উনিশ কিংবা কুড়ি, পঁচিশ কিংবা ত্রিশ বয়সী অধিকাংশ যুবকদের ইচ্ছা হয় চলার পথে নিজের সাথি হিসেবে পছন্দের একটি বাইক থাকবে। তবে সেই পছন্দের নতুন বাইকটি যদি হয় অর্ধেক দামে। তবে তো আর কথাই থাকে না। নিজের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে দেশের যুবকরা সময়ের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিতে অগ্রিম টাকা জমা দিয়ে মোটরবাইক অর্ডার করে। এ প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে কিছু লোক লাভবান হলেও নিঃস্ব হওয়ার সংখ্যাই বেশি। কথায় আছে, লোভে পাপ, আর পাপে মৃত্যু। লোভ মানুষকে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য করে অসৎ উপায় অবলম্বন করতে প্ররোচিত করে। তখন যা পাওয়ার অধিকার তার নেই, তা পাওয়ার জন্য মানুষ লোভী হয়ে ওঠে। তখন সে তার অন্যায় ইচ্ছাকে সার্থক করে তুলতে চায়। এমন লোভে পরেই নামে মাত্র দামে বেশি দামের পণ্য কিনতে সাধারণ মানুষ ইভ্যালিতে পণ্য অর্ডার করে। ইভ্যালিতে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করে যুবকরা। তাদের জমানো অর্থ অথবা বাবা-মায়ের কাছ থেকে বাইকসহ বিভিন্ন পণ্য কেনার জন্য আবদার করা অর্থ বিনিয়োগ করে নিঃস্ব হয়েছে তারা। ইভ্যালির ভেলকিবাজিতে বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর স্বপ্ন তাদের স্বপ্নই রয়ে গেল। সম্প্রতি ইভ্যালির ভেলকিবাজি সরকারের হাতে ধরা পড়লে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকে আটক করা হয়। আইনের মারপ্যাচে যেই টাকা অগ্রিম দিয়েছে সেই টাকাও পাবে কিনা সে ব্যাপারেও সন্দেহ রয়েছে গ্রাহকদের। প্রতিনিয়ত এসব অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়ে রাস্তায় বসতে হচ্ছে সমাজের সাধারণ মানুষদের। সাধারণ মানুষ সারাজীবন কষ্ট করে টাকা জমিয়ে লাভের আশা ও নিজ স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে ব্যবসায় খাটায়। আর কিছু অবৈধ প্রতিষ্ঠান এ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাবে। আর তখন সাধারণ মানুষের কী হবে। এসব প্রতিষ্ঠান কখন দেশের স্বার্থে ব্যবসা করতে আসে না। এরা নিজের পকেট ভারি করতে ব্যবসা করতে আসে। এসব প্রতিষ্ঠান ও পরিচালকদের দেশ-বিদেশে নামে-বেনামে যত সম্পদ আছে তা সরকারী মালিকানায় এনে সাধারণ জনগণের টাকার ক্ষতিপূরণ দেয়া প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে জনগণ বাঁচলে দেশ ও ব্যবসা বাঁচবে।
বরিশাল থেকে
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: