ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শরীয়তপুরে জাজিরায় ধর্ষণ মামলায় সাবেক মেয়র পুত্রের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

প্রকাশিত: ১৭:৪০, ২৪ নভেম্বর ২০২১

শরীয়তপুরে জাজিরায় ধর্ষণ মামলায় সাবেক মেয়র পুত্রের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর ॥ শরীয়তপুরে জাজিরায় একটি ধর্ষণ মামলায় প্রধান আসামী জাজিরা পৌরসভার সাবেক মেয়র ইউনুছ বেপারীর ছেলে মাসুদ বেপারীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন শরীয়তপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আ. ছালাম খান। একই সাথে আসামীকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ- করেছেন। অপর আসামী শরীফ সরদারকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় আসামী, রাষ্ট্রপক্ষ ও বাদীর উপস্থিতিসহ জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন বিচারক। শরীফ সরদারকে খালাস প্রদানে বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষ বিক্ষুদ্ধ হয়েছেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপীল করবেন বলে জানিয়েছেন। মামলার বিবরণে জানা গেছে, জাজিরা পৌরসভার সাবেক মেয়র ইউনুছ বেপারীর ছেলে মাসুদ বেপারী তার বন্ধু শরীফ সরদারের সহযোগিতায় ২০১৯ সালের ৩০ জুন এক কলেজ ছাত্রীকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ বিষয়ে ওই কলেজ ছাত্রীর পিতা হযরত আল কাজী বাদী হয়ে ২জনকে আসামী করে জাজিরা থানায় মামলা করেন। জাজিরা থানা পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এই মামলার বাদী, ডাক্তার, পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটসহ ১৩ জন সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য প্রদান করেন। আসামীদের পক্ষে ৮ জন সাফাই সাক্ষী হাজির করা হয়। ভিকটিমের পিতা হযরত আলী কাজী বলেন, আসামীরা আমার কলেজ পড়–য়া মেয়েকে ভুল বুঝিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। মামলা পরবর্তী আসামী ও তাদের লোকজন দ্বারা আমি ও আমার পরিবার অনেক নির্যাতিত হয়েছি। আমরা থানায়ও যেতে পারিনি। আজ সেই মামলার আসামী মাসুদকে ট্রাইব্যুনাল সর্বোচ্চ সাজা দিয়েছে। অপর আসামী শরীফকে খালাস দেয়ায় আমি ক্ষুদ্ধ হয়েছি। এই আদেশের বিরুদ্ধে আমি উচ্চ আদালতে আপীল করব। আসামী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট কামরুজ্জামান নজরুল বলেন, আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব। রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী পিপি এডভোকেট মির্জা হজরত আলী বলেন, আসামী শরীফ সরদারকে খালাস দেয়ায় বাদীসহ রাষ্ট্রপক্ষ বিক্ষুদ্ধ। বাদীকে ন্যায় বিচারের স্বার্থে উচ্চ আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেব।
×