এবং এই বন্দর নগরী রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক হৃদপি-। চট্টগ্রাম বন্দর সম্প্রসারণ, বে-টার্মিনাল, গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ, কর্ণফুলী তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণ বাস্তবায়নের পথে। তাই চট্টগ্রাম নগরীর গুরুত্বও বহুমাত্রিক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, প্যানেল মেয়র মোঃ গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর আব্দুস সালাম মাসুম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সেলিম আখতার চৌধুরী প্রমুখ।
×