ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দীপ্তি রানীর স্কুলে থাকা উচিত, বন্দিশালায় নয় ॥ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

প্রকাশিত: ১৬:০০, ২৫ নভেম্বর ২০২১

দীপ্তি রানীর স্কুলে থাকা উচিত, বন্দিশালায় নয় ॥ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

অনলাইন ডেস্ক ॥ ফেসবুকে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ দেওয়ার অভিযোগে এক বছরের বেশি সময় সংশোধন কেন্দ্রে আটকে রাখা কলেজ ছাত্রী দীপ্তি রানী দাসকে মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘জরুরি পদক্ষেপ’ চেয়েছে আন্তর্জাতিক এ মানবাধিকার সংস্থা। ফেসবুকে দেওয়া একটি ছবিতে ‘কোরআন অবমাননা’ হয়েছে অভিযোগ করে গত বছর ২৮ আগস্ট দিনাজপুরের পার্বতীপুরের ১৭ বছর বয়সী দীপ্তি রানীকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পর থেকে তিনি রাজশাহীর একটি সংশোধন কেন্দ্রে আছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ দেওয়ার এই ‘ভুয়া অভিযোগে’ দোষী সাব্যস্ত হলে তার সাত বছরের জেলও হতে পারে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার ক্যাম্পেইনার সাদ হামাদি বলেন, “কেবলমাত্র ফেসবুক পোস্টের কারণে একটি শিশুর বিকাশের সময়টিতে সাজা দিয়ে আটকে রাখায় উদ্বিগ্ন না হয়ে উপায় নেই। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মত নিবর্তনমূলক আইন কাউকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলতে কতটা কার্যকর, এখানে সেটাই দেখা যাচ্ছে।” রাষ্ট্রকে জনগণের অভিভাবক হিসেবে বর্ণনা করে বিবৃতিতে তিনি বলেন, “নিরাপত্তা না দিয়ে, কিশোর বয়সী একটি মেয়েকে এক বছরের বেশি সময় সংশোধন কেন্দ্রে দুর্ভোগে রাখা হয়েছে। দীপ্তি রানীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থাকা উচিত, বন্দিশালায় নয়।” অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, গত বছর আগস্টে দীপ্তি রানী পার্বতীপুর সরকারি কলেজে মানবিক শাখায় ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু আটকের পর থেকে তিনি পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারছেন না। বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে চাইলেও পরিবারের আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে মানবিকে ভর্তি হওয়া দীপ্তি রানী ছবি আঁকতে এবং গল্প লিখতে ভালবাসেন। গ্রেফতারের পর নিম্ন আদালতে তিনবার তার জামিন আবেদন খারিজ করা হয়। পরে চলতি বছর ১১ মে হাই কোর্ট তার জামিন মঞ্জুর করলেও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে সে আদেশ স্থগিত করে আদালত। দীপ্তি, তার পরিবার এবং বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ‘সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত’ সহিংসতা থেকে রক্ষার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
×