ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে কোন সরকার প্রধানকে আনা হবে না

বঙ্গবন্ধু ছিলেন শান্তির সবচেয়ে বেশী অগ্রদূত : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২১:৩০, ২৪ নভেম্বর ২০২১

বঙ্গবন্ধু ছিলেন শান্তির সবচেয়ে বেশী অগ্রদূত : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর সারাজীবনে ছিলেন শান্তির সবচেয়ে বেশী অগ্রদূত। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে আটকে পড়া ওই দু’দেশের মানুষের কষ্ট দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে ’৭৪ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত ওআইসি সম্মেলনে যোগ দেন। তিনি কারো সঙ্গে বৈরীতা করে নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করে দক্ষিণ এশিয়াসহ সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন। এজন্য তিনি একটি সুন্দর পররাষ্ট্রনীতি তৈরী করেছেন। তাঁরই পথ ধরে বঙ্গবন্ধু কণ্যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পররাষ্ট্রনীতির কারনে শান্তির অগ্রদূত হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। তিনি প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সকল সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করছেন। ফলে তাঁর আমলে দেশের সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশকে একটি গুলিও খরচ করতে হয় নি। তিনি পৃথিবীতে যুদ্ধ বিগ্রহ কমাতে একটি প্রস্তাব দিয়েছেন, সেটি হচ্ছে- শান্তি সংস্কৃতি। লক্ষ্য হচ্ছে- মানুষে মানুষে একে অন্যের প্রতি ভক্তি, শ্রদ্ধা ও ধৈর্য্য বাড়াতে হবে। ধর্ম ও বর্ণের উর্ধ্বে উঠে মানুষ শ্রেষ্ঠ সেইটার উপর শ্রদ্ধাবোধ বাড়ালেই সারা বিশ্বে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। পৃথিবীর সব দেশ তার এই প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। মন্ত্রী বুধবার দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে ইএটিএল ইনোভেশন হাব লিমিটেড এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসে এসব কথা বলেন। দেশের তথ্য প্রযুক্তিখাতে তরুণ উদ্যোক্তাদের সহায়তা, অত্যাধূনিক প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এ প্রতিষ্ঠাণ কাজ করবে। মন্ত্রী বলেন, মালদ্বীপ আমাদের ঘনিষ্ট বন্ধু। তারা আমাদের সাপোর্ট দেয়, আমরাও তাদেরকে সাপোর্ট দেই। রোহিঙ্গা ইস্যুতেও মালদ্বীপ বাংলাদেশের পাশে আছে, এই ইস্যুতে আমরা এবং তারা সব ফোরামে এক ও অভিন্ন। বাংলাদেশে মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট এ দেশে এসেছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শীঘ্রই মালদ্বীপ যাবেন। প্রধানমন্ত্রী গেলে সেখানে অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অনেকগুলো চুক্তি হবে। ইতোমধ্যে মালদ্বীপে অবৈধভাবে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের বৈধ করার জন্য বলেছি। তারা বলেছে সেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। মালদ্বীপের সঙ্গে কানেকটিভিটি বাড়ানোর জন্যও আমরা বলেছি। মন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ সারা বিশ্বের জন্য শান্তির একটি রোল মডেল। আমরা তা বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে তুলে ধরবো। আগামী ৪ ও ৫ তারিখে বাংলাদেশে বিশ্ব শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলনে কোন সরকার প্রধান আনবো না। সম্মেলনে অংশ গ্রহণের জন্য আমরা কবি সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিমনা ও হিউম্যান রাইটস এ্যাক্টিভিস্টদের দাওয়াত দিয়েছি তারা আসবেন। তিনি বলেন, আগামী বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর) ভারতের রাষ্ট্রপতি ঢাকায় থাকবেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ভুটানের রাষ্ট্র প্রধান কিং’রও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইএটিএল ইনোভেশন হাবের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মূখ্যসচিব মোঃ আব্দুল করিম সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বেসরকারি মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সভাপতি এমএ মবিন খান, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের এমডি ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষসহ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগ, তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও হাইটেক পার্কের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ইএটিএল ইনোভেশন হাব বাণিজ্যিক উদ্যোগ নয়,এটি বরং একটি দীর্ঘমেয়াদী টেকসই আর্থ- সামাজিক উদ্যোগ যা সঠিক প্রযুক্তিতে তরুণ প্রতিভাদের দক্ষতা বাড়ানো এবং একটি উন্নত ভবিষ্যতের জন্য দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য সরকার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সামগ্রিকভাবে অংশীজনদের কাছ থেকে যথাযথ সমর্থন পেলে এই উদ্যোগ সফল হবে বলে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
×