ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হাফিজুর রহমান

প্রতারণা ই-কমার্সে

প্রকাশিত: ২১:২৫, ২৫ নভেম্বর ২০২১

প্রতারণা ই-কমার্সে

বাংলাদেশে ই-কমার্সের যাত্রা খুব বেশি দিনের নয়। শুরতে ই-কমার্সের আলাদা কোন নীতিমালা ছিল না। এখন নীতিমালা হলেও তার যথাযথ প্রয়োগ নেই। আর এর সুযোগ নিচ্ছে এক শ্রেণীর প্রতারকচক্র। স্বল্প সময়ে অনেক লাভ, ফাটাফাটি অফার, অযৌক্তিক কমিশনের কথা বলে গ্রাহকদের লোভের ফাঁদে ফেলে। এরপর তারা গ্রাহকদের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। সেসব টাকা দ্রত অন্যত্র সরিয়ে ফেলে। প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে কোন টাকা থাকে না বললেই চলে। অনেকে বিদেশে অর্থ পাচার করেছে বলেও অভিযোগ আছে। নীতিমালা লঙ্ঘন করে অনেক প্রতিষ্ঠান এমএলএম ধরনের ব্যবসা করছে। এমনি আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরদ্ধে। কিছু প্রতিষ্ঠানের এমন অনৈতিক কর্মকা-ের কারণে সামগ্রিকভাবে ই-কমার্সের ওপর থেকেই মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে। এটি দেশের নতুন এই ব্যবসায়িক প্লাটফর্মের জন্যও বড় ধরনের আঘাত। জানা যায়, ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ ও ধামাকা শপিং ছাড়াও আরও ৯টি প্রতিষ্ঠানকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এগুলো হলো- আলেশা মার্ট, সিরাজগঞ্জ শপিং, আলাদিনের প্রদীপ, বুম বুম, কিউকম, আদিয়ান মার্ট ও নিডসডটকম। এর ভেতর একাধিক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই গ্রাহকদের চরম বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। প্রতারণা শুধু ই-কমার্সে হচ্ছে এমন নয়, প্রতারকরা যেখানে সুযোগ পায় সেখানেই প্রতারণা করে। কিছুদিন আগে দক্ষিণাঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছে একটি প্রতারকচক্র। এর আগে যুবক, ডেসটিনি, ইউনিপের মতো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছিল। সমবায়ের নামে এমন প্রতারণা অনেক আগে থেকেই ঘটে আসছে। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদেরও সচেতন হতে হবে। বড় লাভের টোপ দিলেই সেখানে বিনিয়োগ করা যাবে না। ই-কমার্সের সুনাম রক্ষায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। একই সঙ্গে গ্রাহকরা যাতে তাদের বিনিয়োগের টাকা ফেরত পায়, তারও ব্যবস্থা করতে হবে। চট্টগ্রাম থেকে
×