নিজস্ব সংবাদদাতা, হাতিয়া ॥ রোহিঙ্গাদের আস্থায়ী আবাসস্থল ভাসানচের এবার এলেন আরো ৩৭৯ জন রোহিঙ্গা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে রোহিঙ্গাদের বহনকারী জাহাজ দুটি নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌছায়। এটা স্থানান্তর প্রক্রিয়ার সপ্তম ধাপ। এর আগে আরো ৬টি ধাপে ১৮হাজার ৩শত ৪৭ রোহিঙ্গা নাগরিককে অস্থায়ী বসবাসের জন্য ভাসানচরে আনা হয়।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, নিয়মানুযায়ী বৃহস্পতিবার আসা রোহিঙ্গাদের প্রথমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। এর পর নিয়ে যাওয়া হয় রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি আশ্রায়ন প্রকল্পের ওয়্যার হাউজে। সেখানে তাদের ভাসানচরে বসবাসের বিভিন্ন নিয়মকানুন সম্পর্কে ধারণা দেন নৌ-বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে গত বুধবার ভাসনচরের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের চট্রগ্রামে নৌ-বাহিনীর তত্বাবধানে রাখা হয়। রাতে তারা চট্রগ্রামের বি এন শাহীন কলেজের ট্রানজিট ক্যাম্পে অবস্থান করে। বৃহস্পতিবার সকালে এসব রোহিঙ্গাদের নিয়ে চট্রগ্রামের বোটক্লাব থেকে নৌ-বাহিনীর দুটি জাহাজ ভাসানচরে উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে।
কক্সবাজার অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ্দৌজা বলেন, স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক এরকম রোহিঙ্গাদের শুধু ভাসানচরে স্থানান্তর করা হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরো কিছু রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করার চিন্তা ভাবনা আছে।
স্বেচ্ছায় ভাসানচরে আসতে ইচ্ছুক এমন রোহিঙ্গাদের নিয়ে আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয় গত বছরের ৪ডিসেম্বর। প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের মধ্যদিয়ে শুরু হয় প্রক্রিয়া। এ নিয়ে মোট ১৮ হাজার ৭২৬ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে অবস্থান করছে।
উল্লেখ্য ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু হলে পরের কয়েক মাসে অন্তত আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। এর আগে আসেন আরও কয়েক লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: